৮ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (পার্ট-২, ৬ষ্ঠ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান

 আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে  আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান ৮ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (পার্ট-২, ৬ষ্ঠ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।

৮ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (পার্ট-২, ৬ষ্ঠ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টে

 

                    ১ নং প্রশ্নের উত্তর:

(ক) উদ্দীপকে করোনা সচেতনতা আর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। তা নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো:

উদ্দীপকে বলা হয়েছে সম্প্রতি করিম চাচা বিদেশ থেকে এসে দুই সপ্তাহ তার ঘরে অবস্থান করেন। কোন সমস্যা না হওয়ায় এরপর তিনি পরিবারের অন্যদের সাথে মেলামেশা শুরু করলেন। করোনা  একটি ভাইরাসজনিত বায়ুবাহিত এবং সংক্রামক ব্যাধি। এই রোগে অধিক জ্বর, গলা ব্যথা, সেই সাথে সর্দি, কাশি, মাথা- ব্যাথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা থাকতে পারে। সর্বপ্রথম এই ভাইরাসটি চীনের উহান শহরে ধরা পড়ে।তারপর থেকে বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবী জুড়ে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।শীতকালে এ রোগের প্রকোপ বেশি থাকে এবং যেসব জায়গায় অধিক লোকের বসবাস; সেখানে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়ায়। এই রোগ হলে দুই সপ্তাহ বা ১৪ দিন অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে হয়। আর সেই আলাদা থাকাকে বলা হয় কোয়ারেন্টাইন । উদ্দীপকে করিম চাচা দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইন ছিলেন।

তাই বলা যায়, উদ্দীপকে করোনা রোগের সচেতনতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।  

(খ) উদ্দীপকে মূলত করোনা লোকটির কথা বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাস যে প্রতিরোধ করা যায় বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে নিজের মূল্যায়ন করা হলো:

১. মাক্স ব্যবহার করতে হবে

২. যেহেতু করোনাভাইরাস একটি সংক্রামক ব্যাধি তাই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে

৩.  নিরাপদ পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪.  প্রতিদিন পরিমানমতো ব্যায়াম ও বিশ্রাম নিতে হবে

৫. সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে

৬. ঋতু পরিবর্তনের সময় বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে পৃথক রাখতে হবে।

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলেই খুব সহজেই করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

 

                   ২ নং প্রশ্নের উত্ত র:

রোগের নাম              প্রতিরোধক টীকা

যক্ষা                  –        বিসিজি টীকা

পোলিও             –      ওপিডি টীকা

ডিপথেরিয়া        –       পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন

হাম                   –         হামের টীকা

ধনুষ্টংকার           –       টিটি টীকা

হেপাটাইটিস বি,

হিমোফাইলস ইনফ্লুয়েঞ্জা বি  – পেন্টাভ্যালেন্ট      ভ্যাকসিন

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। 

 

                    ৩ নং প্রশ্নের উত্তর:

যৌন বিষয়ক কথা, ইঙ্গিত, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কাউকে বিরক্ত করা হলে তাকে যৌন হয়রানি বলা হয়। আর অন্যের দ্বারা শরীরের গোপন অঙ্গের স্পর্শ বা আঘাত যৌন নিপীড়নের মধ্যে মধ্যে পড়ে। যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়নের শিকার হলে যে যে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তা নিম্নে দেওয়া হল:

১. কোন হয়রানির সম্মুখীন হলে কৌশলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা এবং মা-বাবা, শিক্ষক ও আপনজনকে জানানো

২. মন্দ স্পর্শ টের পেলে অবশ্যই তা সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবা, শিক্ষক ও আপনজনকে জানানো

৩. পরিচিত অপরিচিত কারো সাথে একা বেড়াতে না যাওয়া

৪. বাড়িতে একা থাকলেই সাবধানে থাকা

৫. অপরাধীর মুখোশ সবার কাছে খুলে দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।

 

                   ৪ নং প্রশ্নের উত্তর

(ক) উদ্দীপকের ছেলেটির সমস্যার কারণ হচ্ছে ওজনাধিক্য। নিম্নে ছেলেটির সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা করা হলো:

উদ্দীপকের মুন্না চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। সে খেতে খুব পছন্দ করে। চকলেট, চিপস, ড্রিংস তার খুব পছন্দ। ইদানিং সে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে হাঁপিয়ে যায় ও বন্ধুদের সাথে খেলতে যায় না। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে । কারো শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় তখন সেই অবস্থাটাকে ওজনাধিক্য বলে।দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া।আমরা প্রতিদিন যদি ক্যালরিবহুল খাদ্য দেহের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গ্রহণ করি এবং কম পরিশ্রম করি তাহলে অনিয়ন্ত্রিত ফ্যাট আমাদের শরীরে জমা হবে। আর উদ্দীপকের মুন্নার একই অবস্থা হয়েছে। কারন সে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করেছে

সুতরাং এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে উদ্দীপকের ছেলেটির সমস্যার কারণ ওজনাধিক্য।

 

(খ) উদ্দীপকের মুন্নার মা মূলত পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। মুন্না সমস্যার উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ করা হলো।

মুন্না শরীরের ওজন বেশি হলে খাদ্য সংক্রান্ত নিম্নলিখিত নিয়ম মেনে চললে তার সেই সমস্যা থেকে উত্তরণ পাবে:

১. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি, মৌসুমী ফল, টক ফল রাখতে হবে।

২.শস্য ও শস্য জাতীয় খাদ্য যেমন ভাত, রুটি, চিড়া-মুড়ি নির্ধারিত পরিমানে খেতে হবে।

৩.প্রতিদিন প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য ডাল, বাদাম ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে

৪. খাদ্যতালিকা দুধ রাখতে হবে। কারণ দুধ সুষম খাবার।

৫. নাস্তা হিসেবে সব সময় কম ক্যালরিযুক্ত খাবার বাছাই করতে হবে।

৬. ক্ষুদা লাগলে ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার, বিভিন্ন ভাজা, প্যাকেট জাত বেকারি খাবারের পরিবর্তে মৌসুমী ফল খাবার অভ্যাস করতে হবে।

উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করলে মুন্না খুব সহজেই তার সমস্যা থেকে উত্তর পেতে পারে।

 

কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং  পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। 

আগের পোস্টটি পড়তে ক্লিক  করুন।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন