হৃদরোগ থেকে দূরে থাকুন শুধুমাত্র এই নিয়মগুলো মেনে চলে।জেনে নিন সব নিয়মগুলো একসাথে।

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আপনারা সবসময় ভাল থাকেন এটাই কাম্য।আপনারা যেন আরো ভাল ও সুস্থ্য থাকতে পারেন তার জন্যই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। যেগুলো মানতে পারলে আল্লাহর রহমতে আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন।
আমাদের দেশে এখন হৃদরোগের মাত্রা অনেকাংশেই বেড়ে গেছে।হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এ গেলেই বোঝা যায় যে প্রতিদিন কি পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছে আর প্রতিদিন ঠিক কতজন মারা যাচ্ছে।এ থেকে বাচতে আর সচেতন করতেই আমার আজকের পোস্ট।তাহলে চলুন শুরু করি-

হৃদরোগের প্রধান কারন রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেশি থাকে।পরিকল্পিত খাধ্যগ্রহন নীতি মেনে চললে এই কোলেস্টেরল আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যে সব খাবার প্রতিদিনে আপনার খাবারের জন্য রাখতে হবে অথবা যেগুলো রাখবেন তা জেনে নিন-

যেসব খাবারে আশ বেশি সেগুলো খাবেন। যেমন-সবুজ শাক,সালাদ,ছোলা,বুট,টক ফল,খোসা সহ পেয়ারা,আমলকি,কা
মরাংগা,আমরা,লেবু,বরই।
চর্বি জাতীয় খাবার কম খাবেন।উপকারী ফ্যাট বা অসমপৃক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া ভাল।সব রকমের সামুদ্রিক মাছ,উদ্ভিজ তেল-কর্নওয়েল,সানফ্লাওয়ার ওয়েল,সয়াবিন তেল,সরিষার তেল(ক্যালরি অনুযায়ী)
যে সব খাবার কম খেলে বেশি উপকার পাবেন-শর্করা জাতীয় খাবার, দুধ বা দুধের তৈরি খাবার,চিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম।আপনার প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকা থেকে যে খাব্র যতটা সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করুন।যেমন-খাসির মাংস,মাংসের চর্বি,গরুর মাংস(মাঝে মাঝে খুব অল্প পরিমাণে রানের মাংস খেতে পারবেন),মগজ,কলিজা,গলদা চিংড়ি, হাড়ের মজ্জা,ঘি,মাখন,ডালডা নারকেল,মার্জারিন।
আরো কিছু খাবার টিপস-মেথি,কললার রস,ইসবগুলের ভুষি,এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
এবার জানাবো কিভাবে রান্না করে খেলে বেশি ভাল ফল পাবেন।

রন্ধন প্রনালী : মনে রাখবেন খাবার প্রস্তুত প্রনালীরসাথে ক্যালরির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে যা ওজন কমাতে বা বাড়াতে সাহায্য করে।বিষয়টির সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। রান্নার ক্ষেত্রে নিচের নিয়মাবলি মেনে চলুন-

খাবার ডুবো তেলে ভাজা যাবেনা।ভাজার চেয়ে গ্রীল করা খাবার ভাল,বেশি মশলা ও ভাজা খাবার রান্না করা উচিত নয়।খাবার ভাল তেলে বা কম তেলে রান্না করা ভাল।

আরো কিছু পরামর্শ –
প্রয়োজনের তুলনায় শরীরের ওজন বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।তাই নিচের টিপস গুলো মনে রাখুন :

সুযোগ পেলেই হাটুন।ধুমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন,মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন,টেস্টিং সল্ট অথবা লবন খাবেন না,ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।খাবারে কাচা লবন খাবেন না।হৃদরোগের ঝুকি যদি আপনি কমাতে চান তাহলে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন অনিবার্য। প্রতিদিন নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহন করুন।হৃদরোগের ঝুকি থেকে নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুষ্টি সচেতন হতে হবে।
আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ্য থাকবেন।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন