‘র্যানসমওয়্যার’ বর্তমানে সাইবার জগতের খুবই বিপদজনক একটি ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার। আমরা অনেকেই জানি যে ১২ মে ২০১৭ বিশ্বজুড়ে একসঙ্গে বড় ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই র্যানসমওয়্যারের হামলায় আক্রান্ত হয় সাইবার জগৎ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫০ টি দেশের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থায় হানা দেয় হ্যাকাররা। এই হ্যাকিং এর শিকার থেকে বাদ যায়নি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও। যাদের মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চিন, স্পেন, ইতালি ও তাইওয়ানের মত উন্নত প্রযুক্তির রাষ্ট্র।
বিশ্বব্যাপী সেই সাইবার হামলায় প্রায় তিন লক্ষাধিক কম্পিউটার আক্রান্ত হয়। এই হামলার পর থেকেই র্যানসমওয়্যার কি? কিভাবে র্যানসমওয়্যার কাজ করে? কিভাবে এই র্যানসমওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকা যায়? ইত্যাদি বিষয়গুলো জানার আগ্রহ জাগে মানুষের মনে। আজকের এই লেখায় সে বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
র্যানসমওয়্যার কি ও কিভাবে কাজ করে?
র্যানসমওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের ম্যালওয়ার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যবহারকারীর নিকট নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবী করে। ‘র্যানসম’ অর্থ মোটা অঙ্কের টাকা ও এর সাথে ম্যালওয়ার মিলিয়ে এর নামকরণ করা হয়েছে র্যানসমওয়্যার। কম্পিউটার বা মুঠোফোনের মত যন্ত্রের মধ্যে এ সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দিতে পারলেই সেই যন্ত্রটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া সম্ভব।
র্যানসমওয়্যার যন্ত্রটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ব্যবহারকারীর কাজে বাধা প্রদান করে এবং অনেক সময় ব্যবহারকারীর হার্ড ড্রাইভের তথ্যগুলো একটি নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দ্বারা এনক্রিপ্ট করে ফেলে। পাসওয়ার্ড দ্বারা এনক্রিপ্ট করার ফলে ব্যবহারকারী ওই কম্পিউটার ব্যবহার করতে গেলে তার কাছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুক্তিপণ অর্থ দাবি করা হয়। এনক্রিপশন পাসওয়ার্ড এতটাই বড় হয় যে, মুক্তিপণ না দিলে একে ভেঙ্গে ফেলা প্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রায় অসম্ভব।
এছাড়াও কেউ কেউ সরল একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সিস্টেম লক করে দেয় এবং ডিসপ্লেতে বার্তার মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে মুক্তিপণ দিয়ে প্রলুব্ধ করে। এ ধরনের ম্যালওয়্যার কম্পিউটার ওয়ার্ম বা ট্রোজেন ভাইরাসের মত নেটওয়ার্ক মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯৮৯ সালে জোসেফ পোপ নামের এক হ্যাকার প্রথমবারের মত ‘র্যানসমওয়্যার’ তৈরি করেন, যা ‘এইডস ট্রোজেন’ বা ‘পিসি সাইবর্গ’ নামে পরিচিতি পায়। ২০১৩ সালে ‘র্যানসমওয়্যার’ ব্যবহার করে বিটকয়েন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের বেশ কিছু ঘটনার খবর প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে আসে।
র্যানসমওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকার উপায়সমূহঃ
র্যানসমওয়্যারের হামলা থেকে আপনার ডিভাইসকে নিরাপদ রাখতে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো। সেক্ষেত্রে নিরাপদ থাকার জন্য নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করুনঃ
- আপনার জরুরি ফাইলগুলো ব্যাকআপ রাখুন।
- বিভিন্ন ইমেইল ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
- ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় সতর্ক থাকুন।
- আপনার অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখুন।
- বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করুন সাবধানতার সাথে।
- অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন ও আপডেট রাখুন।
- সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট সাইট গুলো থেকে।
- সন্দেহজনক কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
উপরের বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে সাবধানতার সাথে ইন্টারনেট জগতে চলাফেরা করুন। তাহলেই ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর ভাইরাস গুলো থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।
Humm,
Valo post
Khub valo
Thank you
Good post
দন্যবাদ
good
good
thanks to all
R8
nice
nice
nice
nice
nice
nice
Nice
Nice
Nice
ok bro
Gd
Nice
nice post
thnx
ok