তৃতীয় সপ্তাহের অষ্টম শ্রেণির কৃ্ষিশিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।

এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির তৃতীয় সপ্তাহের কৃষিশিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর। আশা করি আপনাদের উপকার হবে।

#কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট
(ক)জি এম ফসল বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃজি এম জেনেটিক্যালি মডিফায়েড হলো উদ্ভিদের জিনকে মডিফাইড বা পুনর্বিন্যাস করে ওই উদ্ভিদের ফসল ফলানো। আর এইভাবে উৎপাদিত ফসলকে জি এম ফসল বলে।হাইব্রিড সবকিছুই জি এম ফসল।তবে এই ধরনেত ফসল প্রকৃতির অতিরুপ তুলনায় বিষাক্ত, এলার্জি নিক এবং কম পুষ্টি হতে পারে।

খ.বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের কৃষির তুলনা।
উত্তরঃবাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম উভয় দেশই কৃষি উন্নয়ন এবং গবেষণায় সমান অবস্থান দখল করে আছে।ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে কৃষি সমাজ এবং কৃষির ভূমিকা অনেক।দুই দেশের কৃষিতে ধান উৎপাদন বেশি হয়।কিন্তু বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের কৃষি ব্যবস্থায় খানিকটা পার্থক্য রয়েছে।যেমনঃ
১.২৫ বছর আগে ভিয়েতনাম এর কৃষি ছিলো অনেকটা না বলার মতো কিন্তু দেশটির কৃষি সমবায় সংগঠনগুলো খুবই সৃজনশীল এবং শক্তিশালী হবার কারণে দেশটির কৃষি চিত্র একদম পাল্টে যায়।কিন্তু সেই তুলনায় স্বাধিনতার পরে বাংলাদেশের কৃষিতে তেমন কোন উন্নতি সাধিত হয় নি।কারণ কৃষি উন্নয়ন সংগঠনগুলো তেমন কোন শশক্তিশালী এবং সংঘঠিত ছিল না।

২.বাংলাদেশের কৃষি সংগঠনগুলো ভিয়েতনাম এর কৃষি সংগঠনের তুলনায় ততটা কার্যকর হলেও কিছু কিছু সংগঠন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কিন্তু তা চোখে পড়ার মতো না।অন্যদিকে ভিয়েতনাম এর সংগঠন গুলো কৃষি সম্প্রসারণে প্রচুর টাকা ব্যায় করে কৃষিনীতি এবং কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের ধারণা প্রদান করে।যার কারণে ভিয়েতনাম দেশের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৩.গ্রীন হাউজ কৌশল বাস্তবায়নের শর্তগুলো আলোচনা কর।
উত্তরঃযেসব দেশে অত্যাধিক ঠান্ডা থাকে অর্থাৎ শীতকালে বরফ পড়ে কিংবা তুষারপাত হয় সেই সকল শীতপ্রধান দেশে অত্যাধিক ঠান্ডার কারণে গাছপালা জন্মায় না।
শীতপ্রধান দেশগুলোতে শাকসবজি জন্মানোর জন্য এক ধরণের কাচের ঘর নির্মান করা হয়।এই কাচের তৈরি ঘরকে বলা হয় গ্রীন হাউজ।

কাচ স্বাভাবিক ভাবে সূর্যের আলোর আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গরশ্নিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় কিন্ত প্রতিফলিত দীর্ঘ তরঙ্গরশ্নিকে কাচ কোনভাবে বাইরে যেতে দেয় না। ফলে এই তাপমাত্রায় আলো আটকে যায় এবং ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে এবং শাক সবজি এবং গাছপালা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত হয়ে ঊঠে।মূলত উত্তর অক্ষাংশে যেখানে সূর্য এর আলোর পরিমাণ কম সেইখানে তেমন গাছপালা জন্মায় না।সেই সব স্থানে কাচ দিয়ে উচু উচু বাড়ি তৈরি করে শাক সবজি ফল মূল চাষ করা হয়।এভাবে কিছু দিনের মাথায় কাচের ঘরটি গ্রীন হাউজ হয়ে ঊঠে।

৪.গাছপালায় ইউরিয়ার পরিবর্তে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার সুবিধাজনক ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃফসল উৎপাদন এ নাইট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এদেশে নাইট্রোজেন এর অভাব পূরনে ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়।অধিক ফসল ফলানোর আশায় অনেক কৃষকই জমিতে অতিরিক্ত পরিমাণ ইউরিয়া প্রদান করে থাকে।ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ফলে তাই বন্যা কিংবা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে আবার ফসলের ক্ষতি সাধন করে।সম্প্রতি বাংলাদেশে শাক সবজি ফলানোর জন্য কিছু কিছু জায়গায় ইউরিয়ার পরিবর্তে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করা হচ্ছে।গুটি ইউরিয়া অনেকটা শাস্রয়,পরিবেশ রক্ষায় এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং অধিক ফলন পাওয়া যায় বলে এই সারে কৃষকরা এখন আগ্রহী হচ্ছে।আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সরকারকে সার আমদানি করতে হলে প্রচুর পরিমাণে ভরতুকি দিতে হয়। কিন্তু যদি সরকার গুটি ইউরিয়া বিদেশে রপ্তানি করতে পারে তাহলে যেমন দেশের মুদ্রা দেশেই থাকলো এবং সেই সাথে বিদেশি মুদ্রা অর্জন করতে পারলো।

ধন্যবাদ সবাইকে
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts