করোনা ভাইরাসের নতুন লক্ষনগুলো এবং ভাইরাস সনাক্তকরণের সাধারন উপায়!

করোনা ভাইরাস একটা মহামারি ব্যাধি।যাকে অনেকটা ক্যান্সারের সাথে তুলনা করা হয়। এই ভাইরাসের প্রকোপে পড়লে বাচা প্রায় অসম্ভব। আগের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের লক্ষনগুলো ১ সপ্তাহের মধ্যেই ধরা পড়তো। এবং আক্রান্ত ব্যাক্তি ঠান্ডা,সর্দি,জ্বর এবং শুকনো কাশিতে ভুগতো। আগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রত্যেক চার জনের মধ্যে একজনের পরিস্থিতি মারাত্মক এবং ভয়াবহ আকার ধারন করতো। কিন্তু বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী আক্রান্ত হলেই মৃত্যু অনীবার্য প্রায় ক্ষেত্রে।বর্তমানে করোনা ভাইরাসের লক্ষনগুলো পরিবর্তন হয়েছে এবং এই ভাইরাস আরো ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। করোনা ভাইরাসের লক্ষনগুলো এখন অতিসহজেই ধরা পড়ে না। বরং ভাইরাস ধরা পড়তে পড়তে ভাইরাসের জীবাণুর কবলে পড়ে রোগী অর্ধমৃত হয়ে যায়।

বর্তমানে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা শিঘ্রই বোঝা যায় না। দীর্ঘদিন এর লক্ষনগুলো প্রকাশও পায় না। নতুন করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে কীভাবে বোঝা যাবে?
করোনা ভাইরাস এর গবেষকদের ভাষ্যমতে করোনা ভাইরাসের জীবানুগুলোর সুষ্ট বিকাশ ঘটতে আনুমানিক ২৮ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এই সময়কালে ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির অনবরত জ্বর থাকবে এবং কফ জমা হবে। ২৮ দিন পরে যেসব রোগিরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় তাদের ফুসফুসের প্রায় ৫০ শতাংশ ফাইব্রোসিস হয়ে যায়। ফাইব্রোসিস এর মানে হলো আক্রান্ত ব্যাক্তির ফুসফুস করোনার জীবাণুতে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত এবং রোগির চিকিৎসা শুরু করতে বেশ দেড়ি হয়ে গেছে।

করোনা ভাইরাসের নতুন লক্ষনগুলো পর্যবেক্ষণ করে তাইওয়ানের ডাক্তাররা ভাইরাস সনাক্তকরনের একটি উপায় বের করেছেন। যা সকলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে পারবে যে সে আসলেই করোনা সংক্রমিত কী না!

১০ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে দীর্ঘশ্বাস নিলে যদি আপনি কোন কাশি,অস্বস্তি,ক্লান্তি এবং গুমোটভাব ছাড়াই সফলভাবে নিঃশ্বাস ছাড়তে পারেন। তাহলে এটি প্রমাণ করে যে ফুসফুসে কোনও ফাইব্রোসিস বা কোনও সংক্রমণ নেই।

এছাড়া করোনাভাইরাসের চিকিৎসার পরে জাপানি ডাক্তাররা দারুন এক পরামর্শ উত্থাপন করেছেন। তারা বিশেষভাবে সবার গলা এবং মুখের দিকে স্বজাগ নজর দিতে বলেছেন। জাপানি ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ি মুখ ও গলা যাতে বেশিক্ষণ যাবৎ না শুকিয়ে থাকে। এর জন্য প্রত্যেক ১৫ মিনিটে কয়েক চুমুক পরিমান পানি পান করার উপদেশ দিয়েছেন তারা।

মুলত পানি পান করার মুল উদ্দেশ্য হলো।যদি কারো মুখে ভাইরাস প্রবেশ করে তবে পানি বা অন্যান্য তরল পান করলে এ্যাসফ্যাগাসের মাধ্যমে খাদ্যনালী থেকে ভাইরাস নিচে পাকস্থলীতে নেমে যাবে।

ফলে পেটে থাকা এসিডগুলো সব ভাইরাসকে মেরে ফেলবে। তাই সবাইকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

আপনি যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করেন তাহলে ভাইরাসটি আপনার উইন্ডোপাইপ ও ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে। যা খুবই বিপজ্জনক।

  1. তাছাড়াও নিজের আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখুন,বাইরে বের হবার সময় মুখে মাস্ক পরিধান করুন(সার্জিকাল মাস্ক হলে ভালো হয়),যাতায়াতের জন্য গন পরিবহন ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।যদিও বাংলাদেশে যাতায়াতের প্রধান এবং সহজলভ্য মাধ্যম গনপরিবহন। তবুও সাধ্যমতো চেষ্টা করুন গনপরিবহন এড়িয়ে চলার। সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিন। নিজে বাচুন অন্যকে বাচান। দেশকে বাচান দশকে বাচান!!!

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন