তৃতীয় সপ্তাহের নবম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট ২০২১

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়। 

 

চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজ। প্রত্যেক শ্রেণীর কাঙ্খিত এসাইনমেন্ট পেতে চোখ রাখুন গ্রাথরের শিক্ষা বিভাগে। এসাইনমেন্ট সিরিজের আজকের ধারাবাহিকতায় আজ নিয়ে এসেছি তৃতীয় সপ্তাহের  নবম শ্রেণীর চারু ও কারুকলা এসাইন্টমেন্টটি। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে। 

 

প্রশ্ন:শিল্পকলা কি ?বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্পচর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন ?ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর:যেকোনো সহজ ,সরল ও সুন্দর জিনিসই শিল্পকলা। বিশেষ কতগুলো নিয়ম অনুসরণ করে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে কোনো কিছু তৈরি করাকে শিল্পকলা বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় যে ,যা কিছু সুন্দর ,নান্দনিক,আরামদায়ক ও ত্রুটিমুক্ত তাই শিল্পকলা। 

 

শিল্পকলাকে প্রধানত দুইভাবে ভাগ করা যায়। যথা:

১.চারু শিল্প 

২.কারু শিল্প। 

চারুশিল্প:

যে  শিল্পকলা পরিবেশকে সুন্দর করে ,মনকে আনন্দ দান করে তাকে চারুশিল্প বলে। যেমন:শিল্পকলা।সঙ্গীতকোলা,নৃত্যকলা ইত্যাদি। 

 

কারুশিল্প:যে শিল্প পরিবেশকে সুন্দর করে ,মনে আনন্দ দান করে সেই সাথে আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন ও মিতিত্বে থাকে তাকে কারুশিল্প বলে। যেমন:বয়নশিল্প,কাঠশিল্প,মৎসশিল্প ইত্যাদি। পোশাক তৈরী কারুশিল্পের অন্তর্গত একটি শিল্প। যেকোনো শিল্প সৃষ্টিতেই শিল্পকলার কিছু উপাদান ও নীতির সাহায্য নিতে হয়। 

 

বাংলাদেসের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পকলার গুরুত্ব:

শিল্পকলা হচ্ছেন মনের সার্বিক আনন্দ দানের প্রধান মাধ্যম। একটি দেশের সংস্কৃতিকে জানার জন্য শিল্পকলার গুরুত্ব অপরিহার্য নিম্ব বাংলাদেসের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পচর্চার গুরুর্ত্ব বর্ণনা কর :

বাংলাদেশে সংস্কৃতি খুবই পুরোনো। জুগের পর জুগ শিল্পচর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অর্থাৎ জাতি বা গোষ্ঠীর চিন্তাভাবনা আচরণগত ,দিকনির্দেশনা ,পোশাক আশাক ,ভাষা ,খাদ্য,ধর্ম,সংগীত ,এবং অন্যানো বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান প্রজন্ম। শিল্পের বিভিন্ন শাখা যেমন:সংগীত,নৃত্য,চিত্রকলা,মৃৎশিল্প।চর্মশিল্প,নাটক,ভাষ্কর্ষ ইত্যাদি আমাদের সংস্কৃতিকে লালন করে। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপনে শিল্পের ভূমিকা অনিস্বীকার্য। যেমন:পহেলা বৈশাখ এ পান্তা ইলিশ খাওয়া ,শাড়ি পাঞ্জাবি পড়া ,মঙ্গোল শোভাযাত্রা করা ইত্যাদিতে শিল্পের ছোয়া রয়েছে ,যার মাধ্যমে আমরা এই উৎসবেও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি। ফলে আমাদের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমরা সংগীতের মাধ্যমে বুজতে পারি ,কোন ধরণের জ্ঞান আমাদের পূর্বপুরুষদের বিনোদনের মাধ্যম ছিল। চিত্রকর্মের মাধ্যমে সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা যায়। চিত্রের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি আগেরকার বাঙালি জমি চাষ করতেন ,কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন ,কিভাবে তাদের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন ,কিভাবে নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ তারা মোকাবেলা করেছেন। এর অন্যতম উদাহরণ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আঁকা দুর্লভ ভাস্কর্য। তার আঁকা ছবি দেখে অনেকেই মুগধ হয়ে চিত্রকলার মাধ্যমে সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন। যা আমাদের সংস্কৃতির অনন্য পরিচয় বহন করে। 

 

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। 

মাস্ক পড়ুন 

সুস্থ থাকুন

 

Related Posts

5 Comments

মন্তব্য করুন