ত্বক ও চুলের যত্নে জয়তুন তেল ব্যবহারের দারুণ টিপস।

আজ যা নিয়ে আর্টিক্যালটি সাজিয়েছি তাকে বাংলাতে জলপাই আরবিতে জয়তুন ও ইংরেজীতে অলিভ বলা হয়। রান্নাবান্না ও ভেষজ চিকিৎসায় দারুণ কাজ করে জয়তুন বা জলপাইয়ের তেল। ত্বকের ও চুলের সৌন্দর্য বর্ধনের উপকারি সকল দিক রয়েছে এই তেলে। পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ রয়েছে। আসুন বিস্তারিত জানি।

প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও মেয়েদের রূপচর্চায় জয়তুন তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। আমরা এটাকে বাংলাতে জলপাইয়েল তেল, আরবিতে জয়তুন তেল ও ইংরেজিতে অলিভ অয়েল নামে চিনি। এটির এমনি গুন যে এটি ত্বক ও চুল উভয়ের যত্নেই কাজ করে।

জয়তুন তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে সতেজ রাখে ও ত্বকে বাহিরের ময়লা জমতে দেয় না।
ত্বক ফেটে গেলে বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের শরীরের ফাটা দাগ সারিয়ে তুলতে জয়তুন তেল বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
এই তেল ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা কম হয়। জয়তুন তেলের অ্যান্টিএইজিং নামক উপাদান ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
ত্বকে চুলকানির সমস্যা দূর করে।
এই তেল ত্বকের শুষ্কতা কমায় ও ত্বকের ছোট ছোট ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বকে কোমল এবং মসৃণ ভাব বজায় থাকে।

জয়তুন তেল শুধু ত্বকই ভালো রাখেনা, এ তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার ক্ষেত্রেও দারুন কার্যকরী। মাথার ত্বক যখন শুষ্ক হয়ে যায় তখন মাথার তালুতে এ তেল ব্যবহারে মাথা যেন প্রাণ ফিরে পায়। এটা সম্ভব শুধু জয়তুন তেলের গুণে। এটি মাথার চুল পড়া কমাতেও দারুণভাবে সাহায্য করে। চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া রোধ করা এর কাজ। শিশুর নরম ও কোমল ত্বকের জন্যও এটি নিরাপদ। সান প্রটেক্টর হিসেবে এটি দারুণ কার্যকরী। এটি রাতে ঘুমানোর আগে নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটির ব্যবহার ত্বককে নরম করে। ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও সমান কার্যকরী এই তেল। শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা জয়তুন তেল নিয়ে ভালোভাবে দুই হাতে ঘষে তারপর চুলে লাগাতে পারেন। এটি কন্ডিশনারের কাজ করবে। নতুন চুল গজানোর জন্য চুলে জয়তুন তেল ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে ডুবানো তোয়ালে দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যাতে তোয়াল ও আপনার মাথার তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় থাকে। এভাবে মাসে কয়েকবার এটি করুন। এ কাজগুলো করতে পারলে আপনার চুল হয়ে উঠবে আরও বেশি নরম ও উজ্জ্বল।

Related Posts