এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে অসাধারণ গিফট ইমেইজ তৈরি করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে অসাধারণ গিফট ইমেইজ তৈরি করার উপায় । আচ্ছা আপনি কি কখনো দেখেছেন যে একটা সাধারণ ছবির মত কোন ছবি । কিন্তু সেখানে বেশ কিছু ছবি একটার পর একটা অটোমেটিক আসছে। আমরা সাধারণত এরকম ইমেজকে গিফট ফাইল বলে থাকি। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি এরকম একটা গিফট ফাইল তৈরি করবেন।

সবার প্রথম আমাদের জেনে নেওয়া দরকার যে আমরা কেন এগুলো তৈরি করব। তো এগুলো তৈরি করার বেশকিছু উদ্দেশ্য থাকে। প্রথমত আপনার যদি কোন ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে চান তাহলে এরকম ইমেজ তৈরি করে সেগুলো শেয়ার করতে পারেন। আর দ্বিতীয় হচ্ছে যে আমরা অনেক সময় আমাদের বন্ধু ফ্যামিলি কিংবা অন্য যে কাউকে গিফট হিসেবে দিয়ে থাকি। অনেক সময় জন্মদিন বা অন্য কোন দিনের উপহার দিয়ে থাকি।

আমি সাধারন একটা গিফট ফাইল তৈরি করে ফেলেছি খুব সহজে । আপনাদের জাস্ট দেখানোর জন্য এরকম চাইলে আপনারা খুব সহজেই ফাইল তৈরী করতে পারবেন। এর থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর গিফট তৈরি করতে পারবেন। এর জন্য আপনাদের গুগল প্লে স্টোর থেকে একটা অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। আমি নিচে অ্যাপসের লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি।

অ্যাপস লিংক : ক্লিক করে ডাউনলোড করুন

লিংকে ক্লিক করার পর আপনাদেরকে প্লে স্টোরে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে আপনারা অ্যাপ ডাউনলোড করে নেবেন। অ্যাপ ডাউনলোড করার পর এখানে আপনাকে কোন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে না। এখানে আপনারা সবার প্রথম আপনাদের মোবাইল থেকে অ্যাপস ওপেন করবেন। কোন ইন্টারনেটে কানেকশন দরকার নেই। একদম ফ্রী ব্যবহার করা যাবে।

ওপেন করার পর আপনি এখানে একটা প্লাস আইকন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন। ক্লিক করলে আপনাকে অনেকগুলো অপশন থাকবে। আপনি যদি চান আপনার গ্যালারি থেকে ইমেজ নিয়ে গিফট তৈরি করবেন সেক্ষেত্রে করতে পারেন। আপনি গ্যালারি সিলেক্ট করবেন সিলেক্ট করার পর এখানে আপনি একসাথে প্রায় 150 টার মত ইমেজ ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যেই ইমেজগুলো ব্যাবহার করতে চাই সেগুলো সিলেক্ট করবেন। সিলেট করার পর উপরে থেকে নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।

নেক্সট বাটনে ক্লিক করার পর আপনি এখানে দেখবেন যে গুলো অটোমেটিক তৈরি হয়ে গেছে। এখান থেকে আপনি চাইলে কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন। আপনাকে সে সম্ভবত সেই স্পিডে অর্থাৎ টাইমার টা রয়েছে সেটা একটু কমিয়ে দেবেন। যাতে সবগুলো ছবি আস্তে আস্তে আসে ও বোঝা যায়। নিচে আপনি অনেকগুলো কাস্টমাইজ করার অপশন পাবেন এগুলো দেখে নিতে পারেন।

কাস্টমাইজ করা হয়ে গেলে আপনি এটা সেভ করে নিতে পারেন। সেভ করে নিলে সরাসরি আপনার ফোনের মেমোরিতে অথবা যে মেমোরি আপনি ব্যবহার করবেন সেটাতে সেভ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আপনি এটা শেয়ার করতে পারেন। এই ছিল আজকের পোস্ট আপনারা যদি এই পোস্টটা ভাল লাগে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন সবাই আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন