নবম শ্রেণীর বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট উত্তর

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
প্রত্যেকদিনের মতো আমি নবম শ্রেণীর এক নতুন এসাইন্টমেন্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। আমাদের আজকের এসাইন্টমেন্ট এর নাম হলো বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক :

এসাইন্টমেন্ট বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা :
প্রশ্ন:প্রাচীন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশ শাসন ব্যবস্থায় একটি তুলনামূলক দিক বিশ্লেষণ কর.
উত্তর:ভূমিকা:
ভারতীয় উপমহাদেশে পূর্ব অংশে প্রাচীন ও ঐতিহাসিক অঞ্চলে চার হাজারের বেশি সভ্যতা ধরে চলছে। এই অঞ্চলের ইতিহাস বাংলার ইতিহাস ও ভারতীয় ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত।এলাকাটির প্রারম্ভিক ইতিহাস হলো ভারতীয় সমাজের উত্তরাধিকার ,অভ্যন্তরীন দ্বন্দ এবং হিন্ধু ও বৌদ্ধের ও বিভিন্ন রাজবংশের মধ্যকার দ্বন্ধের ইতিহাস। মধ্যযুগে যখন মুসলিম অভিযাত্রীরা যেমন: তুর্কি, ইরানীয়
মুঘল প্রভৃতির এদেশে এসেছিলো তখন ইসলাম ধীরে ধীরে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে মুসলিম শাসকরা মসজিদ এবং মাদ্রাসা নির্মাণের মাধ্যমে রূপান্তর প্রক্রিয়াটিকে শক্তিশালী করে। নিচে প্রাচীন বা মধ্যযুগের রাজবংশ ও শাসন ব্যবস্থায় তুলুনামূলক আলোচনা করা হলো।

প্রাচীন যুগ :নন্দ সাম্রাজ্য ,মৌর্য সাম্রাজ্য ,প্রাথমিক মধ্যযুগ ,গৌড় সাম্রাজ্য ,পাল রাজবংশ ,সেন রাজবংশ ,দেব রাজত্ব ,মধ্যযুগের শাসন এবং ইসলামী শাসন ,খিলজি শাসন মামলুক শাসন,মাহমুদ শাহী রাজবংশ ,ইলিহাস শাহী রাজবংশ ,হোসেন রাজি রাজবংশ ,পাখতুন শাসন ,সুরি রাজবংশ ,কোরবানি রাজবংশ ,মুঘল  যুগ.

মৌর্য সাম্রাজ্য :মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনকালে মহাস্থান (পুন্ড্রনগর) কেন্দ্রীয় অঞ্চল ছিল বলে ধারণা করা যায়। তৃতীয় মৌর্য সম্রাট অশোকের ব্রাম্মী লিপিতে লেখা শিলালিপি এখানে পাওয়া গেছে। কৌটিল্য তার অর্থশাস্রে বলেছেন ,পুণ্ড্রের কৌশের বস্ত্র মার্কেট মনির মতো মসৃন। একে পুন্দ্রিকা এ ধরনের বস্ত্র শুধু মগধ ও পুন্ড্রে উৎপন্ন হতে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ গ্রন্থে বঙ্গের এক প্রকার বস্ত্রকে “বাঞ্জিকা”বলা হয়েছে যা শ্বেত বর্ণের হতো। সর্বোপরি এ গ্রন্থে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের প্রশংসা করা হয়েছে।
নন্দ সাম্রাজ্য:নন্দ সাম্রাজ্যে ছিল বাংলার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় যুগ। এই যুগে বাংলার শক্তিমত্তা ও প্রাচুর্যে শীর্ষে আরোহন করতে পারে। এই যুগে বাংলা সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। নন্দ রাজাদের জন্ম হয়েছিল বাংলায়। তারা বাংলা থেকে মুঘ্ধ দখল করে উভয় রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গ মগধ একটি নতুন সাম্রাজ্যের পত্তন করে। প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসে বাঙালি গান্দারিডাই এবং মগধকে প্রশি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। গ্রিক ইতিহাসে এই সংযুক্ত রাজ্যকে গণ্ডারিডাই ও প্রশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহানন্দ পদ্ম ছিলেন মহানন্ধ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট। তিনি সমগ্র ভারতবর্ষ ব্যাপী ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি কোশল,কুরু,মৎস,অবন্তী চোদি প্রভৃতি অঞ্চল জয় করেন।দ্বিগিজয় অর্থে মহাপদ্ম এক বিশাল সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করে।

গৌড় রাজ্য;ষষ্ঠ শতকের মধ্যে উত্তর ভারত শাসনকারী বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্য বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত হয়ে পরে। এগুলোর মধ্যে মগধ ,মালব এ রাজ্য দুটি গুপ্ত বংশের দুটি শাখা দ্বারা বিভক্ত ছিল। ছয় বৎসর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে শশাঙ্ক শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন। হর্ষবর্ধন বাঙলার রাজধানী গৌড় দখল করে নেন। এভাবে বাংলার ক্ষণস্থায়ী গৌড় সম্রাজ্যের পতন ঘটে।

পাল বংশ:পাল সম্রাজ্যের যুগ ছিল বাংলার ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল যুগ। এ সময় বাংলার ইতিহাসে আবার দ্বিগিজয়ের সূচনা হয়। পাল রাজাগণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন উত্তরবঙ্গের বরেন্দ্র অঞ্চল। একারণে পাল শিলালিপিতে বরেন্দ্র জনকভিউ বা রাজ্যম পিত্রক বলে। তিনি গর্জর রাজ্য বৎসরাজের নিকট তিনি পরাজিত হন। বৎসরাজ পরবর্তীতে রাজ্যকুট রাজা ঢুকব ধারাবর্ষের নিকট পরাজিত হন। ফলে গোপাল তার সাম্রাজ্য রক্ষা করতে করতে সক্ষম হউন।
সেন রাজবংশ :সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয়সেন প্রাথমিক জীবনে পাল রাজাদের অধীনে দক্ষিণবঙ্গের এক সমান্তপ্রভু ছিলেন। পরে তিনি নিজ বহুবলে সাম্রাজ্যে বিস্তার করে পূর্ববঙ্গের বর্মন রাজাদের পরাজিত করে। তিনি উত্তরবঙ্গের এক যুদ্ধে পাল সম্রাট মদনপালকে পরাজিত করে রাজধানী গৌড় দখল করে। তিনি ত্রিহুত ও কামরুপও জয় করে নেন। তবে তিনি দক্ষিণ বিহার জয় করতে ব্যর্থ হউন। পাল রাজাগণ এখানে পাহাড়সম সম্রাজ্যের সহায়তায় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে।

খিলজি শাসন:বখতিয়ার খিলজি ১১৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বিহার আক্রমণ করে। তিনি বাহারের পাল বংশের অবশিষ্ঠাংশ পতন ঘটিয়ে বিহার দখল করেন। বখতিয়ার খিলজি এরপর বাংলা আক্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি ১২০৪ সালে ১৭ জন সৈন্যের এক দুধর্ষ অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে তীর্থকেন্দ্র নদিয়ায় ভ্রমণ করেন। লক্ষণ সেন পলায়ন করেন এবং পূর্ব বাংলায় আক্রমণ করেন। মুসলিম বাহিনীর কোনো ধরণের নৌবাহিনী না থাকায় তারা পূর্ববাংলা দখল করতে পারেনি। উচ্চবিলাসী বখতিয়ার এরপর তিব্বত আক্রমণের সিদ্ধান্ত গৃহীত করেন।

আজ এই পর্যন্তই। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related keyphrase: নবম শ্রেণীর বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট উত্তর, নবম শ্রেণীর বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণির উত্তর, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণির উত্তর, ক্লাস নাইন বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট উত্তর, ক্লাস নাইন বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন