সাওমি রেডমি নোট 9 রিভিউ।এত কম দামে এত ভালো কি করে?? জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।

গত মার্চ মাসের ১২ তারিখে সাওমি তাদের একটা স্মার্টফোন ভারতের বাজারে এনেছিল যা “Xiaomi Redmi Note 9″নামে পরিচিত। আমি ওয়াসিফ আজকে আপনাদের এর বিস্তারিত সব কিছু বলব তো শুরু করা যাক।

ডিজাইন
“নোট 9” কে সামনে পিছনে দুই দিকেই রক্ষা করছে “গোরিলা গ্লাস 5″। এর ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিক দিয়ে যা দামের জন্যই করা হয়েছে । তাছাড়াও এর ডিজাইন দেখতে অসাধারণ যা একবার তাকলে আর চোখ ফেরানো যাবে না। আমার মতে এর ডিজাইনে একে ১০ এ ১০ দেওয়া যায়।

ডিসপ্লে
” নোট 9″ তে ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে ” আইপিএস ডিসপ্লে” যার আকার হচ্ছে 6.67 ইঞ্চি এবং এর রিফ্রেশ রেড দেওয়া হয়েছে 60 হার্জ যা খুবই কম। এই ডিসপ্লেতে যেকোন ভিডিও ১০৮০পি তে দেখা যাবে। এখানে আছে একটি ক্যামেরা যা ডিসপ্লের মাঝখানে রাখা হয়েছে।

প্রসেসর
এতে ব্যাবহার করা হয়েছে”MediaTek Helio G85″।এটি একটি ১২ নেনমিটারের প্রসেসর। এতে রয়েছে মোট ৮ টি কোর।
১ম ২টি কোরের স্পিড হচ্ছে 2.0 গিগাহার্জ যা রান করবে “Cortex-A75” বেস করে।
পরের ৬টি কোরের স্পিড হচ্ছে 1.8 গিগাহার্জ যা রান করবে “Cortex-A55” বেস করে।
এখানে জিপিউ হিসেবে থাকছে “Mali G52” যা বেশ ভালো একটি জিপিউ। তাছাড়া এখানে রয়েছে “Android v9.0 (Pie)” যা রান করবে “MIUI 11” উপর বেস করে।
এর র‍্যাম মেনেজিং দেখে আমি সত্যই অনেক অবাক হয়েছি কারন এটি একসাথে অনেকগুলা এপ মেনেজিং করতে পারে।

র‍্যাম রম
এখানে রম হিসেব থাকবে ৩ জিবি এবং র‍্যাম হিসেবে থাকবে ৬৪ জিবি। তাছাড়াও এখানে সর্বচ্চ ১২৮ জিবি এসডি কার্ডের ব্যবহার করা সুবিধা আছে।

ক্যামেরা
এখানে ক্যামেরা হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন কোয়াড্র রিয়ার ক্যামেরা। যার মেইন ক্যামেরা 48 মেগাপিক্সেল এবং এর এফফারচার হচ্ছে 1.79। আর এখানে 8 মেগাপিক্সেল একটা আল্ট্রাওয়াড্র ক্যামেরা আছে যার এফফারচার হচ্ছে 2.2 । এখানে আরও পাচ্ছেন 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাকরো লেন্স যার এফফারচার হচ্ছে 2.4। তাছাড়াও পাচ্ছেন একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেল স্নেসর যার এফফারচার হচ্ছে 2.4। পর্যপ্ত আলো থাকলে ক্যামেরার ছবির কওয়ালেটি অসাধারণ হয় তবে লাইট কম থাকলে ছবিটা একটু খারাপ হয়ে যায় তবে চালিয়ে নেওয়ার মত।

ব্যাটারি
“নোট 9” এ ব্যাবহার করা হয়েছে 4100 এমএইচ ব্যাটারি যা দিয়ে এই ফোন আরাম চেয়ে দিন চলে যাবে। তবে আমার মনে হয় দিন শেষে সামান্য একটু চার্জ দিতে হবে। তাছাড়াও একটানা গেম প্লেইং করলে এভারেজে ৪ ঘন্টা পাড় করে দেওয়া যাবে আর শুধু শোসাল মিডিয়া চালালে দিন রাত নরমালি চলবে।

স্নেসর
এখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় স্নেসর আছে। তবে সব চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এখানে 3.5 এমএম অডিও জ্যাক আছে। এখানে চার্জিং প্রোট দেওয়া হয়েছে “টাইপ-সি”। তাছাড়াও এখানে রয়েছে পিংজার প্রিন্ট যা পিছে আছে। ফোনটিতে ফেস আনলকের সুবিধা আছে।

চার্জিং
এই ফোনের বক্সের সাথে দেওয়া হয়েছে 30 ওয়াড্রের ফাস্ট চার্জার যা ব্যবহার করে ফোনটি ৬০মিনিটেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে এটা তারা দাবি করছে। তবে আমার মনে হয় যে এটি তার চেয়ে খানিকটা দেরি হবে।

দাম
এর দাম ধরা হয়েছে ১৫০০০ টাকা। যা খুবই কম টাকা।
ধন্যবাদ।

Related Posts