র্যাম কী
আপনারা অনেকই জানেন কম্পিউটার কিনার ক্ষেত্তে আমরা মাথায় রাখি, আমাদের কতটা র্যাম দরকার । আর এইটা নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি । আমাদের কম্পিউটার কাজ করে আই.পি.এউ দ্বারা মানে হলো ইনপুট প্রসেসর আউটপুট , আপনি যখন ইনপুট দেন প্রসেসর সেটা প্রসেস করে আউটপুট দেয় । কিন্তু এর সাথে আরো দুটো জিনিস যুক্ত আছে ,
যা হলোঃ মেইন মেমোরি , অ্যাএক্সেলারি বা সেকেন্ডলী মেমোরি ।
মেইন মেমোরিঃ এটা কে প্রাইমারি মেমোরি ও বলে , প্রাইমারি মেমোরি হলো -আপনার কম্পিউটারে কাজ করার জায়গা , সুতারাং ডেটা নিয়ে যে প্রসেস করবে তার জন্য যে কাজ করার জায়গা দরকার যেটা আপনি ভাবতে পারেন মেইন মেমোরি , আপনার স্বাভাবিক ভাবে , আপনার মেইন মেমোরি যতবেশি হবে , আপনার কাজটা তত বেশি তাড়াতাড়ি দ্রুত সর্ম্পুন হবে ।
অ্যাএক্সেলারি বা সেকেন্ডলী মেমোরি ঃ আপনার প্রসেস করার পরে ডেটাটি যদি ভবিষ্যৎ এর জন্য মজুদ রাখার দরকার থাকে , তাহলে মজুদ করে রাখতে হবে , এইটার জন্য অ্যাএক্সেলারি বা সেকেন্ডলী মেমোরি ব্যাবহার হয়ে থাকে , যাকে বলা হয় হার্ডডিস ।
প্রাইমারি মেমোরি প্রকারভেদ ঃ একে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে
* র্যাম
* রোম
র্যাম এর প্রকারভেদ ঃ একে দুভাগে ভাগ করা হয়েচে
স্টাটিক র্যাম
ডাইনামিক র্যাম
স্টাটিক র্যাম ঃ এটা সাধারনত কম্পিউটারে প্রসেসর এর মধ্যে দেখতে পাই, প্রসেসরে মধ্যে ক্যাস মেমোরি হিসাবে অবস্থিত । এটার ফাংশন বা গতি ডাইনামিক র্যাম থেকে বেশি দাম ও বেশি ।
ডাইনামিক র্যাম ঃ মাডারবোর্ডে যে র্যামটা লাগায় সেটা ডাইনামিক র্যাম এটার অনেক নাম আছে যেমন – ডিডিআর/ডিডিআর২/ডিডিআর৩/ডিডিআর৪ আছে ।
আমরা স্বাভাবিকভাবে যেটা বোঝি কম্পিউটারে যে আমরা মাদারবোর্ডে উপর লাগায় সেটাকে আমরা র্যাম বলি ।
র্যাম কিভাবে কাজ করে ঃ
র্যাম ভাবতে পারেন আপনার একটা অফিসের কাজ করার টেবিলের মতো , অফিসের ফাইলগুলো নানার জায়গায় আছে এইবার আপনি কাজ কাজ করার জন্য ফাইলগুলো টেবিলের উপর আন রাখলেন তাহলে র্যামটা হচ্ছে আপনার কাজ করার জায়গা আপনার টেবিলটা যত বড় হবে তত ফাইল রাখতে পারবেন একসাথে অনেক গুলো কাজ করতে পারবেন । র্যামটা ঠিক সেইভাবে কাজ করে।
যখন আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে র্যামটা আর ডেটা মনে রাখবে না , তার জন্য প্রয়োজন সেকেন্ডলী মেমোরি মানে হার্ডডিস ।
যতক্ষন পাওয়ার থাকবে তার মধ্যে ডেটা গুলো মজুদ থাকবে , অফ হয়ে করে দিলে ডেটাগুলো আর থাকবে না শূন হয়ে যাবে ।
র্যামটা হচ্ছে কাজ করার জায়গা তাই বেশি হলে কাজ ও গতি হবে ।
কতটা র্যাম প্রয়োজন বা দরকার ঃ
এইটা আপনার কাজের উপর নির্বর করবে , আপনি যদি সাধারন কাজ করতে চান যেমন- ইন্টারেন্ট ব্রাউজিং , মাইক্রোসফট ওয়ার্ড , এক্সেল , পাওয়ার পয়েন্ট , এস কাজ করলে আপনার প্রয়োজন ৪জিবি র্যাম আপনি ৪ জিবি র্যাম ব্যবহার করবেন ।আর যদি আপনি ভারি কাজ করতে চান যেমন – ফুটো এডিটিং , ভিডিও এডিটিং , গ্রাফিক্স এর কাজ করেন তাহলে ৮ জিবি র্যাম প্রয়োজন আপনি ৮ জিবি র্যাম ব্যাবহার করবেন ।