বই পড়া কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি ভাল আছেন।
আজকে আপনাদেরকে বলবো বই পড়া কেন এত গুরুত্বপূর্ণ।
বই হলো সুবিশাল জ্ঞানের ভান্ডার।
আর এই জ্ঞান হলো কিছু বিষয়ের সবকিছু জানা এবং সব বিষয়ের কিছু কিছু জানা।

জ্ঞানের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই।জ্ঞানের উৎস বইয়ের মাধ্যমে আমরা অজ্ঞাত ও গ্রহীত মনোজগতে প্রবেশ করতে পারি।
হে বইয়ের মধ্যে থাকে অসীম মনোজগতে প্রবেশের নির্দেশনা।

বই পড়ার প্রকৃত অর্থ হলো জীবনের জন্য কিছু সঞ্চয় করা আর মানব জীবনের কিছু অজ্ঞতা লাঘব করা।
বইপড়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে পড়ে তা মনে রাখা আরো বেশি জরুরি।
বই আমরা সবাই কমবেশি পড়ে থাকি।

মানব জীবনে যারা স্মরণীয়-বরণীয় হয়েছেন তাদের জীবন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় তারা বই পড়তেন এবং বইয়ের কাছে তারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।

যেমন :রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জর্জ ওয়াশিংটন প্রমুখ ব্যক্তিগণ ।
কিন্তু আমরা সবাই বই পড়ি। তাহলে আমাদের মনে কোনদিন প্রশ্ন উঠেছে বা জেগেছে যে কেন বই পড়ি? বই কেন পড়বো এর কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হল:

‌ নতুন কিছু আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে :

আমরা বিভিন্ন নতুন স্থানে ঘুরতে গিয়ে আমরা সেই স্থানের পাশাপাশি নতুন মানুষ ,নতুন পরিবেশ ইত্যাদির সাথে পরিচিতি লাভ করি।

তদ্রূপ ,বই পড়ার মাধ্যমে আমার আমরা পরিচিত হই আমাদের অবচেতন মনোজগতের সাথে, জে জগত আমাদের দান করে নতুন আলো, নতুন তথ্য, জ্ঞান ও নব জীবনের পথ।

আত্ম উন্নয়নের জন্য:

গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন: ‘ Know yourself’ অর্থাৎ ‘নিজেকে জানার চেষ্টা’ করতে হবে আত্ম-উন্নয়নের জন্য। আর নিজেকে জানতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা গোটা বিশ্বকে জানতে পারি।

বুঝবার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য:

কোন গাড়ি চালাতে হলে আগে বুঝতে হয় কিভাবে গাড়ি চলে বা চালানো হয়।তাই কোন কিছু জানতে হলে আগে বুঝে নিতে হয় আমি আসলে কি করতে চাচ্ছি। আর বুঝবার জন্য উপযোগী করতে সাহায্য করবে বই।

মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী থেকে শিক্ষা:

কথিত আছে, ‘ Life is short but art is long’ অথচ এই সংক্ষিপ্ত জীবনে কত কিছু করতে হয়।
জীবনে ভুল করে, ভুল থেকে শিক্ষা লাভ করে জীবনের যুদ্ধে যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছেন ।

বই পড়ার মাধ্যমেই এ সমস্ত মহান ব্যক্তিদের জীবন, জীবন সংগ্রাম ,জীবন অভিজ্ঞতা, ভুলভ্রান্তি ও উত্তরণ সম্পর্কে জানতে পারি এবং জীবনের জন্য শিক্ষা নিয়ে বাস্তব জীবন স্বপ্নের কাঙ্খিত চূড়ায় আরোহণ করতে সমর্থ হই।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে:

বই আমাদের নিজ মনোজগতের সাথে বহির্জগতের একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। ফলে আমরা ঘরে বসে বিশ্বজগতের আরও খবর পেয়ে থাকি। বই আমাদেরকে বহির্বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করে।

কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি ও সৃজনশীলতা:

মাকড়সার জাল আমরা সবাই দেখেছি নিশ্চয়ই।
অনেকগুলো সূতোর সাহায্যে তৈরি হয় সে জাল।তেমনিভাবে আমাদেরকে অনেক কিছুর সমন্বয় সাধন করে এর বিস্তার করতে সাহায্য করে বই।
যা আগে জানতাম না বই পড়ে তা আরও বেশি জানতে পারি এবং বুঝতে শিখি ভিন্ন ভিন্ন কাজ কিভাবে ভিন্ন ফল বয়ে আনে।

দুশ্চিন্তা রোধ করে:

২০০৯ সালে এক জরিপে বলা হয় যে, যারা প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ৬ মিনিট বই পড়ে তাদের ৬৮% দুশ্চিন্তার মাত্রা কমে আসে।
কারণ যখন বই পড়ি তখন আমরা একটি গভীর চিন্তার মধ্যে থাকি ফলে অন্য যত সব সমস্যা, চিন্তা ভাবনা মাথায় আসেনা ।
তাই বই পড়া একান্ত আবশ্যক।

এছাড়াও আরো কতগুলো উপকারিতা আছে বই পড়ে যেমন::

✓ স্মৃতিশক্তির উন্নতি সাধন করে।
✓ জীবন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
✓ শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে।
✓ভালো লেখক হতে সহায়তা দান করে।
✓ কর্মজীবনে সর্বাপেক্ষা অগ্রসরতা দান করেন।

আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই।
আশা করি সকলের ভাল লেগেছে। এভাবেই সকলে আমার পাশে থাকবেন এবং আমার পোষ্ট পড়বেন।
পরবর্তীতে আরো ভাল ভাল কনটেন্ট নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ ।
সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।।

Related Posts