ইন্টারনেট দুনিয়ার যত রকমের ক্রাইমগুলো

  • সামাজিক যোগাযোগে বা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমরা নিজেদের যতটুকু সেইফ মনে করি আমরা ঠিক ততটুকু সেইফ না। অনেকেই আমরা ভাবি যে সাইবার এবং কম্পিউটার ক্রাইম হচ্ছে শুধুমাত্র  হ্যাকিং।কিন্তু আসলেও কী তাই??
    ‌একদমই না।হ্যাকিং ছাড়াও ইন্টারনেটের  অন্ধকার দুনিয়া রয়েছে নানান ধরণের ক্রাইম এগুলো সম্পর্কে আমরা কতটুকই বা জানি?হ্যাকিং ছাড়াও যে ধরণের ক্রাইম ইন্টারনেটের জগৎে ঘটে থাকে আজ সেগুলি নিয়েই আলোচনা করব,আর এগুলো জানা সকলেরই জরুরী যেহেতু আমরা ইন্টারনেটকে  কে জীবনের একটি  অংশই ধরে নিয়েছি। তাই ইন্টারনেট দুনিয়ার  নানা ধরণের ক্রাইমগুলো জেনে নেয়া যাক

    ১)হ্যাকিংঃএটি সম্পর্কে অনেকেই জানি।প্রথমেই বলেছি এটিকেই একমাত্র ক্রাইম মনে করা হয়।যাইহোক হ্যাকিং মূলক অবৈধভাবে কোন সিস্টেমে ঠুকে পড়া।হ্যাকিং তিন ধরণের
    -White Hat Hacker:এটা সিস্টেমের কোন ক্ষতি কোন করে না তবে সিস্টেমে ঢুকে যায়।
    -Black Hat Hacker:এরা সিস্টেমে ঢুকে সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করে।
    -Gray Hat Hacker:এরা অবশ্য সিস্টেমের ত্রুটি বের করে সিস্টেমের Develop বা মঙ্গল সাধন করে।।
    ২)স্প্যামিংঃ অনাকাঙ্ক্ষিত  ব্ল্যাং মেসেজ(জাঙ্ক মেইল) ব্যাপকভাবে প্রেরণ করে Electronic Messaging সিস্টেমের ব্যবহার করে আইডেন্টিটি চুরি করা, জালিয়াতি করা।

    ৩)স্পুফিংঃভুয়া ওয়েবসাইটে অনেকসময় সাইনআপের জন্য আপনার ব্যাংক নাম্বার বা ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার জানতে চাওয়া হয় আপনি যখন ঐ ভুয়া ওয়েবসাইটটিতে ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার দিয়ে সাইন আপ করেন,তাইলেই আপনার আর্থিক তথ্য চোরদের কাছে চলে যাবে এবং আপনি ফেঁসে যাবেন। আর চুরি করার এই পদ্ধতিই হচ্ছে স্পুফিং
    ৪)স্নিফিংঃট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে যখন তথ্য যায়, তখন যদি তথ্যকে চুরি করা যায় সেটিই হবে স্নিফিং।

    ৫)ডেনিয়েল অব সার্ভিস অ্যাটাক্টস্ঃএই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনাকে ইন্টারনেটের কিছু সেবা বা সাইট হতে আংশিক বা পুরোপুরি ভাবে সাময়িকভাবে  বঞ্চিত রাখা হয় ফলে আপনি ই-মেইল,কিছু সাইট,অনলাইন ব্যাংকিং সেবার ব্যবহার করতে পারবেন না।

    ৬)সাইবার ওয়ারফেয়ারঃএটির মাধ্যমে সাইবার  ক্রিমিনালরা আপনার কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

    ৭)সাইবারথেফটঃIllegal  ভাবে আপনার ডেটা এবং আইডেন্টিটি চুরি যারা করে তারাই সাইবারথেফট।

    ৮)Harmful Apps or software :অনেক অ্যাপস বা সফটওয়্যার আছে যেগুলো আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করা হলে সিস্টেমের তথ্য চরি বা সিস্টেমটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবে।

    ৯)সফটওয়্যার পাইরেসিঃএটা অনেকটা কপি করার মতো।সফটওয়্যারের কপি করে এর কোন  পরিবর্তন সাধন করাই সফটওয়্যার পাইরেসি।

    ১০)ডেটা চুরিঃএটা সাইফারথেফট এরই অন্তর্গত।অর্থাৎ অবৈধভাবে কোন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করাই হলো ডেটা চুরি।

    ১১)প্লেয়ারিজমঃআপনি কারো বা কোন উৎসের লেখা কপি করেছেন কিন্তু অনলাইনে আপলোড করে সেই উৎস বা লেখকের নাম সংযোজন না করেন আর লেখাটি যদি নিজের নামে চালিয়ে দেন সেই অপরাধটিই হচ্ছে প্লেয়ারিজম।

    ১২)ফিশিং ঃ মেসেঞ্জার বা ফেসবুকে এটি অনেক লক্ষ্য করা হয়।আপনাকে টাকা জিতার লোভ দেখিয়ে কোন একটা ওয়েবসাইটে নিয়ে গিয়ে সেখানে আপনাকে ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড বা জিমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে বলা হবে আর ওসব ফিশিং সাইটগুলোতে লগইন করলেই আপনার পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে যাবে।

    ১৩)ভিশিংঃএটার সহজ উদাহরণ হচ্ছে বিকাশ প্রতারকরা।অর্থাৎ প্রতাকরা আপনার পিন নাম্বার জানতে চাইলো লটারি জেতার লোভ দেখিয়ে।এই অডিও কলের  মাধ্যমো লোভ দেখিয়ে পিন নাম্বার, ভেরিফিকেশন কোড হাতিয়ে নেয়াই হচ্ছে ভিশিং

    আশা করি ১৩ রকমের সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে  আপনারা জেনেছেন।তাই এখন থেকে ইন্টারনেট দুনিয়াতেও চোখ-কান খোলা রাখবেন নাহলে  এগুলোর মধ্যে যেকোন কোন একটি ক্রাইমও আপনার সাথে ঘটে যাবে।

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন