কিভাবে ভালো রাখবেন এন্ড্রয়েড ফোন

এন্ড্রয়েড ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গি।আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছে এন্ড্রয়েড ফোন। এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার এত পরিমাণে বাড়ছে যে যেকোনো ফোনের মেয়াদকাল খুব সল্প হচ্ছে। কারণ মোবাইল ফোনের স্পিড কমে যাচ্ছে। এটি সকল ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই হতাশাজনক ব্যাপার।
মোবাইল ফোন যেহেতু আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গি। তাই সঠিক ভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা আমাদের উচিত। আমাদের নিজেদের অজান্তে হ্যাং করে মোবাইল ফোন, স্ল হয়ে যায় আমাদের এন্ড্রয়েড ফোন। তাই আজ আলোচনা করব এমন কিছু বিষয় নিয়ে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে স্পিড ব্যবহার করতে পারেন আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের।তাই সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত এর জন্য কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
১.ব্যবহার করুন উইজেট৷উইজেট ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে আপনার মনের মতো মোবাইল ফোন স্ক্রিন সাজাতে পারবেন।
২.সবসময় আপনি আপনার প্রয়োজনীয় একটি নাম্বার আপনার ইমারজেন্সি কন্টাক্ট এ চালু করেন।
৩.আপনি আপনার পছন্দের মিউজিক কালেকশন রাখুন গুগল প্লেতে।কারণ গুগল প্লেতে আপনি খুব সহজে মিউজিক স্টিম করে রাখতে পারবেন।
৪.সবসময় ফোনের এপসমূহ আপডেট রাখবেন।তাহলে ফোনে ভাইরাস এটাক কম করবে।
৫.আপনি ব্যবহার করতে পারেন পছন্দের কি বোর্ড। অনেক সময় ফোনের কি বোর্ড পছন্দ নাও হতে পারে। তাই গুগল প্লে থেকে ডাউনলোড করুন পছন্দের কি বোর্ড।
৬.ব্যবহার করুন গুগল নাও এপ। গুগল নাও এপ আপনাকে সবসময় আপডেটেড রাখবে সবকিছুতে।
৭. সকল এন্ড্র‍য়েড ফোনের মধ্যে ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গুগল ক্রোম।গুগল ক্রোমের মাধ্যমে সহজে আপনি যেকোনো খুব সহজে এবং দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবেন।
৮.এন্ড্রয়েড ফোনের বিভিন্ন এপে শেয়ার অপশনে দেখা যায়। শেয়ার অপশনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে যেকোনো ম্যাসেজ খুব সহজে এক এপ্লিকেশন থেকে অন্য এপ্লিকেশনে পাঠানো যায়।
৯.এন্ড্রয়েড অপশনে ব্যবহার কর‍তে পারেন গুগল ম্যাপ।কারণ গুগল ম্যাপ অনলাইন কিংবা অফলাইন এ কাজ করে থাকে।
১০.তাছাড়া আপনি আপনার এন্ড্রয়েড ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছবি কিংবা ফাইল স্থানান্তর করতে পারেন আপনার ল্যাপটপ কিংবা ড্রেক্সটপে।
১১.এছাড়াও এমন কিছু এপ রয়েছে যে সকল এপের মাধ্যমে আপনি সহজে আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের ডাটা মুছে ফেলতে পারেন। এমন কিছু এপের মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো এন্ড্রয়েড লস্ট।
১২.আপনি যখন কোন এন্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে কোন এপ কিনবেন তখন সেই এপের ১৫ মিনিটের জন্য রিফান্ড করা হয়। আপনি তখন ট্রায়াল দিতে পারেন সেই এপ আপনার চাহিদা মেটাতে সক্ষম কিনা।যদি এপ আপনার পছন্দ না হয় তাহলে সাথে সাথে আপনি রিফান্ড পেতে পারেন।
টানা অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করবেন না। এতে ফোনের ক্ষতি হতে পারে সেই সাথে আপনারও।তাই আপনার সুরক্ষায় সবার আগে। আশা করি আপনি উপরোক্ত বিষয়য়াদি মেনে চলবেন। এতে আপনার এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারে কোন সমস্যা হবে না

Related Posts

33 Comments

মন্তব্য করুন