সেরা ৩ টি ফ্রি এনড্রয়েড ফটো এডিটিং এপস

মোবাইল ফটোগ্রাফি করি কিন্তু এডিটিং করিনা এমন লোক খুজে পাওয়া মুশকিল। সবাই চায় তার তোলা ছবিটি হয়ে উঠুক আরো সুন্দর, আরও আকর্ষণীয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। ছবি তোলায় খুব বেশী পারদর্শী না হলেও এডটিং করে ছবিকে আরো সুন্দর করে তুলি। কিন্তু মোবাইলে এত এত এপসের ভিড়ে পার্ফেক্ট মোবাইল ফটো এডিটিং এপ খুজে পাওয়া ভার। তার উপর এক এপের ভিতর সব পাওয়া ও যায় না। তাই অনেকদিন খুজে অনেক এপস ব্যবহার করে আমি এমন ৩ টি এপস খুজে পেয়েছি যাতে আমি মোটামুটি আমার সব কাজ করে নিতে পারি।
অনেকে শুধু তোলা ছবি এডিটিং ছাড়াও অনেক কাজের জন্য ছবি এডিটিং এর দরকার বোধ করে। যেমন আমি একজন মিমার। ছবি এডিট করে ট্রল বানানো আমার নিত্যদিন এর কাজ। আবার আমি এখন যে ওয়েবসাইটে লিখছি সেখানেও ফিচার ইমেজ বা ছবি যোগ করতে হয়। এটিও ইডিট করে নিতে হয়। তাই চলুন আমার দেখা সেরা ৩ টি ফ্রি ফটো এডিটিং এপসের কাউন্টডাউন শুরু করি।
৩) Snapseed- অনেকের কাউন্টডাউনে এই এপটি হয়তো ১ নাম্বারে থাকবে। তুমুল জনপ্রিয় এই এপটি অনেক মোবাইল ফটোগ্রাফারের প্রথম পছন্দ। এর বিশেষ কিছু ইউনিক ফিচার এই এপকে করেছে সবার পছন্দের। আমার ব্যাক্তিগত পছন্দের এডিটিং টুলটি হলো এর কার্ভ। এটি ব্যবহার করতে আপনাকে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। তাছাড়া ব্রাশ ব্যবহার করে এডিটিং টুলটিও আকর্ষণীয়। এই এপের কিছু ফিল্টার ও কিছু ফ্রেমের ফিচার অন্য এপ থেকে একে করেছে আলাদা।
২) Pixlr- অনেকের লিস্টে হয়তো এই এপটি খুজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু অনেক আগের থেকে এই এপটি তাদের সুবিধা প্রদান করে আসছে। এই এপটি এই লিস্টে জায়গা করে নেয়ার প্রধান কারণ হলো এর সহজভাবে কাজ করার সুবিধা। নতুন যে কেউ এই এপটি ব্যবহার করে ফটো এডিটিং করতে পারবে খুব সহজেই। এই এপটির সবচেয়ে ভালো ফিচার যা আমার কাছে মনে হয় তা এর অটো ফিক্স এবং অটো কন্ট্রাস্ট টুলটি। আপনি একদম নতুন এবং এ বিষয়ে আইডিয়া না থাকলেও এই টুলটি ব্যবহার করে আপনি ছবি এডিট করে নিতে পারবেন। তাছাড়া এর কিছু ফিল্টার খুবই ইউনিক।
৩) Picsart- এই এপটি আমার মতে এনড্রয়েডের জন্য বেস্ট ফটো এডিটর। এটি শুধু এডিটর বললে ভুল হবে। এটি আপনার মোবাইলের ফটোশপ বলা যায়। এত ভার্সেটাইল এপ খুব কম ই আছে। আপনি এখানে লোগো বানাতে পারবেন। নিজের কার্টুন ছবি বানাতে পারবেন। এমনকি আপনি এখানে ছবি আকতেও পারবেন। ছবি কাটআউট থেকে শুরু করে স্টিকার বানানো, পিএনজি ফাইল বানানো সব পারবেন এখানে। এর সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো আপনার ইডিট করা ছবির কোয়ালিটি খারাপ হবেনা এখান থেকে। আমাএর প্রয়োজনীয় সব এডিটিং কাজ এখান থেকেই বেশিরভাগ করে নেই।
আজ তাহলে এই পর্যন্তই। পরবর্তীতে কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে।

Related Posts