ক্যাপচা কি এবং কেনো ব্যবহার হয়? ক্যাপচা নিয়ে যত খুটিনাটি

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা মাঝেমধ্যে একটি পপআপ উইন্ডো দেখতে পাই। এই পপআপ উইন্ডো তে আপনাকে একটি লেখা দেখে দেখে এলটি বক্সে লিখতে হয়। এটাই হলো ক্যাপচা। আমরা প্রায়ই এই ক্যাপচা পূরণ করতে বিরক্ত হই। কিন্তু আসলে এই ক্যাপচা যে কতটুকু গুরূত্বপূর্ন তা জানলে হয়তো আমরা আর বিরক্ত হবোনা।
তাহলে প্রথমে জানতে হবে ক্যাপচা কি। ক্যাপচা (CAPTCHA) এর পূর্ণরূপ হলো Completely Automated Public Turning Test to Tell Computer amd Humans Apart. ক্যাপচা হলো একটি টুল যার মাধ্যমে অথোরিটি বুঝতে পারবে আপনি মানুষ নাকি রোবট বা কম্পিউটার। ক্যাপচার আইডিয়া অনেক আগের। ১৯৯৭ সালে প্রথম ক্যাপচা তৈরী হলেও তার নাম ছিলো ভিন্ন। তারপর ২০০৩ সালে লুই ভন এন, নিকোলাস যে হপার এবং জন ল্যাংফোর্ড এর নাম পরিবর্তন করে দেন ক্যাপচা। তারপর থেকেই মূলত বিভিন্ন ওয়েবসাইট এই ক্যাপচা ব্যবহার শুরু করে।
তাহলে ক্যাপচা কাজ কিভাবে করে? আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সাইন আপ করে নিজের প্রোফাইল তৈরী করি। সেখানে আমরা অবশ্যই একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি আমাদের নিরাপত্তার জন্য। এখন একবার চিন্তা করুন তো কোন প্রোগ্রাম যদি আপনার ওই প্রোফাইল হ্যাক করার চেষ্টা করে! কম্পিউটারের জন্য এই হ্যাকিং অনেক সহজ কারণ তাদের প্রোগ্রাম জটিল সমস্যা সমাধান করার জন্যই তৈরী। তাহলে একবার কল্পনা করুন তো আপনার ব্যাংক একাউন্টের কোটি কোটি টাকা যদি কোনো সফটওয়্যার এর মাধ্যমে চুরি হয়ে যায় তাহলে?
তাহলে সিম্পল এই ক্যাপচা কিভাবে আপনার মহামূল্যবান একাউন্ট সিকিউর করবে? সাধারণত ক্যাপচা পূরণের জন্য আমরা খেয়াল করে থাকবো একটি আকাবাকা ঢেউ খেলানো লেখার ছবি দেয়া হয়ে থাকে। সেখানে উদ্ভটভাবে কিছু বর্ণ দেয়া থাকে। এই অদ্ভুত ভঙ্গিতে লেখা বর্ণগুলোই কম্পিউটার বা সফটওয়্যার ধরতে পারেনা। প্রোগ্রামগুলো জটিল এলগরিদম সমাধান করতে পারলেও সাধারণ একটু বাকা লেখা পড়তে পারেনা। তাই আপনার একাউন্ট লগইন ও করতে পারেনা। মূলত এভাবেই ক্যাপচা আপনার একাউন্ট কে প্রতিনিয়ত সুরক্ষিত করে থাকে।
এই ক্যাপচা এখন তুমূল জনপ্রিয় প্রত্যেকটি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অনলাইন প্লাটফর্মে। মোটামুটি সবাইকেই এই ক্যাপচার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হয় একজন মানুষ একাউন্টে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে ,কোনো রোবট বা সফটওয়্যার নয়। এই ক্যাপচা এখন এতই জনপ্রিয় যে প্রতিদিন গড়ে যদি একজন মানুষ একটি ক্যাপচা পূরণ করতে ১০ সেকেন্ড সময় নেয়, তাহলে পুরো পৃথিবীতে প্রতিদিন যতগুলো ক্যাপচা সলভ করা হয় তার সময়ের পরিমাণ ১৯০০০ ঘণ্টা। মানে প্রতিদিন প্রায় ১৯০০০ ঘণ্টা সমমূল্যের সময় ব্যয় হয় প্রতিদিন ক্যাপচা পূরণের জন্য।
তাহলে আজকে এই পর্যন্তই। নেক্সট পোস্টে ইন শা আল্লাহ কথা বলবো রিক্যাপচা এবং নো ক্যাপচা নিয়ে।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন