স্বাস্থ্য সচেতন থাকার কিছু টিপস।

স্বাস্থ্যসচেতনতার কথা আসলে বিভ্রান্ত হওয়া টা স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই প্রবাদটি মুখে মুখে প্রচলিত হলেও প্রকৃতপক্ষে খুব কম মানুষই স্বাস্থ্যসচেতন। স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া টা অত্যন্ত জরুরী। নিচে কিছু টিপস দেয়া হলো এসব টিপস অবলম্বন করলে আপনারা স্বাস্থ্য সচেতন বলে বিবেচিত হবেন।

১. সুগার ক্যালোরি থেকে দূরে থাকুন।

আমরা দৈনন্দিন জীবনে শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশি খেয়ে থাকে এছাড়াও চিনিযুক্ত খাবার তো রয়েছেই। এসব চিনিযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব খাবার টাইপ টু ডায়াবেটিস হার্টের রোগ ইত্যাদির জন্য দায়ী। এসব খাবার থেকে আমাদেরকে যতটা সম্ভব ততটাই দূরে থাকতে হবে। শরীরে মেদ চর্বি জমার প্রধান কারণ এই সুগার ক্যালোরি। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ খাদ্য গ্রহণে মেদ চর্বি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। আমাদের সবাইকে যতটা সম্ভব সুগার যুক্ত খাবার থেকে মুক্ত থাকতে হবে, নইলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা শতভাগ।

২. বেশি বেশি বাদাম খান।

বাদাম খুবই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। পুষ্টিতে ভরপুর এই বাদামে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার ও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বাদাম শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্র ও টাইপ টু ডায়াবেটিস এর বিরুদ্ধে কাজ করে।

এটা প্লাস পয়েন্ট যে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই দিনের বেশিরভাগ সময় বাদাম চিবিয়ে থাকে।

৩. জাঙ্ক ফুড পরিহার করুন।

জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ বাহিরের খাবার থেকে সব সময় আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে। আমাদেরকে সব সময় বাসায় তৈরি খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড এর প্রতি আসক্তি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জাঙ্ক ফুড তৈলাক্ত খাবার হওয়ার কারণে হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অতিরিক্ত জাঙ্কফুড গ্রহণের কারণে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪. নিয়মিত কফি পান করুন।

কফি স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। কফিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কফি টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। অনেকেই কফির উপকারিতা জানেন না। দুধ চা পান করার চাইতে উত্তম কফি পান করা।

৫. তাজা মাছ খাওয়া খুবই জরুরী।

মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা আপনার স্বাস্থ্য তাড়াতাড়ি গ্র করতে সাহায্য করে। মাছ প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। তেলাপিয়া মাছের সর্বোচ্চ পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মাছ থাকা আবশ্যক।

Related Posts