ডায়াবেটিস হলে কি করবেন এবং কিভাবে বুঝবেন

আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই,ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার। ডায়াবেটিস রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস ভালো না হওয়া। পাশাপাশি আমরা কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম করছি। আর বংশগত যে ব্যাপার সেটা আছে। ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে ডায়াবেটিস কি এবং কেন হয়। ডায়াবেটিস একটা হরমোন রোগ। যখন কোন মানুষের ইনসুলিন হরমোন থাকে তখন কোনো কারণে যদি এটির উৎপাদন কমে যায় তাহলে এ ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর ইন্সুলিন হরমোন যদি আপনার না থাকে তাহলে তখন কিন্তু দেখা যাবে আপনার ইনসুলিনের অভাবে আপনার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ বেরিয়ে আসবে। আরে রোগের লক্ষণ হচ্ছে কিছু সময় পর পর আপনার ক্ষুধা বেড়ে যাবে, যতই খাওয়া-দাওয়া করেন না কেন আপনার ওজন টা কমে যাচ্ছে, বারবার প্রস্রাবের বেগ পাচ্ছে, গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, দুর্বলতা এবং ক্রান্তি লাগবে। একবার ডায়াবেটিস হলে অন্য আরো যে রোগ আছে যেমন কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, হার্টের প্রবলেম, এগুলো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি চোখে সমস্যা। আপনার যদি শুরু থেকে যখন একজন মানুষের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন শুরু থেকেই আমরা যদি সতর্ক থাকি এবং সঠিক নিয়ম যদি অনুসরণ করি তাহলে কিন্তু দেখা যায় যে ডায়াবেটিসের কারণে আমাদের অন্য আরও যে রোগ সেগুলো দূর করার সুযোগ থাকে। ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন নেওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আনতে হবে এবং তার পাশাপাশি আপনাকে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে হবে। ডায়াবেটিস হলে আপনার এসব খাবার গ্রহণ করতে হবে যেগুলো রক্তের প্রেসার পরিমাণটা কমিয়ে দেয়। পরিমান মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি মাছ-মাংস, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। এ পরিমাণটা ঠিক রাখতে হবে। ডিম প্রতিদিন খাদ্যাভ্যাসে একটা করে খেতে হবে। অনেকেই মনে করেন আলু খেলে ডায়াবেটিস এর পরিমান বেড়ে যায়। এটা আসলে মোটেই ঠিক নয়। আলু হলো কার্বোহাইড্রেট। সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, এ সবজি গুলো বেশি পরিমাণে খেতে হয়। আগামী দিন নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ধন্যবাদ সবাইকে।

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন