আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ্ র রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে কয়েক পদের মজাদার ভর্তার রেসেপি শেয়ার করতে চাই। এই ভর্তাগুলো তৈরি করা খুবই সহজ এবং সিম্পল। সাথে আছে স্পেশাল কাঁচকলার খোসা ভর্তা। বন্ধুরা আপনারা একবার হলেও এই নিয়মে ভর্তাগুলো তৈরি করে খেয়ে দেখুন বেশি বেশি উপকরন দিয়ে তৈরি ভর্তার চেয়ে এটা খেতে অনেক মজাদার। তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।
স্পেশাল কাঁচকলার খোসা ভর্তা:
উপরকণ:
কাঁচকলার খোসা = ৪-৫ টি কাঁচকলার,
নারকেল মিহি বাটা = ৬ চা চামচ,
চিংড়ি ১৫-২০টি (মাজারি সাইজের),
হলুদ = সামান্য,
পেঁয়াজ = ১টি (মাজারি সাইজের),
রসুন = ১টি (মাজারি সাইজের),
শুকনো মরিচ টালা = ৪/৫টি (বা ইচ্ছামতো),
লবণ = পরিমাণমতো,
প্রস্তুতপ্রণালি:
প্রথমে কাঁচকলার খোসা পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে অল্প পানিতে চিংড়ি ভেজে নিন। এবার লবন বাদে সিদ্ধ কাঁচকলার খোসা, চিংড়ি ও বাকি সব উপকরণ একসাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। এবার এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ মাখিয়ে নিন। এখন সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার স্পেশাল কাঁচকলার খোসা ভর্তা। বন্ধুরা একবার হলেও এই মজার ভর্তাটা খেয়ে দেখুন এটা কতটা মজাদার।
চিংড়ি দিয়ে লাউশাক ভর্তা:
উপকরণ:
লাউপাতা ৮-১০ টি,
চিংড়ি ১৫-২০টি (মাজারি সাইজের),
হলুদ = সামান্য,
পেঁয়াজ = ১টি (মাজারি সাইজের),
রসুন = ১টি (মাজারি সাইজের),
শুকনো মরিচ টালা = ৪/৫টি (বা ইচ্ছামতো),
লবণ = পরিমাণমতো,
প্রস্তুতপ্রণালি:
প্রথমে লাউশাক পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে অল্প পানিতে চিংড়ি ভেজে নিন। এবার লবন বাদে সিদ্ধ লাউশাক, চিংড়ি ও বাকি সব উপকরণ একসাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। এবার এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ মাখিয়ে নিন। এখন সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার লাউশাক ভর্তা।
চিংড়ি দিয়ে বেগুন ভর্তা:
উপকরণ:
বড় গোলবেগুন = ২টি,
চিংড়ি = ১৫-২০টি,
হলুদ = সামান্য,
নারকেল মিহি বাটা = ৪ চা চামচ,
পেঁয়াজ কুঁচি = আধা কাপ,
রাধুনী সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ,
শুকনোমরিচ টালা = ৪/৫টি (বা ইচ্ছামতো),
লবণ = স্বাদমতো।
প্রস্তুতপ্রণালি:
প্রথমে বেগুন পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে অল্প পানিতে চিংড়ি ভেজে নিন। এবার লবন বাদে সিদ্ধ বেগুন, চিংড়ি ও বাকি সব উপকরণ একসাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। এবার এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ মাখিয়ে নিন। এখন সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিংড়ি দিয়ে বেগুন ভর্তা ।
সরিষার তেল দিয়ে বেগুন ভর্তা:
মাঝারি বেগুন = ৪-৫টি,
পেঁয়াজ কুঁচি = আধা কাপ,
রাধুনী সরিষার তেল = ২ টেবিল চামচ,
কাঁচামরিচ কুচি = ৪/৫টি (বা ইচ্ছামতো),
লবণ = স্বাদমতো।
প্রস্তুতপ্রণালি:
প্রথমে বেগুন পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার বেগুনের সাথে সব উপকরণ ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
সরিষা ভর্তা: উপরকণ:
লাল সরিষা = ৪ টেবিল চামচ,
কাঁচামরিচ = ১টি,
লবণ = পরিমাণমতো।
প্রস্তুতপ্রণালি:
সরিষা ভালো করে বেছে ধুয়ে কাঁচামরিচ এবং লবণ দিয়ে পাটায় বেটে নিন। তৈরি হয়ে গেল সরিষা ভর্তা।
নারিকেল ভর্তা:
উপরকণ:
নারিকেল কোড়ানো = ২ কাপ
পেঁয়াজ = ১টি (মাজারি সাইজের),
রসুন = ১টি (মাজারি সাইজের),
শুকনো মরিচ টালা = ৪/৫টি (বা ইচ্ছামতো),
লবণ = পরিমাণমতো,
প্রস্তুতপ্রণালি:
প্রথমে নারিকেলের সাথে সব উপকরণ মিশিয়ে পাটায় বেটে নিন। এবার গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা:
উপকরণ:
মিষ্টি কুমড়া = ৪ কাপ,
লবণ = পরিমাণমতো,
পানি = ২ কাপ,
ধনেপাতা কুঁচি = ৪ টেবিল চামচ,
কাঁচামরিচ কুঁচি = ৪ টেবিল চামচ,
পেঁয়াজ কুঁচি= ১ কাপ।
প্রস্তুতপ্রণালি:
মিষ্টি কুমড়া খোসা ছাড়িয়ে কেটে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ করা মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে সব উপকরণ খুব ভালো করে মেখে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা।
মসুর ডালের ভর্তা:
উপকরণ:
সিদ্ধ মসুর ডাল = ৪ কাপ,
পেঁয়াজ = ১টি (মাজারি সাইজের),
রসুন = ১টি (মাজারি সাইজের),
শুকনো মরিচ টালা = ৪/৫টি (বা ইচ্ছামতো),
লবণ = পরিমাণমতো,
প্রস্তুতপ্রণালি:
পরিমাণ মতো পানি দিয়ে এমনভাবে ডাল সিদ্ধ করে নিতে হবে যেন বাড়তি পানি না থাকে। এবার লবন বাদে সিদ্ধ ডাল ও বাকি সব উপকরণ একসাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। এবার এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ মাখিয়ে নিন। এখন সাজিয়ে পরিবেশন করুন এই চমৎকার মজাদার ভর্তাটি।
পটলের খোসা ভর্তা:
উপকরণ:
পটলের খোসা = ১ কাপ
নারকেল মিহি বাটা = ৬ চা চামচ,
চিংড়ি = ১৫-২০টি (মাজারি সাইজের),
পেয়াজ = ১ কাপ
শুকনো মরিচ টালা = ৪/৫টি (বা ইচ্ছামতো),
লবন স্বাদমত
প্রস্তুতপ্রণালি:
প্রথমে সামান্য পানি দিয়ে পটলের খোসা সিদ্ধ করে পানি নিন। সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে অল্প পানিতে চিংড়ি ভেজে নিন। এবার লবন বাদে সিদ্ধ পটলের খোসা, চিংড়ি ও বাকি সব উপকরণ একসাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। এবার এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ মাখিয়ে নিন। এখন সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পটলের খোসা ভর্তা । এবার গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
আজ এ পর্যন্ত। পরবর্তিতে আবার কোনো মজাদার রেসেপি নিয়ে হাজির হব।
সেই পর্যন্ত সবাই ভালো, সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।