এপোল আইফোন ১২ প্রো মেক্স এর রিভিউ। বেস্ট ফোন ২০২০ সালে।

Apple Iphone 12 Pro Max

Apple Iphone 12 Pro Max

Apple আগামী সেপ্টেম্বর মাসে একটা স্মার্টফোন বাজারে ছেড়বে যার নাম “Apple IPhone 12 Pro Max ” । এর সব কিছুই জানা গেছে এতদিনে। আমি সিফাত আজকে আপনাদেরকে “Apple IPhone 12 Pro Max” এর সম্পূর্ণ রিভিউ দিব তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক ।

ডিজাইন 
এর সামনে পিছনে দুই দিকেই রক্ষা করছে “গোরিলা গ্লাস “। তবে কোন গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে তা বলা হয় নি। এর ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে ” ইস্টিল” দিয়ে যা খুবই শক্ত একটি ফ্রেম। এখানে নানা রকম ক্লার হয়েছে দেওয়া হয়েছে যা থেকে  আপনি আপনার মনের মত ক্লার বেছে নিতে পারবেন।  এখানে মোট ৫টি ক্লার দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলোর ক্লার হলো “Matte Space Gray, Matte Silver, Matte Gold, Matte Midnight Green, Matte Blue”। তাছাড়াও এর ডিজাইন দেখতে অসাধারণ। আমার মতে এর ডিজাইনে একে ১০ এ ৯ দেওয়া যায়।

ডিসপ্লে
এতে ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে “সুপার রেটিনা” যার আকার হচ্ছে ৬.৭ ইঞ্চি এবং এর রিফ্রেশ রেড দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ। এই ডিসপ্লেতে যেকোন ভিডিও ১০৮০পি তে দেখা যাবে। এখানে একটি ক্যামেরা দেওয়া আছে যা মাঝখানে রাখা হয়েছে। এখানে আউট ড্রোরের সরাসরি সূর্যের অলোর মধ্যে দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৮০০ নিডস।

এই বার কথা বলা যাক প্রসেসর বিষয় নিয়ে;
এতে ব্যাবহার করা হয়েছে “Apple Baonik A14 “। যা একটি প্লগসিফ প্রসেসর এবং এটি একটি ৫ নেনমিটারের প্রসেসর। এই প্রসেসর দিয়ে যেকোনো গেম মাখনের মতো চলবে। “জিরো আওয়ার”মত বড় সাইজের গেম চালাতে কোন সমস্যা হবে না।

র‍্যাম রম 
এখানে রম হিসেব থাকবে ৬ জিবি এবং র‍্যাম হিসেবে থাকবে ১২৮/২৫৬/৫১২ জিবি।

ক্যামেরা 
এখানে ক্যামেরা হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন কোয়াড্র রিয়ার ক্যামেরা। যার মেইন ক্যামেরা ১২ মেগাপিক্সেল এবং এর এফফারচার হচ্ছে 1.8 । আর এখানে ১২ মেগাপিক্সেল একটা আল্ট্রাওয়াড্র ক্যামেরা আছে যার এফফারচার হচ্ছে 1.8 । এখানে আরও পাচ্ছেন ১২ মেগাপিক্সেলের ম্যাকরো লেন্স যার এফফারচার হচ্ছে 2.2। তাছাড়াও পাচ্ছেন একটি ডেল স্নেসর।  এর মেইন ক্যামেরা দিয়ে আপনি ১০৮০ পি তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।

সেলফি ক্যামেরা  
এখানে সেলফি ক্যামেরাতে পেয়ে যাচ্ছেন একটি মেগাপিক্সেল ১২ যার এফফারচার হচ্ছে 2.2
এই ক্যামেরা দিয়ে বেশ ভালোই ছবি তোলা যায় যদি ভালো আলো থাকে তাহলে। আর এটা দিয়ে ১০৮০ পি তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।

ব্যাটারি 
তে ব্যাবহার করা হয়েছে ৪০০০ এমএইচ ব্যাটারি যা দিয়ে এই ফোন আরাম চেয়ে দিন রাত চলে যাবে। তবে আমার মনে হয় রাত শেষে সামান্য একটু চার্জ দিতে হবে। তাছাড়াও একটানা গেম প্লেইং করলে এভারেজে ৬-৬.৩০ ঘন্টা পাড় করে দেওয়া যাবে আর শুধু শোসাল মিডিয়া চালালে দিন রাত নরমালি চলে এবং সকালে কিছুটা চার্জ বাকি থাকবে।

চার্জিং 

এই ফোনের বক্সের সাথে দেওয়া হয়েছে ১৮ ওয়াড্রের ফাস্ট চার্জার যা ব্যবহার করে ফোনটি ৩-৩.৩০ ঘন্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে।

স্নেসর 

এখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় স্নেসর আছে। তবে সব চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এখানে 3.5 এমএম অডিও জ্যাক নাই । এখানে চার্জিং প্রোট দেওয়া হয়েছে “উএসবি ২.০” সাথে তো ওয়ারলেস চার্জিং পেয়ে যাচ্ছেন ।

দাম 
এর দাম বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লক্ক্ষ ৪০ হাজার টাকার বেশি হতে পারে।
ধন্যবাদ। কমেন্ট করে জানান যে কেমন লাগলো আপনার এই ফোনটি। আর কিছু দিনের মধ্যে আরেকটি ফোনের রিভিউ আসছে তাই পাশে থন।

Related Posts