এবার বাড়তে চলেছে ইন্টারনেটের গতি। ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে। ২০২৪ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মিলবে বাড়তি ৬ টেরাবাইট গতির ব্যান্ডউইথ। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ছয়শ তিরানব্বই কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।
ইন্টারনেট সেবায় গতি নির্দেশক হলো ব্যান্ডউইথ। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়ছে ততোই বাড়ছে ব্যান্ডউইথের চাহিদা। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড বিএসসিসিএল এবং ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল আইটিসির হিসেব অনুযায়ী গত কয়েক বছরে দেশে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বৃদ্ধির হার প্রায় ৭০%। বর্তমানে দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের যে সক্ষমতা রয়েছে তা আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে প্রায় শেষ হয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে ফাইভ-জি চালু হলে বাড়বে ব্যান্ডউইথের চাহিদা। সেই বিবেচনায় তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (SEA-ME-WE 6) এ সংযুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ জন্য ব্যয় হবে ৬৯৩ কোটি টাকা।
সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত সংযুক্ত (SEA-ME-WE 6) সাবমেরিন ক্যাবলটি ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, লোহিতসাগর হয়ে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। যেখান থেকে ব্যান্ডউইথ পেতে ১৩ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার কোর সাবমেরিন ক্যাবল এবং ১৮৫০ কিলোমিটার ব্রাঞ্চ সাবমেরিন ক্যাবল বসানো হবে। বাংলাদেশের ল্যান্ডিং স্টেশনটি হবে কক্সবাজারে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুমোদন দেয়া হয়েছে ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী। এতে ৭৪১ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩১৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে ২২ ভাগের বেশি। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ৪ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহককে আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সেবার আওতায় আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তিনটি সংশোধিত প্রকল্প সহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায়। যাতে মোট ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ২১১৫ কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন এ সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ থেকে বাংলাদেশ প্রতি সেকেন্ডে ৬ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ পেতে সক্ষম হবে। যা ফাইভ-জি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
করোনা পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ব্যান্ডউইথের সংকট দেখা যায়। এ পরিস্থিতিকে সামনে রেখেও এ প্রকল্পটি ভাল ফল প্রদান করবে বলে আশা করা যায়। যদিও সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে, তারপরও এটি বাংলাদেশের জন্য বেশ অগ্রগতি নিয়ে আসবে বলে আশা করা যায়।
hu
Valoi to
Taholeto valo hoy
Nice
Ok
good post
nice
nice
well