বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালই আছেন।আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।সেটি হচ্ছে রমজান মাসের ইফতারির খাদ্য গ্রহণ এবং বর্জনীয় সম্পর্কে।
রমজান মাস মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস।এই সময় সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে।এ সময় দিনের বেলা সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়।সুবহে সাদিকের পর থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত যখন না খেয়ে থাকার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।তাই দুর্বলতা কাটাতে ইফতারের সময় আমাদের সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।আমরা ইফতারে বিভিন্ন ধরণের বাজে খাবার গ্রহণ করার ফলে শরীরে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়।এসকল সমস্যার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক,আলসার,ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা উল্লেখযোগ্য।সুতরাং এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের উচিত স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা।ইফতারে আমাদের কি কি খাবার বর্জন করা উচিত সেটা জেনে নেয়া যাক।
*** ভাজা পোড়া খাবার যেমনঃপেয়াজু,আলুর চপ,বেগুনি ইত্যাদি খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
*** ডায়াবেটিস থাকলে চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
*** ইফতারে গুরুপাক খাবার বর্জন করাই ভাল।
*** আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খাই ইফতারির সময়।এর ফলে অনেক সময় ডায়রিয়া হতে পারে।
*** অনেকে ইফতারের সময় এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং বোতলজাত পানীয় বা জুস পান করে থাকে।এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর।এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
*** অনেকে ইফতারে চটপটি,হালিম এগুলো খায়।এগুলো বাদ দিতে হবে।এগুলোতে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
*** রমজানে ধূমপানের অভ্যাস একেবারেই বাদ দিতে হবে।
আসুন এবার জেনে নেই আমরা ইফতারে কি কি খাদ্য গ্রহণ করব।
*** ইফতারের সময় লেবুর শরবত,ডাবের পানি পান করতে পারি।এগুলোতে আছে ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম।এতে দেহে পানির ঘাটতি পূরণ হবে।
*** ইফতারির সময় বিভিন্ন পুষ্টিকর ফল যেমনঃখেজুর,পেয়ারা,আপেল,আনারস ইত্যাদি পুষ্টিকর ফলমূল খেতে পারেন।
*** ইফতারের সময় দুধ,ডিম,দই ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন।এগুলোতে রয়েছে প্রোটিন,ফ্যাট এবং ক্যালসিয়াম যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করে থাকে।
*** ইফতারির খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন শসা,গাজর, টমেটো ইত্যাদি সবজি খেতে পারেন।এতে শরীরে যেমন পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হবে অন্যদিকে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
*** ইফতারিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।এতে পানি শূণ্যতা পূরণ হবে।
রমজানে উপরিউক্ত খাদ্য গুলো গ্রহণ এবং বর্জনের মাধ্যমে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।তো আজকে এপর্যন্তই।পরবর্তীতে আবারো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে উপস্থিত হবো,ইনশাআল্লাহ।সবাই ভাল থাকবেন।
Sei
tnk
ভালো
Nc
Nice
nice
Gd
Nice
জাযাকাল্লাহ খাইরান।
Nice
Good
কিন্তু সত্যি বলতে আমরা সবাই ভাজাপোড়া খাবারই বেশি খেয়ে থাকি।
Good
Thek bolecen
Well
Well said
Good post
eexcellent
ধন্যবাদ
Nice
darun post
good post
ধন্যবাদ