পঞ্চম সপ্তাহের নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট পার্ট ৩

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে আছেন ভালো আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।

চলে এসেছে পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমূহ।তাই আমি নিয়ে এসেছি এসাইনমেন্ট সিরিজ।যেখানে সকল ক্লাসের পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট পাওয়া যাবে উত্তর সহ।এসাইনমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আমি নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ে এসেছি পঞ্চম সপ্তাহের ভূগোল এবং পরিবেশ এসাইনমেন্ট নিয়ে।আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।

#ভূগোল এবং পরিবেশ এসাইনমেন্ট
১.উত্তরঃভূমিকম্পঃ
ভূ অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক ভাবে বা কৃত্তিম ভাবে সৃষ্ট হওয়া কোন কম্পন যখন ভূপৃষ্ঠের কিছু অংশকে ক্ষণিকের জন্য প্রচন্ড কিংবা মৃদভাবে আন্দলিত করে তখন তাকে ভূমিকম্প বলে।সাধারণ ৫-৭০০ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।পৃথিবীতে গড়ে প্রতি বছর ৫ লক্ষবার ভূমিকম্প হয়।
আগ্নেয়গিরিঃভূ অভ্যন্তরে উত্তপ্ত তরল মাধ্যম ও
তৎসহ শিলাচূর্ণ, ভষ্ম কিংবা পাইরোক্লাস্ট প্রভৃতি ভূ অভ্যন্তরের উপর নিগৃত হয়।নিগ্রমনের ছিদ্রপথের চার পাশে সক্রিয় হয়ে যে জোয়ালামূখি বিশিষ্ট শংকু আকৃতি বিশিষ্ট পর্বত সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয়গিরি বা সঞ্চয়জাত পর্বত বলে।
ভূমিকম্পের কারণঃ
বিভিন্ন কারণে ভূমিকম্প হয়ে থাকে।ভূমিকম্প এর কারণ নিচে তুলে ধরা হলঃ
ভূপৃষষ্ঠজনিতঃ
আমাদের ভূপৃষ্ঠ অনেকগুলো প্লেট এর সমন্বয়ে গঠিত।এই প্লেটগুলো একটি আরেকটি থেকে আলাদা থাকে ফল্ট বা ফাটন দ্বারা। এই প্লেটগুলোর নিচেই থাকে ভূপৃষ্ঠ এর সকল গলিত পদার্থ। কোন প্রাকৃতিক কারণে এই প্লেটগুলোর স্থানচুতি ঘটলে প্লেটগুলোর কিছুটা স্থানচুতি ঘটে।এক কারণে কোন প্লেটের এক অংশ অন্য অংশের তলায় ঢুকে যায়,যার ফলে ভূমিতে কম্পন সৃষ্টি হয়।আর এই কম্পনই ভূমিকম্প নামে আমাদের সামনে আবিভূত হয়।

আগ্নেয়গিরিজনিতঃ
কখনো কখনো আগ্নেয়গিরিত গলিত বিষ্পোরণ কিংবা গলিত লাভা উৎপত্তি হবার কারণে ভূমিকম্প এর সৃষ্টি হয়।
শিলাচ্যুতিজনিতঃ
কখনো কখনো পাহাড় কিংবা উঁচু স্থান থেকে বৃহৎ পরিসরে শীলা চ্যুতির কারণেও আগ্নেয়গিরি হয়।
আগ্নেয়গিরির কারণসমূহঃ
১.ভূ ত্বকের দূর্বল স্থানের ফাটল দিয়ে ভূ অভ্যন্তরে গলিতে ম্যাগমা, ভষ্ম,ধাতু প্রবল বেগে বের হয়ে অগ্নুৎপাত ঘটায়।
২.কখনো কখনো ভূ কম্পের ফাটল দিয়ে নদী নালা পাহাড় পর্বত এবং সমুদ্রের পানি ভূগর্ভের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে প্রচন্ড উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়।ফলে আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে ভূ ত্বক ফাটিয়ে দেয়।তখন ওই ফাটলের ভেতর দিয়ে বাষ্প শিলা নিগৃত হয়ে অগ্নুৎপাত ঘটায়।

অগ্ন্যুৎপাত এর ফলাফলঃ
অগ্নুৎপাত এর ফলে মালভূমির সৃষ্টি হয়,দ্বিপের সৃষ্টি হয়, ভূ পৃষ্ঠের কোন অংশ ধ্বসে গভীর গহবর সৃষ্টি হয় ফলে নানা ধরনের খনিজ লবন নিগৃত হতে থাকে।

স্থুল জন্মহার নির্ণয়ের পদ্ধতি=কোন বছরের জন্মদান করা সন্তানের মোট সংখ্যা/বছরের মধ্যকালীন মোট সংখ্যা×১০০

প্রাকৃতিক জনসংখ্যার উপর জনসংখ্যার পাচটি প্রভাব হলোঃ
১.বাড়তি জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্য ও বাসস্থান তৈরির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমনঃমাটি, পানি , বস্তু, গাছপালার ক্ষতি করে।
২.বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য তৈরির জন্য একই জমিতে একাধিকবার চাষ করা হয়।ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়।

সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।

মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন