মধ্যবিওের লকডাউন নিয়ে কিছু কথা।

আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমাদের সমাজে তিন শ্রেণির মানুষ বসবাস করে।যারা সবাই এই লকডাউনে  বাসার বাইরে বের হতে পারে না।ফলে তাদের কাজ সব বন্ধ হয়ে রয়েছে।প্রথমত আছে ধনী শ্রেণির মানুষ।তাদের এই লকডাউনে কোনো সমস্যা হয় না কারন তারা জীবনে অনেকটাকা ইনকাম করেছে।এবং তাদের মধ্যে যারা মহৎ তারা অন্যান্য শ্রেণির মানুষদেরকে টাকা দিয়ে,খাবার দিয়ে সাহায্য করছে।তারপর আছে সবার নিম্ন শ্রেণির মানুষরা।তারা এই লকডাউনে ধনী লোকদের থেকে সাহায্যে নিয়ে বেচে আছে।এবং কেও কেও অনেক ছোট ছোট কাজ করছে।এরপর মধ্যশ্রেনির মানুষরা হচ্ছে মমধ্যবিত্ত।যারা পারে না নিম্ন মানুষদের মত রাস্তায় ছোট ছোট কাজ করতে।পারে না বড়লোকদের মতো টেনশন মুক্ত থাকতে।আজকে তাদের নিয়েই আমার এই লেখাটা,কি করছে তারা এই লকডাউনে চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

মধ্যবিত্তরা সারাজীবন সম্মানের সাথে একটা মধ্যআয়ের চাকরি করে পরিবারকে চালাচ্ছে।তারা নিজের সম্মানের জন্য পারে না কোনো ছোটকাজ করতে।এই লকডাউনে তাদের ইনকাম একেবারেই নেই।সে নিম্নশ্রেণীর মানুষদের মতো পারে না কাওর দান গ্রহন করতে।শুধু কষ্টেেের সাথে এখন জীবনযাপন করছেন।আর টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে দেখে কবে যাবে এই ভাইরাস।আল্লাহর কাছে অনেক বলছে এই ভাইরাস যেনো চলে যায়।কিন্তু সে তো ভাইরাসে না মারা যাবে ক্ষুধায়।যারা ধনী তাদের বুঝা উচিত এই মধ্যবিত্তের কষ্টটা।তারা হয়তো ধনীদের কাছে হাত পেতে দান গ্রহন করতে পারে না।কিন্তু তাদেরকে বাসায় গিয়ে রাতেবেলা এমনভাবে এান দিতে হবে যেন তাদেরকে দেখা না যায়।এভাবে প্রতিটি মধ্যবিত্ত মানুষের বাসায় এান পাঠাতে হবে।এতে তারা খাবার যেমন পাচ্ছে সাথে তাদের সম্মানটাও থাকছে।তাই তাদের কথাটা একবার হলেও ভেবে দেখবেন।এবং সমাজের উচু,নিচু,মধ্য শ্রেনীর সকল মানুষের মধ্যে আন্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে উঠবে।যদি এই কষ্টের সময় একে অন্যর পাশে দাড়াতে না পারেন তাহলে মানবতা আর কোথায় থাকবে।বাংলাদেশের অনেক ধনী মানুষ আছে যারা চাইলেই সবাই ভালো ভাবে বাচতে পারে।এখন আপনি ধনী হয়ে থাকলে সবার প্রথম কাজটি শুরু করুন দেখবেন আপনার দেখা অনেক মানুষ শুরু করবে।            তাই অবশ্যই;নিজে সুস্থ থাকবেন,সবাইকে সুস্থ রাখবেন।

Related Posts