বিতর্ক পার্ট২

আসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা৷ সবাইকে জানাই ইংরেজী নববর্শের সুভেচ্ছা৷ নিশ্চয় ভালো আছেন সবাই ৷ জি বন্ধুরা আমিও ভালো আছি৷ 

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা এর পার্ট ২

তো বন্ধুরা আজকের পার্টে আলোচনা করব বিতর্ক প্রদানকালে বিতর্কিককে যে যে বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত৷ তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করি…

বিতর্ক প্রদানকালে বিতার্কিককে যে যে  বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা উচিত: 

1. বিতর্ক অনুষ্টানের সভাপতি, উপস্থিত বিচারক মন্ডলী ও সুধীজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিতর্ক বক্তব্য শুরু করতে হবে৷
2. বক্তব্য সুনির্দিষ্ট বিষয়ানুগ হতে হবে৷
3. বিতর্ককের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের বিষয়বস্তুর জ্ঞান অর্জন করে নিতে হবে, যাতে প্রতিপক্ষের যুক্তি গুলো খন্ডন করে তাকে ঘায়েল করা সহজসাধ্য হয় ৷
4. বিতর্কের সুচনাতে বিষয়বস্তু বা প্রস্তাবের আভাস থাকতে হবে৷মূল বক্তব্য প্রস্তাবের পক্ষে হলে পক্ষে কিংবা বিপক্ষে হলে বিপক্ষে জোরালো মতামত ব্যক্ত করতে হবে৷
5. উপস্থাপিত বিষয়টি সুস্পষ্ট এবং শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে হবে৷
6. বিতর্কে নিজ বিষয় বস্তুর সম্পর্কে যুক্তিতর্ক,তথ্য ও তত্ব উপাত্ত উদাহারণ সময় কালীন হতে হবে৷
7. বিতর্কে  কোনো তত্ব  বা তথ্য পরিবেশনে যেন ভ্রান্ত না হয়, সেদিকে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি রাখাতে হবে৷
8. ভাষার মধ্যে একটি সামগ্রিক  ঐক্য থাকতে হবে এবং শব্দ,বাক্যাংশ বা পারিভাষিক শব্দর প্রয়োগ সমসামায়িক হতে হবে৷
9. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করতে হবে৷
10. নির্ভুল তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাতক্ষণিক ভাবে প্রতিপক্ষের যুক্তি খন্ডনের জন্য মানসিক  ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে৷
11. বক্তব্য সুনির্দিষ্ট ও বিষয়ানুগ হতে হবে ৷
12. বক্তব্য উপস্থাপনের শুরুতে এবং মাঝে মাঝে সভাপতিকে সম্ভোধন ও বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে৷

13.বিতর্কের নিজ বিষয়বস্তুর সপক্ষে দার্শনিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির চিন্তাশীল মতামত ব্যক্ত করতে হবে৷

বন্ধুরা আশা করি বুজতে পারছেন আজকের এই পর্বটি৷একজন বিতার্কিকের কি কি বিষয়ে লখ্য রাখতে হয়৷ পরবর্তি পার্টে আমরা আলোচনা করবো বিতার্কিকের করণীয় নিয়ে৷

ততক্ষেনে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন৷ আবারো সবাইকে জানাই নববর্শে শূভেচ্ছা৷ আল্লাহ হাফেজ৷