সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট ২০২১

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়। 

 

চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজের। পছন্দের বিষয়ের এসাইনমেন্ট পেতে চোখ রাখুন গ্রাথরে। গ্রাথরের এসাইনমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আমি নিয়ে এসেছি সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। আশা করি আপনাদের উপকার হবে। 

 

প্রশ্ন:ভাষা আন্দোলনের ঘটনাবলী ধারাবাহিকভাবে লেখ। তোমাদের বিদ্যালয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কিভাবে পালন করা হয়েছিল তার একটি পর্জায়ক্রমিক বর্ণনা দাও। 

উত্তর:বাংলা ভাষা আন্দোলন  ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষায় বাংলা ভাষাকে ঘরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তথকালীন পাকিস্তান অঙ্গরাজ্যের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষক গণদাবি বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপিত হয় বহু আগে। 

 

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভাগ হয়ে পাকিস্তান অঙ্গরাজ্য ও ভারত  অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে। পাকিস্তনের ছিল দুটি অংশ:পূর্ব বাংলা (পূর্ব পাকিস্তান)ও পশ্চিম পাকিস্তান। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার অধিক দুরুত্বের ব্যবধান অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি  অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ,ভৌগোলিক এবং ভাষাগত দিক থেকে অনেক পার্থক্য ছিল। 

 

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের শাসক ঘোষণা করেন যে উর্দুই হবে পকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপট পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। পূর্ব বাংলায় বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আকস্নীক এই সিধান্ত মেনে নিতে পারে নি। এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলা ভাষার সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন  দ্রুত দানা বেঁধে উঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল ,সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। 

 

১৯৫২ সালে ২১  সে ফেব্রুয়ারি এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিছু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেলের কাছাকছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীর উপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হউন রফিক ,সালাম,বরকত,জব্বারসহ আরো অনেকে। এছাড়াও ১৭ জন যুবক আহত হন। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে উঠে। তাদের সেই মাথা ত্যাগ কে স্বরণ করে প্রতি বছর ২১ সে ফ্রেবুয়ারী আন্তজাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করা হয়। 

 

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। 

মাস্ক পড়ুন 

সুস্থ থাকুন

 

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন