পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে || ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট

পাসপোর্ট বর্তমান সময়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণের এক মাধ্যম। এমনকি দেশ-বিদেশে ব্যবসা কিংবা চাকরির জন্যও পাসপোর্ট খুবই সাহায্য করে থাকে। পাসপোর্ট ছাড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশের যাতায়াত কোনোভাবেই সম্ভব হয় না।

আর তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পাসপোর্ট করতে তেমন হয়রানি নেই। কারণ অনলাইনে আপনি ঘরে বসে পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাইহোক পাসপোর্ট করতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকার হয়।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগেঃ পাসপোর্ট তৈরি করার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ আজ আমরা পাসপোর্ট সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য জানবো এই আর্টিকেল থেকে। পাসপোর্ট তৈরি ছোট থেকে শুরু করে সকলেই তৈরি করতে পারে।

অর্থাৎ শিশু হোক কিংবা কিশোরী অথবা যে কেউ পাসপোর্ট তৈরি চাইলেই পারে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে পাসপোর্ট সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি একটু মন দিয়ে পড়লে কিলিয়ার ধারণা পাবেন পাসপোর্ট সম্পর্কে। এদিকে ওদিকে কথা না বাড়িয়ে মূল পয়েন্টে ফিরে আসা যাক!

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

১. টাকা (সর্বনিম্ন ৪,০২৫৳ – সর্বোচ্চ ১৩,৮০০ ৳)

২. ই-পাসপোর্টের আবেদন অ্যাপ্লিকেশন সামারি কপি (প্রিন্ট করা)

পাসপোর্ট ফি প্রদানের স্লিপ (প্রিন্ট করা)

৩. জাতীয় পরিচয়পত্র / অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (ফটো কপি ও মূল কপি)

৪. পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

৫. নাগরিক সনদ ও পেশা প্রমাণের সনদ

৬. পূর্বের পাসপোর্টের ফটো কপি এবং মূল কপি (আগে পাসপোর্ট থাকলে)

ই-পাসপোর্ট রেগুলার (সময় লাগে ১৫ থেকে ২১ দিন)

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ৪,০২৫৳

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ৬,৩২৫ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ৮,০৫০ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ৮,৬২৫ ৳

ই-পাসপোর্ট এক্সপ্রেস (সময় লাগে ৫ থেকে ৭ দিন)

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ৬,৩২৫ ৳

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ৮,৬২৫ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ১০,৩৫০ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ১২,০৭৫ ৳

ই-পাসপোর্ট সুপার এক্সপ্রেস (সময় লাগে ২ মাত্র দিন)

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ৮,৬২৫ ৳

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ১২,০৭৫ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ১০,৩৫০ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ১৩,৮০০ ৳

পাসপোর্টঃ উপযুক্ত উপরের যে ডকুমেন্টস রয়েছে এগুলির প্রত্যেকটি প্রয়োজন হয় পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য। ক্ষেত্রে হয়তো আপনার বয়স অনুযায়ী সকল ধরনের তথ্য নাও পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আশেপাশে লোকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলি ব্যবহার করার ফলশ্রুতিতে আপনি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।

ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন

অরিজিনাল ওয়েবসাইটে প্রবেশঃ ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। https://www.epassport.gov.bd/landing

আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচনঃ নির্দিষ্ট বক্স এর ভেতর প্রয়োজনীয় আপনার লোকেশন টি বুঝে নির্বাচন করবেন।

ই-মেইল ভেরিফিকেশনঃ আপনার মোবাইলে একটিভ থাকা ইমেইল এড্রেসটি বসিয়ে ভেরিফাই করতে হয়।

 

ব্যক্তিগত তথ্য পূরণঃ তারপর ব্যক্তিগত যে তথ্যগুলি রয়েছে তার সঠিক প্রয়োগ নির্দিষ্ট বক্সের ভেতর সুন্দরভাবে বসিয়ে দিন। (প্রয়োজনে যাচাই করে)

আইডি ডকুমেন্টসঃ আপনার পাসপোর্ট কোন কাজে ব্যবহার করবেন? এবং আগে থেকে পাসপোর্ট থাকলে, ইত্যাদির চাহিদাকৃত সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আপনি পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনেই করতে সক্ষম হবেন।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে

পাসপোর্টঃ সাধারণত পাসপোর্ট তৈরি সকলে করতে পারে, তবে পাসপোর্ট এর ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৪,০২৫৳ – সর্বোচ্চ ১৩,৮০০৳ টাকা লাগে।

তাছাড়া টাকার ধরণ অনুযায়ী আপনার পাসপোর্ট আবেদন পরিপূর্ণ হতে কত দিন সময় লাগবে সেটিও নির্ভর করে! এদিকে আবার পাসপোর্ট তৈরি করার স্থান ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দেখা যায় সুতরাং বলতে পারি, আপনার স্থান হিসেবে টাকার ও পাসপোর্ট এর ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট টাকার প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্ট তৈরি করতে শুধু নিজের পরিচয় পত্র পিতা মাতার পরিচয় পত্র হলেই হয়ে যায়। পাশাপাশি আপনি কোন কারণে পাসপোর্ট ব্যবহার করবেন তার একটা ছোট্ট সংক্ষিপ্ত সামারি প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

বাংলাদেশে পাসপোর্টঃ এনআইডি কার্ড থাকলে এনআইডি আর না থাকলে কমপক্ষে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি পিতা-মাতার ডকুমেন্ট আর পাসপোর্ট কি কারনে ব্যবহার করবেন এর সামারি তথ্যগুলি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করার আবেদন করা যায়।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ই পাসপোর্ট করতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস অবশ্যই প্রয়োজন হবে,

১. সনদ (পিতা-মাতা এবং আপনার)

২. এনআইডি (আপনার থাকলে/আপনার পিতা মাতার)

৩. নির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের ডকুমেন্ট।

ই পাসপোর্টঃ অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য নিজের পরিচয় পত্র এবং পিতামাতার পরিচয় পত্র লাগে। এবং কোন কাজে পাসপোর্ট ব্যবহার করবেন তার একটা প্রমাণপত্র লাগে ই পাসপোর্ট এর জন্য।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ই-পাসপোর্ট সুপার এক্সপ্রেস (সময় লাগে ২ মাত্র দিন)

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ৮,৬২৫ ৳

বছর ৫ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ১২,০৭৫ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৪৮ দাম ১০,৩৫০ ৳

বছর ১০ পৃষ্ঠা ৬৪ দাম ১৩,৮০০ ৳

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টঃ প্রথমত নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা এবং প্রমাণপত্র নিজের এবং পিতামাতার। আর পাসপোর্ট কি কাজে ব্যবহার করবেন এর প্রমাণপত্র নিয়ে দশ বছর মেয়াদী এ পাসপোর্ট করতে লাগে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

পাসপোর্টঃ সর্বনিম্ন ৪,০২৫৳ – সর্বোচ্চ ১৩,৮০০৳ টাকা লাগে, যেকোনো ধরনের যেকোনো বয়সের পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য। এই টাকার এমাউন্ট কম বেশি আপনি চাইলেই করতে পারবেন না কিন্তু কর্তৃপক্ষ একটু কমবেশি কথা হয়তো বলতে পারে।

আপনি শিশুর জন্য পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য একরকম খরচ করে পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনার বয়স অনুযায়ী আপনি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। আর যদি আগে থেকে আপনার নিজের পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে আপনার আত্মীয় কিংবা সন্তানের পাসপোর্ট তৈরি করার সহজ ডকুমেন্ট এবং সেটি ব্যবহার করে সহজে করা সম্ভব।

ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য ,

আপনার প্রথমত নাগরিক সনদ প্রয়োজন হবে।

যদি নাগরিক সনদ এরপর এনআইডি কার্ড আপনার থেকে থাকে তাহলে এনআইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।

পিতা মাতার এন আই ডি কার্ড এবং পাসপোর্ট কি কাজে ব্যবহার করবেন? তার সামারি!

সর্বশেষে নির্দিষ্ট টাকা পরিশোধ করে আপনি পাসপোর্ট তৈরি করার আবেদন করতে পারবেন।

ইন্ডিয়ান পাসপোর্টঃ ইন্ডিয়ান নাগরিক সনদ এবং পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপির ডকুমেন্ট দিয়ে ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট তৈরি করা যায়। যদি আপনি ইন্ডিয়ায় ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট তৈরি করতে চান তাহলে, আপনার নিজের পরিচয় পত্রের সনদ ও পিতা-মাতার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ইত্যাদির ডকুমেন্ট লাগবে।

এক কথায় পুরো কনটেন্ট এর মূল বিষয়– পাসপোর্ট করতে সাধারণত নিজের পরিচয় ও পিতা মাতার পরিচয় পত্রের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। আর কর্মসংস্থানের ডকুমেন্ট আর আপনি ই-পাসপোর্ট কি কাজে ব্যবহার করবেন তার প্রমাণ পত্র। সর্বশেষে নির্দিষ্ট প্যাকেজের পাসপোর্ট পছন্দ করে টাকা পরিশোধ করলেই নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট তৈরি করা হবে।

Related Posts

3 Comments

মন্তব্য করুন