জ্যামিতি শিখতে যে প্রাথমিক বিষয়সমূহ জানতেই হবে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জ্যামিতি শিখতে কিছু প্রারম্ভিক বিষয় জানতেই হয়। বেসিক জ্ঞান ছাড়া কোনো বিষয়েই যেমন বিসদ জ্ঞান লাভ করা যায় না তেমনি জ্যামিতি সম্পর্কেও বেসিক জ্ঞান ছাড়া এর গভীরতা মাপা কঠিন। জ্যামিতি শেখার বেসিক জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে জ্যামিতির পরিচয়, বিন্দু, রেখা, রেখাংশ, তল ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীদের বেসিক ধারনাকে আরও সুস্পষ্ট করার লক্ষে আমার ছোট খাট এ উদ্যোগ। তাই আজ আমি জ্যামিতির প্রাথমিক স্তরের কিছু বিষয় নিয়ে লিখছি।

১। জ্যামিতি অর্থ ভূমির পরিমাপ করা।
২। বিন্দুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, বেধ নেই কিন্তু অবস্থিতি বা অবস্থান আছে।
৩। রেখা উভয় দিকে অসীম বা গতিশীল।
৪। অনেক বিন্দুর সমন্বয়ে রেখাংশ সৃষ্টি হয়।
৫। প্রান্ত বিন্দু ছাড়া রেখাংশের অন্য যে কোন বিন্দুকে অন্তঃস্থ বিন্দু বলে।
৬। ঘনবস্তুর তল ছয়টি।
৭। রশ্মিকে অর্ধরেখা বলা হয়।
৮। রেখার মধ্যবিন্দুতে উৎপন্ন লম্বকে লম্বদ্বিখণ্ডক বলে।
৯। রশ্মির একটি মাত্র প্রান্ত বিন্দু থাকে।
১০। দুটি সরল রেখা একটি বিন্দুতে পরস্পরকে ছেদ করে।

১১। ফুটবলের উপরিভাগ অসমতল।
১২। একটি ইটের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠ একটি তল নির্দেশ করে।
১৩। তলের মাত্র দুইটি মাত্রা আছে।
১৪। যে তল কোথাও উঁচু-নিচু নয় তাকে সমতল বলে।
১৫। দুটির অধিক রেখা একই বিন্দু দিয়ে অতিক্রম করলে তবে উক্ত বিন্দুকে সমবিন্দু বলে।
১৬। কোনো রেখাংশের প্রান্ত বিন্দুদ্বয়ের দূরত্বকে রেখাংশের দৈর্ঘ্য বলে।
১৭। সরল রেখাকে সংক্ষেপে রেখা বলে।
১৮। একটি সমতলের মাত্রার সংখ্যা দুইটি।
১৯। একটি রেখাংশের একটি মাত্র মধ্য বিন্দু থাকে।
২০। দুটি সমতল পরস্পর ছেদ করলে যে কিনার বা ধার সৃষ্টি হয় তা একটি রেখাংশ নির্দেশ করে।

২১। দুটি বিন্দু দিয়ে একটি রেখাংশ নির্দিষ্ট হয়।
২২। রশ্মির বিস্তৃতি কেবল একই দিক বরাবর থাকে।
২৩। কোন রেখার দুইটি বিন্দু চিহ্নিত করলে তাদের দ্বারা সীমাবদ্ধ রেখার অংশকে রেখাংশ বলে।
২৪। দুটি রেখাংশের দৈর্ঘ্য সমান হলে রেখাংশ দুটিকে পরস্পর সমান বলা হয়।
২৫। যদি একটি রেখাংশের কোনো বিন্দু প্রান্ত বিন্দুদ্বয়ের মধ্যবর্তী হয় তবে ঐ বিন্দুটিকে রেখাংশটির অন্তঃস্থ বিন্দু বলা হয়।
২৬। রেখাংশের একটি মাত্র মধ্য বিন্দু থাকে।
২৭। রেখাংশের একটি বিন্দু স্থির ও অপর বিন্দু গতিশীল হলে তাকে রশ্মি বলে।
২৮। রশ্মির একটিই প্রান্ত বিন্দু থাকে।
২৯। রেখা বা রশ্মির চিত্রে তীর চিহ্ন দিয়ে ঐ দিকে রেখা বা রশ্মির বিস্তৃতি বা দিক নির্দেশ করা হয়।
৩০। ঘনবস্তুর তিনটি মাত্রা আছে।

৩১। একটি বই এর ছয়টি তল আছে।
৩২। যে বিন্দু চলার পথে দিক পরিবর্তন করে তাকে বক্ররেখা বলে।
৩৩। তলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আছে কিন্তু বেধ বা গভীরতা নেই।
৩৪। তলের দৈর্ঘ ও প্রস্থ আছে।
৩৫। প্রতিটি বিন্দু দিয়ে একাধিক বা অসংখ্য সরল রেখা আঁকা যা।
৩৬। দুটি তল একটি রেখাংশে ছেদ করে।
৩৭। দুটি রেখা একটি বিন্দুতে ছেদ করে।

আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts