কম্পিউটারে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তবে মাইক্রোসফ্ট উইনন্ডোজ জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম যার মাধ্যমে অধিকাংশ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত হয়ে থাকে। মাইক্রোসফ্ট উইনন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘বিল গেটস্’। প্রকৃতপক্ষে মাইক্রোসফ্ট উইনন্ডোজ আমেরিকান একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে অধিকাংশ কম্পিউটারে উইনন্ডোজ ১১ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। উইন্ডোজ ১১ একটি পাওয়ারফুল অপারেটিং সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কম্পিউটার অপারেট করতে পারবেন এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। বর্তমানে মাইক্রোসফ্ট উইনন্ডোজ ১১ এর চিপ এক্সিকিউটিভ অফিসার হচ্ছেন সাটইয়া নাডেলা। সে একজন ভারতীয় নাগরিক। উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করা খুবই সহজ যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায়িক লেনদেন সংরক্ষণ করিতে পারবেন।
উইন্ডোজ ১১ যেভাবে ইনস্টল করবেন:
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করতে আপনাকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ সিপিউই/ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে যার র্যাম থাকতে হবে মিনিমাম ৪ জিবি, তৃতীয় প্রজন্মের প্রসেসর ও ৬৪ জিবি হার্ডডিক্স স্টোরেজ। উউন্ডোজ ১১ খুবই দ্রুত ইনস্টল করা সম্ভব। আপনি আপনার সিস্টেম হার্ড ড্রাইভে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল দিয়ে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এইজন্য আপনাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে উইন্ডোজ ১১ ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং আপনার পেইনড্রাইভে রিফাস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে উইন্ডোজ কম্পিউটারে ইনস্টল দিতে পারবেন। ইনস্টলের সময় আপনি আপনার রোকেশন সিলেক্ট করে পরবর্তী পেজে যাবেন এবং সেখানে উইন্ডোজের ইনস্টলের বিভিন্ন অপশন পাবেন এবং আপনাকে যেকোন একটি সিলেক্ট করে আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ইনস্টল করে নিতে হবে। উইন্ডোজ ১১ প্রোফেশনাল সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্সন যা কম্পিউটার ব্যবহারকারী খুব বেশী ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন ভার্সনের উইন্ডোজ ১১ আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের মত উইন্ডোজ ভার্সন ইনস্টল করে নিতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনার নাম ও কোম্পানির নাম দিয়ে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করে নিতে হবে।
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারে কিছু টিপস:
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারের সময় আপনি দ্রুত আপনার কিবোর্ডের উইন্ডোজ ট্যাবের মাধ্যমে সহজেই স্টার্ট মেনু আনতে পারবেন এবং স্টার্ট মেনুর পাশে সার্চ বাটন পাবেন যার মাধ্যমে আপনি সার্চ করে দ্রুত আপনার ফাইল আনতে আনতে পারবেন। এছাড়াও সার্চে গিয়ে রান করে সিএমডি লিখে সেখানে আপনি প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত সমাধাণ করে নিতে পারবেন। সিএমডিতে গিয়ে রেজিডিট লিখে আপনি সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
উইন্ডোজ ১১ দ্রুত সক্রিয় করার নিয়ম:
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারে মাঝে মাঝে আপনাকে ভোগান্তির শিকার হওয়া লাগতে পারে। উইন্ডোজ ১১ স্লো করলে কি করবেন। আপনি খুব সহজেই আপনার উইন্ডোজ ১১ দ্রুত/ফাস্ট করে নিতে পারবেন। আপনি উইন্ডোজের সার্চ বাটনে গিয়ে রান লিখে সার্চ করবেন এবং পরবর্তীতে টেম্প লিখে ভেতরে ঢুকে সব অকেজো ফাইল মুছে ফেলবেন। এরপর একে একে সার্চ করে রিসেন্ট ও প্রিফেচ লিখে সেখান থেকে যাবতীয় াকেজো ফাইল ডিলিট করে দিবেন।
এভাবে আপনি আপনার উইন্ডোজ ১১ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।