কাউকে ঠকিয়ে কেউ সুখী হতে পারে না।

ভালোবাসেন এর মানে এই না যে, সেও আপনাকে ভালোবাসে।সবাই স্বার্থপর,শুধু সময়ের অপেক্ষা। সময়ই বলে দেয়,কে আপন আর কে পর।তাই কাউকে ভালোবাসার আগে তাকে টেস্ট করে নেয়া উচিত।
সুমন একজন চাকরীজীবি।সে একজনকে খুব বেশিই পছন্দ করে।কিন্তু সেই মেয়ে রাজি হয় না।নাম তার সুমিলা।সুমিলার জন্য প্রতিদিন রাস্তার গলিতে গলিতে দাড়িয়ে থাকে।কিন্তু সুমিলা কে কখনোই বলেনি তাকে কতটুকু ভালোবাসে।
সুমনের হঠাৎ করেই চাকরীর প্রমোশন হয়েছে। তাই সে আজ বিশাল খুশি।বন্ধু – বান্ধবদের নিয়ে আজ পার্টিও দিয়েছে। তাই তার মনটাও অনেক ভালো।সে হঠাৎ ই ভাবলো তার ভালোবাসার কথা সুমিলাকে বলে দিবে।তাই সে পরের দিন সে অফিসে যায়নি।কিভাবে সে তার ভালোবাসার কথা বলবে,তার প্রস্তুতি নিতেছে।
বিকেলে রাস্তার গলিতে আজ অন্য ভাবে দাড়িয়ে আছে সুমন।সুমিলা আসা মাত্রই তাকে সে তার মনের কথা বলে দিল।আর তাতে সুমিলা রাজিও হয়ে গেল কিন্তু সে বললো যেদিন আমার মন জয় করতে পারবে,সেদিন আমি তুমাকে আমার মন দিবো।
রাতে সুমিলা কল দিয়েছে সুমনকে।সুমন তো মহাখুশি।সুমন কল ধরতেই সুমিলা সুমনকে বলে নীল শার্ট পরে আমার বাসার নিচু এসে দাড়াও।সুমন বললো এখন তো রাত ১২ টা বাজে আর অনেক বৃষ্টিও হচ্ছে, তাই কাল যায়।সুমিলা;তার মানে তুমি আসবেনা।আচ্ছা বুঝা হয়ে গেছে,তুমি আমার মন জয় করতে পারবে না, বাই।
সুমন;না না না। আামি এখনি তুমার বাসার সামনে যায়তেছি।
সুমন অনেক বৃষ্টি আর রাতকে অপেক্ষা করে চলে আসে।আর সুমিলাকে বাসার বাইরে থেকে ডাক দেয়।সুমিলা চলে আসে,আার সুমনকে দেখে বলে ওকে চলে যাও।সুমন কিছুতো বলো এতে রাতে আসলাম।সুমিলা তুমি চলে যাবে না কি ব্রেকআপ করবো।সুৃমন নিরুপায় হয়ে চলে যায়।
পরের দিন সুমিলা,সুমনকে গোলাপ আনতে বলে।কিন্তু সুমনের রাতে ভিজার জন্য শরীরে জ্বর এসে পড়ে।তাই সে যেতে চায় না, কিন্তু সুমিলা তাকে আবার হুমকি দেয়।
তাই সুমন বাধ্য হয়ে পার্কে ফুল নিয়ে যায়,সাদা গোলাপ। কিন্তু সাদা গোলাপ দেখেই সুমিলা খুব রাগ।কারণ,সুমিলার নাকি সাদা গোলাপ ফুল পছন্দই না।তাই সুমিলা,সুমনকে বলে তুমি এখনি লাল গোলাপ এনে দিবে,সময় ২ মিনিট।
সুমন অনেক ভেবে দেখে এই মূহুর্তে লাল গোলাপ আনা সম্ভব না।তাই সে পাশের ঝাল মুড়ি ওয়ালার কাছ থেকে ছুরি দিয়ে হাত কেটে সাদা গোলাপে রক্ত দিয়ে লাল করে দেয়।আর এটা দেখে সুমিলা ভাবে সুমন তাকে সত্যিই ভালোবাসে।আর তার পর থেকেই সুমনকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে থাকে।তাদের ভালোবাসা দীর্ঘ ৫ বছর যাওয়ার পর তারা বিয়ে করে।সুখে-শান্তিতে ভালোবাসায় তাদের নতুন পরিবারে তাদের বাবা মা কে নিয়ে সুখে জীবন-যাপন করে।

Related Posts

16 Comments

মন্তব্য করুন