চলুন কোভিড-১৯ কে একবার প্রথম থেকে

আজ আমি কথা বলব সম্প্রতি আলোড়ন জাগানো কোভিড-১৯ নিয়ে।

কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাস, যা আক্রমণ করে চাইনাকে ২০১৯ সালে। এ সময় কিছু দেশে তা অতি অল্প হারে ছড়িয়ে গিয়েছিল। মুলত চাইনা থেকে দেশে ফেরত মানুষের মাধ্যমে ই তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা মোটেও মহামারী আকার ধারণ করেনি।

সাল 2020 , এক বিশেষ বছর। যাতে ২০ দুই বার রয়েছে। টি২০ ক্রিকেট এর সাথে মিল রেখে মজা করে এ বছরটিকে টি২০ বছর বলা হয়। এটা একটা মনে রাখার মতো বছর তাই মনে হয়েছিল পুরো বিশ্ব।আসলেই তাই, কিন্তু তা কি এই টি২০ এর জন্য? না ২০ এর জন্য না, করোনা ভাইরাস এর জন্য।

 

এই ২০২০ সলে করোনা ধারন করে তার আসল রূপ। মার্চ ২০২০, লকডাউন করা হয় ভারত, ইতালি, আমেরিকা, স্পেন এর মতো বড় বড় দেশ।

আশ্চর্য হলেও সত্য যে, যে চাইনাতে শুরু হয় প্রথম করোনা ভাইরাস এর তান্ডব সেই চাইনার প্রতিবেশি দেশগুলো যেমন তিব্বত, মায়ানমার,নাপাল এসব দেশে করোনা নেই বললেই চলে।

চাইনা যখন করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তারা বলে এটা আমেরিকার আবিষ্কার করা ভাইরাস যা তারা চাইনাকে কাবু করতে ব্যবহার করেছে। কিন্তু যখন স্পেন, ইতালির পর করোনা আমেরিকাকে আক্রমণ করে তখন আমেরিকা চাইনার উপর এর দোষ চাপিয়ে দেয়।

এই ভাইরাস প্রথমে আক্রমণ করে চাইনাকে, এরপর ইতালি ও স্পেন তারপর আমেরিকা।

চাইনা এ থেকে বেচে ফিরতে না ফিরতি মহামারী আকারে আক্রমণ করে ইতালিকে। এখন চাইনাতেই আক্রান্তের সংখ্যা কম। পাল্লা দিয়ে চলছে ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, ফ্রান্স।

 

আক্রান্ত হয়েছেন ইজরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী, ইংল্যান্ডের যুবরাজ , ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সহ বিশ্বের সনামধন্য ফুটবলারদের। বিশ্বখ্যাত ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান রোনালদো কে রাখা হয়েছে আইসলিউসনে।

 

ক্রিকেট, ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ছোটখাটো বিশ্বকাপ এর সাথে বন্ধ হয়ে গেছে বড় বড় লীগ।

 

এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত দেশের অবস্থা : –

দেশ –  আক্রান্ত – মৃত্যু

আমেরিকা – 367,629 – 10,941

স্পেন – 136,675 – 13,341

ইতালি – 132,547 – 16,523

জার্মানি – 103,37 – 51,810

ফ্রান্স – 98,010 – 8,911

আপডেট দেখতে ক্লিক করুন : – https://www.worldometers.info/coronavirus/

এতো হল বিশ্বের কথা। এবার আসাযাক বাংলাদেশের কথায়।

স্টেডিয়ামগুলো এখন পরিনত হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার-এ । বাংলাদেশে বসুন্ধরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ তার গোডাউন ছেড়ে দিয়েছেন হাসপাতালের জন্য।

 

এই অঘোষিত লকডাউনে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ জন। যারা দিন আনে দিন খায়। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য খাবার পাচ্ছে না তারা। এসময় পাশে এসেছে সরকার, বড় বড় ব্যবসায়ী ও সমাজ কর্মিবৃন্দ। বাংলাদেশ অনুদান পেয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। যা বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে এসব খেটে খাওয়া মানুষ জনের উপর। রাস্তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে অনেক আগেই। এখন অবধি বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

 

সর্বশেষে একটাই অনুরোধ: ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন, সুস্থ থাকুক বাংলাদেশ।

Related Posts

14 Comments

মন্তব্য করুন