আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় পাঠকগন,আশা করি ভালো আছেন।আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আপনারা অনেকেই ওয়ার্ড প্রসেসরে মাইক্রোসফট ব্যবহার করে নতুন ফাইল খুলতে পারেননা।
তাই আপনাদেরকে আমি আজকে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে কিভাবে নতুন ফাইল খুলবে ও কিভাবে লিখবেন সে সম্পর্কে বিস্তাররিত বলবো। ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে লেখার সুবিধা কি সেটাও আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব যদি পুরো পোস্ট টা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা কি সবকিছু বুঝতে পারবেন।
বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার আছে যেমন -মাইক্রোসফট ও্য়ার্ড,ওপেন অফিস রাইটার তবে আজকে আমি মাইক্রো সফট ওয়্যার দিয়ে কিভাবে লেখালেখি করবেন তা সমম্পর্কে বিস্তাররিত বলব।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক-
প্রথমে কম্পিউটার অন করতে হবে তারপর মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর অপশন গিয়ে ক্লিক করতে হবে তারপর ফাইলে ক্লিক করার পর ব্ল্যাক ডকুমেন্ট ক্লিক করতে হবে তারপর ক্রিয়েট এ ক্লিক করলেই নতুন ফাইল ক্রিয়েট হয়ে যাবে।
তারপর পুরো মনিটর জুড়ে একটা সাদা কাগজের মতো পৃষ্ঠা খুলে যাবে এবং তার শুরুতে একটা ছোট খাড়া লাইইন জ্বলতে নিভতে থাকবে যা কারছার নামে পরিচিত। এখন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড লেখালেখির জন্য প্রস্তুত। মাইক্রো সফট্ওয়ারে লেখালেখি করার জন্য কম্পিউটারের কিবোর্ড কোনটা দিয়ে কি হয় তা জানা খুবই জরুরী। তাই আমি গুরুত্বপূর্ন কয়েকটা কি নিয়ে আলোচনা করব।সেগুলো হচ্ছে-
১/বড় হাতের অক্ষর লেখার জন্য শিফট কী চেপে ধরতে হবে, না হলে ছোট হাতের হবে।
২/লেখার মাঝখানে ফাঁকা রাখার জন্য স্পেস বার টিপ দিতে হবে।
৩/ নতুন প্যারাগ্রাফ শুরু করার জন্য এন্টার বাটনে চাপ দিতে।
৪/যখন লেখা হয় তখনকার কারছারটি লেখার শেষে থাকে মাউস নাড়িয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে গেলে কার কারছারটিও সেখানে যায়,মাউসটিকে ক্লিক সেখান থেকে লেখা শুরু হবে।
৫/ডিলিট বোতামটি চাপ দিয়ে কারছার এর আগের অংশ মোছা যায়।আগের অশ মোছার জন্য ব্যাক স্পেস বোতামটি চাপ দিয়ে তারপর ডিলিট বোতাম টি চাপ দিলে আগের অংশ মোছা যাবে।
এছাড়াও কি-বোর্ড এ অনেক বোতাম আছে তবে উপরের পাঁচটি বিষয় জানা থাকলে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করলে সবকিছুই লেখা সম্ভব।
এবার লেখা সেব করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর এর উপরের দিকে তাকালে ফাইল মেনু দেখা যাবে দেখা যাবে সেখানে ক্লিক করে সেখান থেকে সেব অপশনটা ক্লিক করলে লেখাগুলো সেভ হয়ে যাবে। লেখাটি চাইলে একটা নাম দিয়েও সেভ করা যাবে।
ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার কাজ করে আমরা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকি।যেমন-
১/নির্ভুল ভাবে লেখালেখি করতে পারি।
২/ভুল সংশোধন করা যায়।
৩/লেখা সংরক্ষন করে তা যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়।ফলে একই কাজ বারবার করার প্রয়োজন হয় না।
৪/নানা ভাবে লেখাকে উপস্থাপন করা যায়।যেমন-লেখার আকার ছোট বড় করা যায়,বক্স আকারে প্রকাশ করা যায়,লেখা রঙিন করা যায়।
৫/ছবি,চার্ট ইত্যাদি সংযোজন করা যায়।
৬/ইনসার্ট ট্যাব থেকে লেখা বিভিন্ন স্টাইল করা যায়।
৭/পৃষ্ঠার নাম্বার দেওয়া যায়। ইত্যাদি
আশা করি আপনারা মাইক্রো সফটওয়্যার ব্যবহার করে কিভাবে নতুন ফাইল খোলে ও লেখে বুঝতে পেরেছেন।