ভাইরাস বনাম মানুষের দেহ

টাইটেল থেকে হয়তো বা আপনারা বুঝবে থাকবেন যে আমি হয়তোবা আজকে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে কথা বলতে চলেছি। কিন্তু আজ করোনা ভাইরাস নয় সার্বিক যত ধরনের ভাইরাস রয়েছে সকল ভাইরাস কে নিয়ে আজকে আমাদের এই প্রতিবেদন।

আজকে আমরা জানবো কেমন ভাবে ভাইরাস মানুষের দেহকে আক্রান্ত করে, এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করে থাকে।

ভাইরাস মূলত একটি অকোষীয় জীব। ভাইরাস দেহ কেবল ডি এন এ দিয়ে তৈরি হয়। যেকোনো ডিএনএ এবং প্রোটিন দেহ যখন এক সঙ্গে মিলিত হয় তখন ভাইরাস সজীব হয়ে ওঠে এবং প্রোটিন দেহে অর্থাৎ মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এক পর্যায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এটি মূলত ভাইরাসের প্রধান কার্যকলাপ ।

ভাইরাসের উৎপত্তি কোথা থেকে হয়?

বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস রয়েছে সেগুলো খুবই সাধারণ ভাইরাস। যেগুলো আমাদের পৃথিবীতে অর্থাৎ লোকালয়ের ভেতরে মানুষের দেহে অনেকদিন বসবাস করছে। কিন্তু নতুন আবিষ্কৃত ভাইরাস গুলো একসময় পৃথিবীতে ছিল। কোন এক সময় এগুলো যেকোনো জীবকে আক্রান্ত করে এবং মৃত্যুবরণ করার পর সেগুলো বরফের নিচে চাপা পড়ে যায়। বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের যুগে সেই বরফ গুলো গলতে শুরু করেছে এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এটি এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সবার মাঝে। সুতরাং এখন থেকেই যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কে প্রতিরোধ না করা যায় তাহলে হয়তোবা করোনার মতো আরও অনেক ভাইরাস আসতে পারে যেগুলো আমাদের পৃথিবীতে হয়তো একসময় ধ্বংস করে দেবে।

সকল ভাইরাস এর মৌলিক ধর্মগুলো প্রায় বলতে গেলে একই ধরনের। তারা একই ভাবে বংশবিস্তার করে এবং একই ভাবে মানুষকে আক্রান্ত করে।

তবে আর বাদবাকি ভাইরাস এবং করোনা ভাইরাস এর মধ্যে মূল পার্থক্য যেটি সেটি হচ্ছে অন্যান্য ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে পক্ষান্তরে করোনাভাইরাস অতিরিক্ত ভারী হবার কারণে এটি সচরাচর মাটিতেই পড়ে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকে বলতে এই ধরনের ভাইরাস কোন বাহক ছাড়া চলাচল করতে পারে না।
যদি চলাচল করতে পারতো তাহলে হয়তো বা মানবকূল আজকের প্রনষ্ট হয়ে যেত।

সুতরাং সকল ধরনের ভাইরাস কে প্রতিহত করতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে হবে। কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে যে সকল ক্ষতি আমাদের পৃথিবীতে সাধিত হচ্ছে তার মধ্যে নতুন ভাইরাসের উৎপত্তি অন্যতম।

আশাকরি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, আর্টিকেলটি শেয়ার করে ঘরের ভেতরে থাকুন। এবং সকল ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করে সুস্থ থাকুন।

স্টে হোম এন্ড স্টে সেফ।

আল্লাহ হাফেস!!

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন