পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত অসংখ্য শিশু জন্মগ্রহণ করে। আমাদের অনেকেই আছি নবজাতক শিশু ভুমিষ্টের পর সঠিক স্বাস্থ্য বিধি পালন করি না। আমরা এই আর্টিকেলে নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় টিপস সম্পর্কে জানবো।
♦ জন্মের পূর্বে মাকে সচেতন থাকতে হবে:
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বে মায়ের পেটে শিশু গড়ে ৮/৯ মাস অবস্থান করে। এ সময়ে শিশু সব পুষ্টি মা থেকে গ্রহণ করে থাকে। তাই প্রত্যেক মায়ের উচিত যে শিশু গর্ভধারণ করা অবস্থায় সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
♦ শিশু জন্মের পর করণীয়:
অনেক সময় দেখা যায় যে শিশু জন্মের পর দুধ খাওয়ানো হয় না। কিন্তু জন্মের পর মায়ের স্তনে যে দুধ থাকে তাকে আমরা শাল দুধ বলে থাকি। এটা শিশুর রোগ প্রতিরোধের জন্য খুবই প্রয়োজন এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তাই সকল মায়ের উচিত শিশুকে শাল খাওয়ানো।
শিশু জন্মের পর তার শরীরের পানি নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। বাহির থেকে কেউ আসলে তার কোলে নবজাতক শিশুকে দেওয়া উচিত নয়। কারন বর্তমানে করোনার প্রকোপ বেশি। এ ছাড়া বাহির থেকে কেউ আসলে তার শরীরের মধ্যে ধুলাবালি জমা থাকতে পারে। তাই অপরিষ্কার ব্যক্তির কোলে না দেওয়াই ভালো। এতে শিশু সুস্থ থাকবে।
নতুন জন্ম নেওয়া শিশুর স্বাভাবিক ওজন আড়াই কেজি। তাই ওজনের তারতম্য হলে দ্রুত ডাক্তারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
♦ শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা ও নিয়মাবলী:
সাধারণত একজন শিশুকে দুই থেকে তিন ঘন্টা পরপর বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। অর্থ্যাৎ প্রতিদিন সাত থেকে আট বার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় সোজা করে ধরতে হবে। অন্যথায় দুধ নাকের ভিতরে ঢুকে কানের গভীরে চলে যেতে পারে। এতে করে কানে পানি
ও পুঁজ হতে পারে। যা পরে জটিল রোগে পরিণত হতে পারে। তাই শুরুতেই সঠিক ভাবে যত্ন নেওয়া উচিত।
♦ ডায়পার পরিবর্তন করা:
শিশুকে যেহেতু ৭/৮ বার করে বুকের খাওয়াবে তাই শিশু অন্তত ৫/৬ বার হলেও ডায়পার ভেজাবে। তাই উচিত ঘন ঘন ডায়পার পরিবর্তন করা।
♦ শিশুকে কোলে নেওয়ার পদ্ধতি:
শিশুকে কোলে নিতে হলে মাথা এবং ঘাড়ে এক হাত রাখা। অপর হাত দিয়ে মেরুদণ্ডকে ঘেরাও করে রাখা।
♦ শিশুর নাভি ও নখ কাটা:
শিশুর জন্মের পর সাধারণত নাভি কাটা হয়। নাভি কাটার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে। এর মধ্যে আরেকটি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যে এতে কোন তেল,সাবান বা পানি যেন না লাগে। নাভি আপনা আপনি শুকিয়ে যাবে।
♦ নাক,কান,চোখ ও জিহ্বার যত্ন নেওয়া।
শিশুর নাকের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য নরম কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কান পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কটন বাড ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারন এতে করে কানের ময়লা আরো গভীরে চলে যায়। তাই কটন বাড দিয়ে শুধু বাহিরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে আর ভিতরের অংশ নরম কাপড় দিয়ে মুছিয়ে নিবে। আর গোসল দেওয়ার সময় যেন কানে পানি না ঢুকে। এতে ইনফেকশন হতে পারে এবং পুঁজ তৈরী হতে পারে। শিশুর চোখের কেতুর ও ময়লা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কটন বাড ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুর অনেক সময় জিহ্বাতে সাদা আটার মতো বস্তু দেখা যায়। এটাকে ছত্রাক বলে। এগুলাকে খুব যত্ন সহকারে পরিষ্কার করতে হবে।
সব শেষে একথাই বলবো সব মায়েদের উচিত শিশুর সঠিক যত্ন নেওয়া।
নবজাতক শিশুর সঠিক যত্ন নেওয়ার নিয়মাবলী
📢 Promoted post: বাংলায় আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান?
Right
hmmm
Nice
thanks
Ok
valo post
this is very helpful post
❤️
Gd
❤️
nice post
nice post
ধন্যবাদ।