পঞ্চম সপ্তাহের অষ্টম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট পার্ট ৩

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।

চলে এসেছে পঞ্চম সপ্তাহের সকল ক্লাসের এসাইনমেন্ট। শিক্ষার্থীরা সকলে ব্যস্ত এখন এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার তালে।শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট এর উত্তর খুঁজে যাতে সময় নষ্ট না করতে হয় সেইজন্য আমি নিয়ে এসেছি এসাইনমেন্ট সিরিজ।এই এসাইনমেন্ট সিরিজে প্রতিটি শ্রেণির এসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর গুলো খুব সুন্দর ভাবে পাওয়া যাবে। এসাইনমেন্ট এর উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসেছি পঞ্চম সপ্তাহের অষ্টম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট । আশা করি আপনাদের উপকার হবে।

#অষ্টম শ্রেনীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট
(গ)উত্তরঃসমাজের বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সেচ্ছায় গৃহীত কাজকে সমাজসেবা বলে।ব্যাপক অর্থে মানবকল্যান ও উন্নয়নের জন্য গৃহীত সকল কর্মসূচি সমাজ সেবা নামে পরিচিত।ভাঙা রাস্তা মেরামত করা,নতুন রাস্তা নির্মানে সাহায্য করা,পুল সাকো নির্মাণ করা,রুগ্ন ব্যাক্তিকে সেবা করা,আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসক এর কাছে পৌছে দেওয়া ইত্যাদি কর্মকান্ড সমাজসেবার অন্তর্ভুক্ত। এ হিসবে নকিব সাহেবর কৃত কাজটি সমাজসেবার অন্তর্ভুক্ত। এ হিসেবে নকিব সাহেবের কাজটি সমাজ সেবামূলক কাজ।উদ্দীপক হতে দেখা যাচ্ছে নকিব সাহেব এবং তার বন্ধুরা নিজেদের উদ্যোগ এ রাস্তা সংস্কার করছে।এ ধরণের কাজ সর্ব স্তরের জনগণের উপকারে আসে।আর এর দ্বারা আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্য ও লাভ করা যায়।মহানবী (সঃ) বলেছেন,”আল্লাহ বান্দাকে ততক্ষণ সাহায্য করে যতক্ষণ যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে উপকার করে”।
উপরের আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, নকিব সাহেব এবং তার বন্ধুদের কতৃক কৃত কাজটি আখলাকে হামিদা এর সমাজসেবা প্রকাশ পেয়েছে।

(ঘ)উত্তরঃনাবিলের আচরণে আখলাকে যামীমাহ এর পরশ্রিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে।যার কুফল পাঠ্যপুস্তকের আলোকে অত্যন্ত ভয়াবহ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

পরশ্রীকাতরতা অপকারিতা অপরিসীম। হযরত (আঃ) এর পদমর্যাদা দেখে ইবলিশ তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হউন।ফলে সে অভিশপ্ত হয় এবং আল্লাহর দয়া থেকে বঞ্চিত হয়।

মানব সৃষ্টির ঈর্ষার৷ কারণে সর্বপ্রথম পাপ সংঘটিত হয়।আদম (আঃ) এর পুত্র কাবিল পরশ্রীকাতরতার বংশ বর্তী হয়ে তাই আপন ভাই হাবিলকে হত্যা করে।পরশ্রীকাতরতা মানুষের পূন্য কাজগুলোকে ধবংস করে দেয়।এ সম্পর্কে মহানবী (সঃ) বলেছেন “আগুণ যেমন সবকিছুকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয় ঠিক তেমনি পরশ্রীকাতরতাও মানুষের পূন্য কাজগুলো কে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়।”

পরশ্রীকাতরতা মানুষের শান্তি বিনষ্ট করে।মনে অশান্টির আগুণ জ্বালিয়ে দেয়।পরশ্রীকাতর ব্যক্তি আল্লাহ ও মানুষের কাছে গৃনীত।কেউ তাকে ভালোবাসেনা, কেউ তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে চায় না।সমাজের লোকেরা তাকে এড়িয়ে চলে।সমাজে অশান্তির সৃষ্টি করে এই পরশ্রীকাতরতা।এটি মানুষের মনে অহংকার সৃষ্টি করে।আর অহংকার হলো পতনের মূল।

উপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে পরশ্রীকাতরতার কুফল অত্যন্ত ভয়াভহ জিনিস।সুতরাং আমরা পরশ্রীকাতর হব না।

সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।

মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন