অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের যাদুকরী গুণ সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই-ই জেনে থাকি। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনিয়। এটি ওজন কমাতে এবং চুল পরা রোধ করতে বেশ উপকারি। এগুলো ছাড়াও অনেক কাজে ব্যবহার করা হয় এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার।
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আমাদের দেশে এখনও সব জায়গা তে সহজলভ্য নয়। তাই বিশেষ প্রয়োজনের সময় চাইলেও আমরা ব্যবহার করতে পারিনা। মুলত সুপার শপ গুলোতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এভেইলেবল থাকে। শুরু করা যাক প্রস্তুত প্রনালী।
উপকরণঃ
১. অ্যাপেল (পরিমান মতো)
২. সুগার (অর্গানিক সুগার হলে বেশি ভালো হয়)
৩. কাচের জার বা বয়াম (আবশ্যকিয়)
প্রস্তুত প্রণালীঃ আপনি যে পরিমাণ বানাতে চান তার উপর নির্ভর করে আপেল নিতে হবে। আমি এখানে দুটি আপেলের মেজারমেন্ট নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রথমে আপেল দুটো কে ভালোভাবে ধুয়ে শুকনো কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিতে হবে। যাতে আপেলের গায়ে পানি লেগে না থাকে।এরপর আপেল গুলো কে পাতলা স্লাইস করে কাটতে হবে। একটি কাচের বয়াম নিন। সেখানে আপেল গুলো রেখে,বয়ামের গলা অব্দি পানি ঢালুন। পানি টা অবশ্যই ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ১ চামচ অর্গানিক সুগার ঢেলে একটি কাঠের কাঠির সাহায্য নেড়ে দিন।
মনে রাখবেন, সিলভার বা স্টিল জাতীয় কিছু দিয়ে নাড়বেন না। তাহলে পর্যাপ্ত ব্যাকটেরিয়া জন্মাবে না। তারপর একটি কাপড় বা ভারি টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে নিবেন, যাতে ভিতরে বাতাস প্রবেশ করতে পারে। বয়াম টি গরম স্থানে রাখতে হবে, যাতে ফাঙ্গাস না পড়ে। চাইলে চুলার পাশেও রাখতে পারেন।
এক সপ্তাহ পর বয়ামের মুখ খুলে আরও এক টেবিল চামচ সুগার এড করে নিবেন এবং নেরে দিবেন। আবার কাপড় মুড়িয়ে রেখে দিবেন।
এভাবে এক সপ্তাহ পরপর তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সুগার এড করতে হবে। প্রায় চার সপ্তাহ পর হয়ে যাবে পারফেক্ট অ্যাপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার। চতুর্থ সপ্তাহে দেখতে পারবেন আপেলর রং বদলে কমলা কালার হয়ে গেছে এবং আপেল গুলো খুবই নরম কোমল হয়ে গেছে।
বয়ামের মুখ খুলে একটি ছাকনি দিয়ে আপেল থেকে পানি টা আলাদা করে নিতে হবে। পানিটা একটি কাচের বয়ামে রেখে দিন এক মাসের জন্য। একমাস পর যখন মুখে দিবেন দেখবেন রস টা টক এবং ঝাঁঝালো মনে হচ্ছে। যদি এরকম মনে হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার রেসিপি টি পারফেক্ট ভাবে বানানো হয়েছে। একমাস পরেও যদি রস টা হালকা মিস্টি লাগে তাহলে আরও এক সপ্তাহের জন্য রেখে দিন।
ধন্যবাদ 💕