ঈদুল আযহার নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয়, নামাজের নিয়ম কারণ গুলো জেনে নেই

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক,, আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।
আজকের আলোচনার বিষয়:ঈদুল আযহার নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয়, নামাজের নিয়ম কারণ গুলো জেনে নেই

জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে আরম্ভ করে ১২ই জিলহজ্ব দুপুর পর্যন্ত মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে হালাল প্রাণী জবাই করাকে ঈদুল আযহা বলা হয়। ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো এই ঈদ-উল আযহা। তাকে আমরা কোরবানির ঈদ বলে থাকি। প্রতিবছরে আমরা সকল মুসলমান জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ এ ঈদ পালন করে থাকি।

আমরা মুসলিমরা বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়ি। ঈদের সালাত দুই রাকাত। ঈদের সালাত আদায় করা ওয়াজিব এবং তা জামাআতে আদায় করতে হয়। বছরে দুইবার এ সালাত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের সালাতের নিয়মগুলো মনে রাখতে পারি না। তাই সবার সুবিধার্থে ঈদের সালাত আদায়ের নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

(১) প্রথমে নিয়ত করা:

ঈদের নামাজের আরবি নিয়ত: ‘নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাআতাইন সালাতিল ঈদিল আযহা মাআ সিত্তাতিত তাকবিরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াঝঝিহান ইলা ঝিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি ‘আল্লাহু আকবার’।’

বাংলা নিয়ত: আমি ঈদ-উল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সহিত এই ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি- ‘আল্লাহু আকবার’।

(২)ছানা পড়া: তাকবিরে তাহরিমা – ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ঈদের নামাজের নিয়ত বাঁধবেন। ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাঁধার পর ছানা পড়তে হবে।

ছানা: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাছমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।

(৩) অতিরিক্ত তাকবীর দেয়া: এরপর ইমাম সাহেবের তাকবির বলার সাথে সবাই তাকবির বলবেন। যখন প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলা হবে তখন উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।

(৪)তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বাঁধা: তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে হাত বাঁধতে হবে। এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত রাখতে হবে।

এরপর ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু, সিজদা করবে । ইমাম সাহেবের সঙ্গে সকল মুসলমানকে এভাবে রুকু, সিজদা করতে হবে।

(৫) প্রথম রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় রাকাত নামাজ:

দ্বিতীয় রাকাত:

ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাতে বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির প্রথম রাকাতের মতো করেই আদায় করবেন। অতপর রুকু-সিজদা করার পর
বৈঠকে বসে, তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ে অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করবেন।

এ নিয়মে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। উভয় ঈদের আগে পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ পড়ার হুকুম নেই। ঈদের সালাতের পূর্বে কোনো আজান দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।এমনকি এ নামাযে কোন ইকামতের দরকার হয় না।

(০৬) নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া:

আরবি উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

(০৭) ইমাম সাহেবকে দুটি খুতবা দেয়া:

ঈদুল আজহা নামাজের পর ইমাম সাহেবের দুইটি খুতবা দিতে হয়।ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা পড়বে আর সকল মুসলমান ভায়েরা খুতবা মনোযোগের সহিত শুনবে।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন