(পর্ব:৪) মাতা – পিতাকে কষ্ট দেয়ার শাস্তি দুনিয়াতেই পাওয়া যায় । হযরত আবু বকর রা . সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেন।

সু’প্রিয় বন্দু-গন আসসালামু আলাইকুম!
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আপনারা সকলে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আজকের পোস্টের ধারাবাহিক সম্পর্কে।
বন্দু-গন আপনাদের মধ্যে হতে কেউ যদি প্রথম পর্ব দেখে না থাকেন, তাহারা এখানে ক্লিক করুন

**মাতা – পিতাকে কষ্ট দেয়ার শাস্তি দুনিয়াতেই পাওয়া যায় ।
::::::::::::::::::::::পাঠ:(৪)::::::::::::::::::::::::
অভাবের সংসারের কথা ভেবে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে চাকরিতে যোগদান করলাম । এর ঠিক এক বছর পর একদিন আমি মাকে না জানিয়ে আলেয়া নামের একটি মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসি । আমার কাণ্ড দেখে মা সেদিন ভীষন কষ্ট পেয়েছিলেন । কষ্টের যন্ত্রণায় অনেকক্ষন মা কাললেন । এরপর আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে চিৎকার করে বললেন , নিমক হারাম । বেরিয়ে যা , বেরিয়ে যা , দূর হয়ে যা আমার সামনে থেকে । আমি তাের পােড়া মুখ দেখতে চাই না । ধীরে ধীরে পাড়ার অনেকেই এসে সেখানে ভীড় করল । সকলে মিলে মাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে চলে গেল । কিন্তু মা কোনভাবেই এ বিয়ে মেনে নিতে পারলেন না । এখান থেকেই শুরু হল মায়ের সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি । এরপর একেক করে ৩ টি বছর চরম অশান্তিতে কেটে গেল । এসময়ে আমার রূপসী স্ত্রী আলেয়ার সাথে মায়ের প্রায় ঝগড়া হত । ঝগড়ায় তিদিনই আলো আমার মাকে চরমভাবে অপমান অপদস্ত করতে থাকে । আমি আলেয়ার রূপে এতটাই অন্ধ ছিলাম যে , কোনদিন তাকে কিছু বলার সাহস পাইনি । উল্টা মাকেই দু’চারটা কটু কথা শুনিয়ে দিতাম । এতে মা যে কতটা কষ্ট পেয়ে চোখের পানি ফেলাতেন , সেটা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি । সংসারের এ অশান্তিতে আলেয়ার পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে মায়ের প্রতি আমার একপ্রকারের বিরক্তিভাৰ সৃষ্টি হল । এমনকি মাকে সংসারে একটা জঞ্জাল মনে হতে লাগল । এরপর থেকে কারণে অকারণে আলেয়ার সাথে আমিও মাকে গালি দেই । মায়ের চোখের পানি আমার মনের কোন পরিবর্তন আনত না । এর ঠিক পাঁচ বঙ্কর পরের কথা । একদিন আমি হাট থেকে বাড়ি ফিরে দেখি , মায়ের সাথে আলেয়ার ঝগড়া চলছে । আলেয় অবিৰত আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছে । আলেয়ার প্রতি আমি এত দুর্বল ছিলাম যে , ওর কোন দোষ আমার চোখে পড়ত না

২০ কবরে গেলে ধরা খানে কেন ? সেদিনও মনে হল , সব দোষ মায়ের । বাড়িতে ঢুকতেই আলেয়া চেঁচিয়ে । উঠল । বলল , হয় এ মুহূর্তে এ ডাইনী বুড়িকে বাড়ি থেকে বের করে দাও , না হলে আমি চলে যাব । এ পরিস্থিতিতে রাগে ক্ষোভে আমার শরীর কাপতে শুরু করল । ‘ আলেয়া চলে গেলে আমার জীবন অর্থহীন ‘ এ ভেবে মায়ের দিকে কড়মড় করে একবার তাকালাম , তারপর উম্মাদের মত মাকে গলাধাক্কা দিয়ে বললাম , এ বুড়ি ! এমুহূর্তে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা ..। বৃদ্ধা মা আমার গলাধাক্কায় মাটিতে পড়ে গেলেন । অতিকষ্টে মাটি থেকে ওঠে মা একবারও আমার দিকে তাকালেন না ।

( পরবর্তি পোস্ট পেতে অপেক্ষা করুন)

আজ এই পযন্ত তবে জাবার আগে একটি কথা না বল্লেই নয়।
আপনারা যারা এখনো আমাদের কমেন্ট বক্স এ কমেন্ট করেননী তারা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন
আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে।
এবং অবশ্যই অন্যদের শেয়ার করে এটি পড়ার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন