মিসরের পিরামিডের আসল রহস্য জানলে হতবাক হবেন।বিস্তারিত বিজ্ঞান পর্বঃ০১।

Approve please!

আপনি কি বসে আছেন অথবা দাঁড়িয়ে আছেন অথবা শুয়ে আছেন তাহলে একটু সাবধান হয়ে বসুন। আমি আপনাকে মিশর সভ্যতা সম্পর্কে এমন কতগুলো কথা বলব যেগুলো আপনার লোম খাড়া করে দিতে পারে। প্রথমত মিশরের পিরামিড দেখে আপনা আপনি অনেক কিছুই হয়তো জানবেন ।অথবা ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছেন যে মিশরের পিরামিড কিভাবে তৈরি করা হয়েছিল ।আপনাকে যদি বলি যে মিশরের পিরামিড তৈরি করা আজ থেকে ছয় থেকে আট হাজার বছর পূর্বে অসম্ভব অসম্ভব অসম্ভব একটি বিষয় তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বলবেন যে কিভাবে?ঘটনাটি সম্পূর্ণ জানুন। তারপর মতবাদ দিবেন। প্রথমত আমি আপনাকে মিশরের পিরামিড সম্পর্কে কতগুলো অজানা রহস্য বলবো। যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। মিশরের পিরামিডগুলো  ত্রিভুজ আকৃতির। এবং এর থেকেও ভালো আকৃতিবিশিষ্ট কোনো স্তম্ভ হতে পারে না। আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন যে,পিরামিড  একদম পারফেক্ট একটি কাঠামো। মনে করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সবল কাঠামো হলো মিশরের পিরামিড। একটি একটু ভাবুন তো, ছয় থেকে আট হাজার বছর পূর্বে মানুষের জ্যামিতিক জ্ঞান আছে  তবে এরকম একটি শক্ত এবং সবচাইতে মজবুত কাঠামোর তৈরি করা কি আদৌ সম্ভব। আর আপনাকে আমি জানাবো প্রথমত বুর্জ খলিফার আগে মিশরের পিরামিডের ছিল পৃথিবীর সবচাইতে উঁচু স্তম্ভ। মিশরের পিরামিডের মাঝে যে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে আপনি অবাক হয়ে যাবেন সে সবচেয়ে বেশি ঘনত্বের আর সব চাইতে বেশি ওজনের। আর মজার ব্যাপার হল এক একটি পাথরের ওজন 25 হাজার কেজি। বর্তমান আধুনিক যেসব টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর ধারণ ক্ষমতার সর্বোচ্চ 20,000 কেজি। সেখানে 25 হাজার কেজি পাথর মানুষের মাধ্যমে কিভাবে এত সুন্দর ভাবে এখানে আনা হয়েছে। এবং একটুকু উচা নিচু নয় বরং খাপে খাপে লাগানো হয়েছে। ভাবুনতো একবার এটাকে 6 থেকে 8 হাজার বছর পূর্বে কিভাবে সম্ভব। এর পরে আসুন অন্যকথায়। মিশরের পিরামিড তিনটি তৈরি করা হয়েছে তিনটি পিরামিডে এরকম ঘন এবং 25 হাজার কেজি ওজন বিশিষ্ট হাজার হাজার, লাখ লাখ পাথর ব্যবহ্রত হয়েছে। পরবর্তীতে দেখুন মিশরের পিরামিড এর উপরে রাতের আকাশের তিনটি তারার একদম কেন্দ্রীভূত অর্থাৎ পিরামিড ৩ টি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যেন রাতের ৩ টি তারাই তিনটি পিরামিড কে নির্দেশ করে সবচেয়ে মজার ব্যাপার যে তারা তারা এবং মিশরের পিরামিডের প্রত্যেকটি কেন্দ্র একে অপরের সাথে লম্বালম্বিভাবে। আকাশে একটি তারার সাথে একটি দালান লম্বালম্বিভাবে তৈরি করা এখনো আধুনিক যুগে সম্ভব না। 

অবশ্যই পড়বেনঃ১/Telegram থেকে ইনকাম করুন মাসের ১৫০০০-২০০০০ টাকা

২/প্লে স্টোরে এপ ইন্সটল রিওয়ার্ড নিন মাসে ৩-৫ ডলার ক্রেডিট। ১০০% প্রুফসহ   একদম ফ্রীতে।  

এরপর দেখুন মিশরের পিরামিডের পাশে একটি সিংহের মূর্তি আছে সন্ধ্যেবেলা যখন সূর্য অস্ত হয় তখন সূর্যের রক্তিম আকাশ সিংহের মাথার উপর থাকে এবং সর্বক্ষণ এমন হয়ে থাকে। একটু ভাবুন যে এটা কিভাবে সম্ভব ।এত সুন্দর মিস্ট্রি কিভাবে মিশরের পিরামিড কি নিয়ে হতে পারে। আপনি একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন আমার তো মনে হয় পিরামিড তৈরিতে এলিয়েনের হাত আছে অর্থাৎ বহির্জাগতিক প্রাণীদের। কেননা এই পিরামিড এমন একটি স্তম্ভ যে টি আবিষ্কার করা আধুনিক যুগের মানুষের জন্য অসম্ভব অর্থাৎ এমন একটি মিস্ট্রি যেখানে সব কিছু বানানো হয়েছে সেটি সম্ভব না আধুনিক যুগের মানুষদের জন্য। এরপর পিরামিডের ভিতরে কতগুলো টানেল কাছে টানেল গুলো খুবই ছোট তবে ক্যামেরা ঢুকানো সম্ভব। ধারণা করা হতো এর মাধ্যমে পিরামিডের ভিতরে বাতাস ঢুকে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন একটি ড্রোন ক্যামেরা এর ভিতরে ঢুকানো হয় তখন দেখা যায় এর শেষ মুখ বন্ধ এবং সেটি ভেংগে আরও ভিতরে ঢুকা হয় তখন কতগুলো বস্তু দেখা যায়। এবং সেখানে গিয়ে ক্যামেরাটা নষ্ট হয়ে যায়। তারপর সেটার ভিতরে কোনো ক্যামেরা প্রবেশ ব্যান করা হয়েছে।  পরবর্তীতে পিরামিডে আরো কতগুলো শত শত চেম্বার আছে যেখানে মানুষ এখনো ডুকতে পারে নি।তবে পিরামিড যখন সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয় সেখানে কোন মমি পাওয়া যায়নি। হ্যাঁ আমি সত্যি বলছি। কোন মমি পাওয়া যায়নি। যদিও মিশরের ফারাও রাজাদের মমি রাখার জন্য পিরামিডটি তৈরি হয়েছিল বলে আমরা সবাই জানি। তবে এর ভিতরে কোন মমি পাওয়া যায়নি। অনেকের ধারণা হয়তো বহির্জাগতিক প্রাণী আধুনিক টেকনোলজির মাধ্যমে পিরামিডটি তৈরি করেছে তাদের অস্তিত্ব দেখানোর জন্য। কিভাবে এত সুপারন্যাচারাল ভাবে পিরামিডটি তৈরি করা সম্ভব তাও 6 থেকে 8 হাজার বছর পূর্বে। যখন বিজ্ঞান সম্বন্ধে মানুষের ধারণা অস্পষ্ট এবং সভ্য মানুষ তখনও ঠিকমত হয়নি। আপনার কি মনে হয় আবার পিরামিডের ভিতরের তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস জানেন? ২০° সেলসিয়াস!!অথচ মরুভূমির মাঝে অবস্থিত যেখানে তাপমাত্রা প্রচন্ড গরম এবং সেখানে থাকা দায়। সেখানে প্রচন্ড গরম তাপমাত্রা বিরাজ করে।সেখানে পিরামিডের ভিতরের তাপমাত্রা মাত্র ২০° সেলসিয়াস। একে প্রাকৃতিক এয়ার কন্ডিশনার বলা হয়।মিসরীয় সভ্যতা কিন্তু নিমেষে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ পিরামিডের সভ্যতার অর্থাৎ মিশরীয় সভ্যতার বিনাশ হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে তবে মিশরীয় সভ্যতার পিরামিড তাদের অস্তিত্ব কে রেখে গিয়েছে। মিশরের পিরামিডগুলো এত সুন্দর ভাবে এখনো সজ্জিত আছে এত সুন্দর কাঠামো এত শক্ত কাঠামোয় এত বছর ধরে এটি একদম ঠিক আছে। কোনো রূপ পরিবর্তন হয়নি। ভূমিকম্প, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর কিছুই করতে পারেনি।

চলবে….

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন