বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

জেফ বেজোস বিল গেটসকে ছাড়িয়ে গিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি সূচক মাস্ক। স্পেস-এক্স এবং টেসলার প্রধান নির্বাহী সম্পদ ১৯১ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ সূচক অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন সূচক মাস্ক। গত তিন বছর ধরে তিনি শীর্ষ স্থানের অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে গেছেন। টেসলার শেয়ারের দাম গত বছরে প্রায় আটগুণ বেড়েছে। টেসলাতে মাস্কের ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেটোরিয়াতে এলন মাস্কের জন্ম।বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর হাইস্কুল শেষে মা আর ভাই-বোনকে নিয়ে কানাডায় চলে যান মাস্ক। সেখানে অন্টারিও’র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা আর অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেন।কিন্তু অর্থ উপার্জনের নেশায় পিএইচডি অধরা রয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে বিশ্বের যুবকদের আইকন।
মাত্র দশ বছর বয়সে কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ জন্মায়।শেখেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং।ভাইকে সাথে নিয়ে তিনি জিপ-টু নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।সেসময় অ্যাপার্টমেন্টে থাকার খরচ না থাকায় অফিসেই ঘুমাতেন।১৯৯৯ সালে, তিনি ২২ মিলিয়ন ডলারে কমপ্যাকের কাছে জিপ-টু বিক্রি করেছিলেন।পেপাল নামে একটি ডিজিটাল মানি লেনদেন পরিষেবা চালু করে তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। ১৯৯৯ সালে, তিনি এক্স ডটকম নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা পরে পেপালের সাথে একীভূত হয়েছিল। পেপাল ২০০২ সালে ইবেকে 1.5 বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিলন। বিক্রয় থেকে তিনি ১৬৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন।স্পেস এক্স এর মঙ্গল মিশন

রকেট নির্মাণ সংস্থা স্পেসএক্স। গত ফেব্রুয়ারিতে স্পেসএক্স রকেট ফ্যালকন হেভিটির সফল উদ্বোধনের পরে, ইলন মাস্ক শহরের আলোচনায় পরিণত হয়েছিল। তিনি বারবার স্পেসএক্স থেকে ফ্যালকন রকেট চালু করতে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি।ইলন মাস্ক ২০২৫ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে একটি পূর্ণ নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে।
টেসলা

২০০৩ সালে যখন এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এর সাথে ছিলেন না মাস্ক। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ইলন মাস্ক বোর্ড অব ডিরেক্টরসে যোগ দিলে কোম্পানিতে আমূল পরিবর্তন আসে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি র প্রধান নির্বাহী এবং পণ্য প্রকৌশলী তিনি।

Related Posts

মন্তব্য করুন