প্রসেসর
যদি আপনার কোন কম্পিউটার কিনার কথা ভাবেন , সেটা ডেস্কটপ হতে পারে আবার ল্যাপটপ হতে পারে। তাহলে সব থেকে গুরুত্বপূর্ন জিনিস হলো সেন্টার প্রসেসিং ইউনিট , মানে সিপিইউ। এই তাকে বলে যেটা ভিরত আপনার কম্পিউটারের সমস্ত কাজ করে যেটাকে আমরা বলি প্রসেসর ।এখন আপনার এই কথাটা শুনবেন , আপনার যদি ইন্টেল এর প্রসেসর নেন তাহলে কি প্রসেসরর নিবেন আই৩ আই৫ আই৭ ? এবং এর মধ্যে জেনারেশন রয়েছে ১ম, ২য়,৩য় জেনারেশন এইভাবে করে ৭ জেনারেশন পর্যন্ত রয়েছে ।
আই৩ আই৫ আই৭ প্রসেসর কী? জেনারেশন কী ?
আপনি যেরমনের প্রসেসর নিতে চান সেটা আই৩ আই৫ আই৭ সেটা আপনার কাজের উপর নির্বর করবে । এখন যতই সংখ্যাটা উপরের দিকে যাচ্ছে ততই পাওয়ারফুল হচ্ছে ।
আই৩ প্রসেসর ঃ এইটা একটি ডুয়াল কোড , এই ডুয়াল কোড প্রসেসর কিছু কিছু ক্ষেত্তে এইটা হাইফার থ্যাডিং দেখতে পাই , হাইফার থ্যাডিং মানে হচ্চে ডুয়াল কোড যে প্রসেসরটার মধ্যে যদি হাইফার থ্যাডিং থাকে সেটা কম্পিউটারে দেখবেন কোয়াট কোড । আই ৩ একটা ডুয়াল কোড প্রসেসর আমরা যদি ডেস্কটপে ও দেখি সেখানে ও দেখা যাবে , ল্যাপটপে এর ক্ষেত্তে দেখাবে । আপনি যদি সাধারাণ কাজ করতে চান যেমন ইন্টানেট ব্রাউজিং করতে চান বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড , এক্সেল , পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি এই সব কাজ করতে চান তবে আই ৩ প্রসেসর নিবেনে , এইটার দাম ও কম ।
আই৫ ঃ এই টা হচ্ছে ডুয়াল কোড , যদি হাইফার থ্যাডিং হয় তাহলে সিস্টেমটা কোয়াট কোড হিসাবে দেখে । ডেস্কটপে আই ৫ আছে সেটা হলো ডুয়াল কোড প্রসসর । কিন্তু আপনি ল্যাপটপে আই ৫ প্রসেসর নে , কোয়াট এর মতো কাজ করবে কারন এতে হাইফার থ্যাডিং থাকে । আপনি যদি গেমস খেলেন , ফটো এডিটর করেন , মিউজিক এডিটর করেন , তাহল আই ৫ প্রসেসর নিবেন ।
আই৭ঃ যদি খুব ভারি কাজ করতে যান , যেমন গ্রাফ্রিজের কাজ করতে চান তাহলে আই ৭ নিবেন আই ৭ একটা কোয়াট কোট প্রসেসর ।এই প্রসেসরের মধ্যে হাইফার থ্যাডিং অন থাকে তাহলে আপনার সিস্টেম সেটা অক্টাকর হিসাবে দেখবে । এবং একটা প্রসেসর নিলে সেখানে দেখতে পাবেন ক্লকস স্পিন ।
আপনি এইটা শুনবেন হয়ত মোবাইলে শুনতে পারেন বা কম্পিউটারে শুনতে পারেন ২.৩ গিগাহার্ড ,১.৩ গিগাহার্ড এর মানে কি ? এর মানেটা হচ্ছে আপনার কম্পিউটারে গিগাহার্ডটা যতই বেশি হবে তত বেশি কাজ করবে , ইনপুট , আউটপুট টা দ্রুত পাবেন । এখন কিছু কিছু কম্পিউটারের ক্ষেত্তে ওভার ক্লকিং দেখতে পাবেন এইটা হচ্ছে আপনার কম্পিউটারের মাক্সিমান লিমিট টা সেটা বিতা দেয়া থাকে । যেমন ডেস্কটপের ক্ষেত্তে বলি তার মাডারবোর্ডটা যদি সেরকম সার্পোট করে তাহলে আপনি ডেস্কটপের ক্ষেত্তে , আপনার ডেস্কটপটা ধরেন ২.১ গিগাহার্ড বেস্ট আছে আপনার যে প্রসেসরটা আছে কিন্তু তাতে যদি ওভার ক্লকিং যদি করেন তাহলে এইটা ৩.১ গিগাহার্ড হয়ে যাবে । আপনার কম্পিউটারে যে প্রসেসরটা আছে সেটার মেক্সিমান দ্রুত কতটা হবে সেটা আপনার কম্পিউটারের মাদারবোর্ড ডিটেট করবে , আর আপনার কম্পিউটারের যদি ভালো একটা কুলিংফ্যান থাকে তাহলে সেটা দিয়ে ও ডিটেট করা যেতে পারে ।
জেনারেশন কী ?
৬জেনারেশন ৭ জেনারেশন এইগুলো কি ?
প্রত্যেকটা প্রসেসরে ভিতরে খুব ছোট ছোট টানডিস্টার থাকে ,এই হলো এমন একটা ডিভাইস যাতে তিনটা লেক থাকে একটাকে বলা হয় এমিটার , ২য়টা কালেক্টার , ৩য়টা ব্যাস
কিন্তু আপনার সাধারন টান্ডিস্টার দেখবেন সেগুলো সাইজ ৩-৮ ইঞ্জি হতে পারে , কিন্তু প্রসেসরের ভিতরে যে টান্ডিস্টান রাখা হয়েছে সেগুলোর নেনোমিটার সাইজ ,১০০ নেনোমিটার টান্ডিস্টার , এখন যত জেনারেশন বাড়ানো হচ্চে ততই টান্ডিস্টার ছোট করা হচ্ছে , এখন ১০ নেনোমিটার টান্ডিস্টার রয়েছে । যত নেনোমিটার কমাবে ততই ইনপুট আউটপুট ভালো দিবে , দ্রুত হবে ।
এখন ৭জেনারেশনের ল্যাপটপ কিনলেন , ধরে নিন ইন্টেল কোড আই৫, ৫ জেনারেশন ৬ জেনারেশনের ল্যাপটপ এর থেকে ৭ জেনারেশনের ল্যাপটপের মধ্যে ব্যাটারির ব্যাকআপ বেশি দিবে । কারন তার প্রসেসরে ভিতরে টান্ডিস্টার লাগানো আছে এইগুলো অনেক ছোট তাই ।