ওয়াইফাই কি? এটি কিভাবে কাজ করে?

বর্তমান সময়ে দৈনন্দিন জীবনে ওয়াইফাই ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এর কারণ ওয়াইফাই এর সাহায্যে অতি ও কোনো রকম তার বা কেবলের সংযোগ ছাড়া সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
বিভিন্ন রেস্তোরা,হোটেল,আবাসিক প্লট বা শপিংমল অথবা বিভিন্ন যানবাহন বাস,ট্রেন বা এরোপ্লেন কিংবা কোনো বাস স্ট্যান্ড,ট্রেন ষ্টেশন বা বিভিন্ন ব্যায়ামাগার,স্টেডিয়াম ও সুপারশপে যেখানেই যান না কেন আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন শুধুমাত্র ওয়াইফাই এর কল্যাণে। বর্তমান স্বাভাবিক জীবনের সাথে এটি দারুণ ভাবে মিশে গেছে।
তাই বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে ওয়াই-ফাই অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি নাম।

ওয়াই-ফাই কি?

ওয়াই-ফাই বা wifi এর পূর্ণ রুপ হলো Wireless Fidelity. নামেই বোঝা যায় এটি একটি তারবিহীন মাধ্যম। প্রাথমিকভাবে এটি একটি শর্ট ফর্ম হলে ও আদতে এটি একটি ব্র্যান্ডের নাম। যা একটি বিপনন সংস্থার মাধ্যমে আন্তঃব্যবহারযোগ্য মার্কেটিং এর প্রচেষ্টা। সংক্ষেপে ওয়াইফাই হলো এমন একটি তারবিহীন যোগাযোগ মাধ্যম যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস কে ইন্টারনেট এক্সেসেসের সুবিধা প্রদান করে।

ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে?

ওয়াইফাই একটি তারবিহীন যোগাযোগ মাধ্যম। ওয়াইফাই এ যুক্ত থাকা ডিভাইস গুলোতে তথ্য আদান-প্রদান বা যোগাযোগের জন্য এটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে।
এই রেডিও তরঙ্গ আমাদের স্মার্টফোন, ওয়াকিটকি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ থেকে কিছুটা ভিন্ন। এটিতে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ২.৪ গিগাহার্টজ ও ৫ গিগাহার্টজ এই দুই ধরণের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। 802.11b স্ট্যান্ডার্ডে ওয়াইফাই এ ভালো ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া যায়।

সাধারণত দুইভাবে আমরা ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পেতে পারি। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর কতৃক দেয়া ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এবং সার্ভিস প্রোভাইডার কতৃক দেয়া ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে।

ওয়াইফাই এ কানেক্ট হয়ে আমরা যখন ইন্টারনেট কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে চায় তখন আমাদের কানেকশনকৃত ডিভাইস টি রাউটারের কাছে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সেই সিগনালটি প্রেরণ করে এরপর রাউটার আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে তা উক্ত ডিভাইসে প্রেরণ করে। সর্বশেষে আমাদের ডিভাইসটি তথ্য গুলো দেখার উপযোগী করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।

ওয়াইফাই এর সুবিধা সমূহঃ

১. খুব সহজে ব্যবহার করা যায়।
২. সেলুলারের চেয়ে খরচ অনেক কম।
৩. তুলনামূলক ভাবে স্পিড ও বেশি।
৪. তার বা ক্যাবল সংযোগের ঝামেলা নেই।
৫. যে কোনো যায়গায় ব্যবহার করা যায়।
৬. একই সাথে একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারেন।
৭. সার্বক্ষণিক ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকা যায়।
৮. অনাকাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট গুলো ব্লক করা যায়।

ওয়াইফাই এর অসুবিধা সমূহঃ

১. একসাথে বেশি মানুষ ইউজ করলে স্পিড কমে যায়।
২. এখনো সবত্র বিস্তৃত নয়।
৩. রেঞ্জের বাইরে গেলে ব্যবহার করা যায় না।

ওয়াইফাই অসুবিধার চেয়ে সুবিধার পাল্লা ভারি হওয়ায় অনেক মানুষ এটি ব্যবহার করছে। এবং এর সুবিধা ও জনপ্রিয়তার কারণে এর বিস্তৃিতি ও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যেভাবে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে দিনকে দিন আমাদের জীবন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যে যে কোনো জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

মানুষ মাত্রই ভুল। তাই পোস্টে ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশাকরি।

পোস্ট টি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। যদি এটি পড়ে আপনার এতটুকু উপকার ও হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন