পৃথিবীর আদি থেকে আজ পযর্ন্ত একমাত্র গাছপালা ই মানুষের পরম নিসার্থ ভাবে মানুষের উপকার করে গেছে। কখনো অক্সিজেন দিয়ে,তো কখনও ফলমুল ও তার শষ্য ভান্ডার উজার করে অথবা তার ভেষজ গুনাগুন দিয়ে, কোন না কোনও ভাবে গাছ শুধু আমাদের উপকারই করেছে।
অক্সিজেন এর কথা আলাদা করে আর কিই বা বলব, প্রতিটি গাছ ই তো আমাদের অক্সিজেন দেয়। এছাড়াও কিছু গাছ আছে যারা ফল দেয়। আর কিছু গাছ ফুল দিয়ে প্রকৃতিকে করে তোলে সৌন্দর্যমন্ডিত। আর কিছু গাছ আছে যাদের ভেসজগুণ আমাদের রোগ বালাই দুর করে। আজ আমি কিছু গাছের ভেসজগুণ নিয়ে সাজিয়েছি আমার গল্প।
ছোট্ট বেলা সকলেরই খুব প্রিয়। আমরা সকলেই ভাবি আবার যদি সেই ছোট্ট বেলায় ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতোইনা মজা হতো। সবাই মিলে এক সঙ্গে খেলা করা আর রাত হলে দাদির কোলে শুয়ে কতো মজার মজার গল্পই না শুনতাম। ছোট্ট বেলার সৃতি গুলো যখন মনে পরে তখন সবার আগেই মনে হয় দাদির কথা। আর আমার দাদি কিছু টোটকা চিকিৎসা ও জানতো, এই যেমন আমার যদি কখনও পেট খারাপ হতো, দাদি বলতো, “ডালিম গাছের সাতটা কচি পাতা আর পেয়ারা গাছের সাতটা কচি পাতা একসঙ্গে খেলেই পেটের সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।” আর ঠিক তাই হতো। আবার একটু সর্দি কাশি হলে তুলশি পাতার সঙ্গে একটু মধু দিয়ে খাইয়ে দিতো। এতেই আমার কাশি যেন কাশীতে চলে যেতো। তুলশির এই টোটকা চিকিৎসা যদিও আমরা সকলেই জানি।
এবার বলব নিমের কথা, যদিও এর গুণের কথা বলে শেষ করা যায় না। আমার দাদি বলত, কোনও বাসায় যদি নিম গাছ থাকে তবে নাকি সেই বাসায় রোগ বালায় খুব কম হয়। নিম গাছের বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আবার নিমপাতা বেটে তার রস খাওয়া হয় কৃমি নাশক হিসাবে। এছাড়াও নিম পাতা বেটে ছোট ছোট বড়ি করে রোদে শুকিয়ে খেলেও কৃমি ভালো হয়।আবার নিম পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে গোসল করলে চর্মরোগ ভালো হয়।
এবার একটু রুপচর্চার কথা বলি। সেই আদিকাল থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য চন্দন এর ব্যবহার এর কথা আমরা সকলেই জানি। তবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ত্বকের মসৃণতা বাড়াতে ঘৃতকুমারী ও তুলনা হয় না। আর চুলের মসৃণতা বৃদ্ধিতেও কিন্তু ব্যবহৃত হয় এই ঘৃতকুমারী। এছাড়াও ঘৃতকুমারীর রসের শরবত খেলে পেট ভালো থাকে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পাই।
আনেকেই বলে চুল তাজা তেলে। আর এই চুলকে তর তাজা রাখতে কতো ধরনের তেল আমরা ব্যবহার করি, যেমন নারিকেল তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল, কাস্টাড অয়েল ইত্যাদি। তবে এই তেলের সাথে যদি একটু মেথি গুড়া করে ব্যবহার করা হয় তবে এই তেলের কার্যকারিতা অনেক গুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও চুলের যত্নে আমরা মেহেদী পাতার রস, জবা ফুলের রস ইত্যাদি কতো কিছুই না ব্যবহার করে থাকি।
আজ আর নয়।
পরবর্তীতে আপনাদের জন্য নিয়ে আসব এই রকম আরও স্বাস্থবিষয়ক তথ্য নিয়ে।
এর একটি কথা,” বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন। “
Good
বেশ ভালো লাগলো
gd
GOOD POST
Nice post
ok