ওজন কমানোর তিনটি সহজ উপায়।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাবার এর পরিমাণ বেশি থাকে, যার ফলে শরীরের ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। অনেক মানুষ এই স্থূলতা রোগে ভুগছেন। শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য শুধুমাত্র শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে না বরং হার্টের ক্ষতি করে। এজন্য আমাদেরকে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত এবং দ্রুত খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরী।

সকল স্থূল ব্যক্তি চান শরীরের ওজন কমাতে। শরীরের ওজন কমাতে অনেকে অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। না খেয়ে থাকা সহ আরো অনেক ধরনের পদ্ধতি অনেকেই ট্রাই করে থাকেন।এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি ওজন কমাতে সক্ষম না হন তাহলে আগের পরিকল্পনাগুলো বাদ দিয়ে দিন। নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। না খেয়ে থাকার চেষ্টা করবেন কিন্তু কখনই একেবারে পুরোটা দিন না খেয়ে থাকবেন না।

👉 শরীরের ওজন কমানোর তিনটি কার্যকরী পদ্ধতি।

১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যেসব খাবার গ্রহণ করার কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় , সেসব খাবার পরিহার করতে হবে। যেমন অতিরিক্ত ক্যালরি এবং চিনিযুক্ত খাবার। যখন আপনি ওজন কমাতে চাইবেন তখন আপনার ক্ষুধার মাত্রা নিচে নামিয়ে আনুন। আপনার শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতে বেশি বেশি কাজ করুন। চর্বি কমানোর অন্যতম উপায় হল বেশি বেশি পানি পান করা। পানি পান করলে কিডনি ভালো থাকে, কিডনির কোন ধরনের সমস্যা হয় না। এছাড়া বেশি বেশি পানি পান করলে পেট মোটা হয় না।

এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রথম সপ্তাহে 10 পাউন্ড অথবা তারও বেশি ওজন কমানো সম্ভব। এতে আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী ওজন কমতে থাকবে। এর ফলে আপনি কম ক্যালরি যুক্ত খাবারের অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিয়ে যেতে থাকবেন। এভাবে আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা আপনাকে অবশ্যই শর্করা স্নেহ জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

২. খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনুন। আপনার খাদ্য তালিকায় এমন খাবার এখন যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার খাদ্য তালিকায় একটি প্রোটিন যুক্ত একটি চর্বিযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি রাখুন। আপনার খাবারের তালিকায় প্রোটিনের উৎস গুলো রাখুন।

উচ্চ প্রোটিন আছে এমন 60% খাবার বাদ দিলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ফুলকপি, টমেটো , লেটুস পাতা , পাতাকপি, শসা ইত্যাদি কম কার্বনযুক্ত শাকসবজি দিয়ে আপনি আপনার প্লেট ভর্তি করে ফেলুন, কারণ এসব খাবার অতিরিক্ত খেলে আপনার ওজন বাড়বে না।

৩. ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপায়টি হলো ব্যায়াম। স্থূলকায় 80% মানুষ ব্যায়াম করতে ভয় পান, এ কারণে তাদের খাদ্যতালিকায় খাদ্যের পরিমাণ কম থাকা সত্ত্বেও ওজন কমানো সম্ভব হয় না। প্রতিদিন অন্তত 40 থেকে 50 মিনিট হার্ড ব্যায়াম করা উচিত। খেতে খুব তাড়াতাড়ি শরীরের ওজন কমানো সম্ভব। ব্যায়াম করার ফলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, শরীর রোগমুক্ত থাকে।

এই তিন উপায় মেনে চললে আশা করা যায় আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে পারবেন। এটা আপনার শরীর সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকবে।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন