নিম পাতার রহস্য উদঘাটন, প্রয়োজনের বেশি খাবেন না

আমরা প্রত্যাহিক জীবনে কম আর বেশি সবাই ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
অনেকে আবার ভুগে থাকে নানা জটিল রোগে। কিছু কিছু রোগ আছে যাদের চিকিৎসায় তেমন সুফল না মিললেও, ভেষজ ওষুধের দ্বারা রোগ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন। ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি ঔষধি গাছ হলো নিম গাছ।এই গাছের পাতা ফুল এবং ফল এবং গাছের ছাল নানান কাজে নানান রোগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পুরাতন অনেক পৃথিবীতেও এর সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়। অনেকেই এর সুফল পেয়েছেন।তবে মনে রাখতে হবে সবকিছুই নিয়মমাফিক মেনে করতে হবে। তা না হলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে।

নিম গাছের বহু ঔষধি গুণ সম্পর্কে আমরা জানি।তবে আমরা অনেকেই জানি না এটি সবচেয়ে বেশি কোন রোগে সবচাইতে কার্যকরী ফল প্রদান করেছে। আজকের লেখা থেকে আমরা সেটা জেনে নিব।
বন্ধুরা আমরা কমবেশি সকলেই চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি।
একটি অত্যন্ত বিচ্ছিরি একটি ব্যাপার।

তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চর্মরোগ অনেক প্রকারের আছে। কিছু চর্ম রোগ আছে যে ওষুধে ভালো হয় না।তবে সে ক্ষেত্রে অনেকে ভেষজ ঔষধ বানানোর মাধ্যমে শিরক থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এমন একটি রোগ সম্পর্কে আজকে বর্ণনা করব। আমরা কমবেশি সকলেই এলার্জির সাথে পরিচিত। বর্তমানে ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে।তো আজকে জানবো কিভাবে আমরা নিম পাতার মাধ্যমে ওষুধ তৈরি করে একটি সুন্দর সমাধান দিতে পারি এই রোগের।
আপনি যদি এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চান?

তাহলে অবশ্যই নিচের নিয়ম অনুসারে একটু চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এরকম মুক্তি পেতে আপনার একটি টাকাও খরচ হবে না। বাড়ির আশেপাশেই আপনি পেয়ে যাবেন এর উপাদান। কথা না বাড়িয়ে নিচের নির্দেশনাগুলো ফলো করুন।
এই রোগের ওষুধ বানাতে আপনার তিনটি উপকরণ লাগবে।
নাম্বার ওয়ান ১: দুই থেকে তিনটি নিম পাতার ডাল।
২.একটি বড় সাইজের কলার পাতা
৩. অল্প পরিমাণ ভিনেগার।

এবার আসুন আমরা এই উপাদান দ্বারা ঔষধ কিভাবে প্রস্তুতি তৈরি করব।
বিস্তারিত: সর্বপ্রথম আপনাকে নিম পাতার ডাল থেকে পাতাগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে/তারপর সে গুলোকে ব্লেন্ডারে অথবা গতানুগতিক পদ্ধতিতে বেটে নিতে হবে/অর্থাৎ পেস্ট তৈরি করতে হবে/তবে মনে রাখবেন সেখানে পানির মিশ্রণ করা যাবে না। সম্ভব হলে ব্লান্ডার এ পেস্ট করুন। রাজাদের ব্লান্ডার নেই তারা পাটাতে পিশে নিতে পারেন। খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া।
তারপর আপনি যে পেস্ট তৈরি করলেন। তা দিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট তৈরি করুন। হাতের মাধ্যমে করতে পারবেন। গোল গোল করে ছোট ছোট দানার আকারে করে নেবেন।

দ্বিতীয় ধাপঃ_সেই ছোট ছোট দানা গুলো কলার পাতার উপরে নিয়ে নেই/তবে এমন ভাবে নিবেন যাতে সেগুলো একটি সাথে একটি লেগে না থাকে/তারপর ঘরের চালের উপর কিংবা ছাদের উপরে সেগুলো কি শুকোতে দিন/এক থেকে দু দিন শুকাবেন/তবে অবশ্যই কলার পাতার উপরে দিবেন! তাহলে এর পুষ্টিগুন টা অক্ষুন্ন থাকে।
তৃতীয় ধাপ: 2 -৩ দিন শুকোনোর পর। সেগুলো সেগুলোর উপরে ভিনেগার ঢালুন। খুব বেশী না অল্প পরিমাণে। দানাগুলো ভিনেগারের সাথে মিশ্রিত করে নিন।সবগুলো দানার উপরে যখন ভিনেগার মিশ্রিত হয়ে যাবে। তারপর কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিন। তারপর একটি পরিষ্কার পাত্রে সে গুলোকে সংরক্ষণ করুন।

খাওয়ার পদ্ধতি: প্রতিদিন সকাল বেলা এবং রাত্রিবেলা ঘুমোবার আগে একটি করে দানা এক গ্লাস পানির সাথে খেয়ে নেই। তবে সকালে যে খাবেন সেটি অবশ্যই খালি পেটে খাবেন। রাত্রিবেলা ভরা পেটে খেলে সমস্যা নেই।
প্রথম প্রথম এর কোন উপকার আপনি বুঝতে পারবেন না তবে কিছুদিন পরেই আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন আপনার ভিতরে কি হচ্ছে।

এক থেকে দু মাস খাবেন। তারপর নিজে নিজেই দেখতে পাবেন এর জাদুকরী কার্যক্রম। চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আসলে এই গাছটি অসংখ্য অসংখ্য ভেষজ গুণাবলী সম্পন্ন একটি গাছ। মনে রাখবেন, জিনিসটি রেগুলার করবেন। তারপর আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন সবকিছু। তবে একটি কথা মনে রাখবেন। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিছুদিন পরে দেখবেন এলার্জি নামক রোগটি অদৃশ্য হয়ে গেছে। আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন