বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারে আপনাকে যা জানতে হবে-২

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশাকরি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই ভাল আছেন।প্রথম পর্বে আমি বিকাশ অ্যাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা,সেন্ড মানি ও ট্রান্সফার মানির লিমিট,অ্যাকাউন্টের ধরণ নিয়ে আলোচনা করেছি।এবার ২য় পর্বে বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।আপনাদের সুবিধার্থে আমি এরপরের ধারা অনুযায়ী শুরু করছি-
৩/ক্যাশ ইন ও অ্যাড মানিঃবিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা সংযোজনের ক্ষেত্রে এই দুই পদ্ধতির ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত লিমিট প্রযোজ্য।দিনে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫ বারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা সংযোজন করার সুযোগ আছে মাসে যার পরিমাণ সর্বোচ্চ ২৫ বারে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।ক্যাশ ইনে সমস্যা হলে শুরুতে দৈনিক ও মাসিক লিমিট চেক করতে হবে।বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রাহকদের তথ্য ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনে কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়।অনেক গ্রাহকের সম্পূর্ণ তথ্য না থাকলে ক্যাশ ইন অপশনটি ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।সেক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে তথ্য আপডেট করলে ক্যাশ ইন এনাবেল হবে।অনলাইন ব্যাংকিং এবং ব্যাংকের অ্যাপ থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করার ক্ষেত্রে ব্যাংকভেদে কিছুটা ভিন্নতা আছে।অনলাইন ব্যাংকিং ও ব্যাংকের,অ্যাপ থেকে ক্যাশ ইন না হলে সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।গ্রাহক যে ব্যাংকের সেবা গ্রহণ করেন তাদের পদ্ধতিগুলা জানা থাকলে অ্যাড মানি সেবা গ্রহণ করা খুবই সহজ ও ঝামেলাহীন।কার্ড টু বিকাশ করার ক্ষেত্রে ব্যাংকভেদে কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন।যেমন যেসব কার্ডে ই-কমার্স পেমেন্ট অপশন চালু নেই সেসব কার্ড থেকে অ্যাড মানি করা যায় না।তাই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে ই-কমার্স পেমেন্ট অপশন চালু করতে হবে।
৪/মোবাইল রিচার্জঃমোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের সুবিধার্থে নানা ধরনের প্যাকেজ দিয়ে থাকে।যেমন এক অপারেটর ৩২ টাকায় ১ জিবি ডাটাপ্যাক অফার দিল।এখন গ্রাহক অ্যাপ থেকে ৪০ টাকা রিচার্জ করতে গিয়ে না জেনেই ঐ অফারে চাপ দিয়ে কিনে ফেললেন,ফলে গ্রাহকের মোবাইল ব্যালেন্সে কোন রিচার্জ যোগ হবে না।বিকাশ অ্যাপ দিয়ে রিচার্জ করতে তিন ধরনের সুবিধা নিতে পারেন গ্রাহক।কোনো প্যাকেজ ছাড়াই নিজের প্রয়োজনীয় রিচার্জ করতে পারেন।ইন্টারনেট প্যাক বা ডাটা বান্ডেল প্যাক কিনতে পারেন অথবা দুটোর সমন্বয়ে প্যাক নিতে পারেন।রিচার্জ করার সময় এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।একজন গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ ৫০ বারে ১০ হাজার টাকাএবং মাসে সর্বোচ্চ ১৫০০ বারে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত এই রিচার্জ করতে পারেন।গ্রাহক নিজের মোবাইল অপারেটরের পোস্ট-পেইড বা প্রি-পেইড যে কোন মাধ্যমে রিচার্জ করতে পারেন।এমনকি যেকোনো প্রিয়জনের মোবাইলে রিচার্জ করার সুবিধা নিতে পারেন।

২য় পর্বটি এতটুকুই থাক,পরবর্তী পোস্ট একই শিরোনামে ৩ নং পর্বে পাবেন।১ম পর্বটি “বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারে আপনাকে যা জানতে হবে-১” এই পোস্টে পাবেন।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন