জুনোটিক রোগ ও সাবধানতা

যেসব রোগ মানুষ থেকে প্রাণীতে কিংবা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় সেসব রোগকে Zoonotic diseases বলা হয়। মানুষের প্রায় ৬১% রোগ প্রাণী থেকে এসে থাকে। বাংলাদেশসহ এই ভারতীয় উপমহাদেশে এসব রোগের প্রচুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। আর কৃষিপ্রধান এই দেশের প্রধান Zoonotic diseases সম্পর্কে জানা সবার জন্যই প্রয়োজনীয়।

★এনথ্রাক্স- ব্যাকটেরিয়াল রোগটি Bacillus anthracis নামক ব্যাকটেরিয়ার জন্য হয়ে থাকে। গবাদিপশুর এই রোগ ব্যাপকভাবে দেখা যায় বাংলাদেশে। মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী এই রোগ মানুষেও সংক্রামিত হয়। ২০০৯-২০১২ সময়কালে বাংলাদেশে ৬৫০ জনের মতো মানুষ Cutaneous anthrax এ আক্রান্ত হয় এবং দুইজন মারা যায়।

★টিউবারকুলোসিস- Mycobacterium tuberculosis নামক ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা এই রোগ হয়। কিছুদিন আগেও এদেশের মানুষের মাঝে টিবি রোগ ছিলো মারাত্মক। এই রোগটিও গবাদিপশু থেকে ছড়াতে সক্ষম।

★র‍্যাবিস/জলাতঙ্ক- ১০০% মৃত্যু নিশ্চিত রোগের নাম র‍্যাবিস। এটি একটি ভাইরাসের জন্য হয় যার নাম Rabies ভাইরাস। র‍্যাবিড কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি ইত্যাদি প্রাণী থেকে ছড়ায়। ১০ দিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং লক্ষণ প্রকাশ পেলে মৃত্যু নিশ্চিত।

★ব্রুসেলোসিস- Brucella abortus ব্যাকটেরিয়ার জন্য এই রোগ হয়। জেনারেলি গবাদিপশুর জেনিটাল ট্র‍্যাক্টে পাওয়া যায়। মানুষের দেহে প্রবেশ করলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এবরশন এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে স্টেরালিটি করতে পারে। ভেটেরিনারিয়ান ভাই বোনেরা সাবধান।

★রোটাভাইরাস- বিশ্বব্যাপী এই রোগ পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীতে ডায়রিয়া জনিত সমস্যা করতে সক্ষম।

★বার্ড ফ্লু- Influenza virus থেকে বিশেষত পাখিতে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়। মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তা বার্ড ফ্লু নামে পরিচিত হয়। একসময় বানাদেশে ত্রাস সৃষ্টিকারী এই রোগের প্রাদুর্ভাব প্রায়ই হয়ে থাকে।

এছাড়াও আরও অনেক ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাল প্রোটোজোয়াল রোগ আছে যেগুলো জুনোটিক। Human medicine ও ভেটেরিনারি পেশায় নিয়োজিত মানুষের এসব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই সবাই সতর্ক হবো আশা করি।

 

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন