৯ম-১০ম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞানের গুরুতপুর্ন কিছু প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালে আছি।আপনাদের আজকে আমি ৯ম-১০ম শ্রেণী পদার্থ বিজ্ঞান এর কয়েকটি অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি প্রশ্ন আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এই প্রশ্ন গুলো সম্পুর্ন বোর্ড বই থেকে বানানো।আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।

★ ভেক্টর রাশি কাকে বলে?

– যে সকল রাশি কে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য মান ও দিক উভয় এরই প্রয়োজন হয় তাদেরকে ভেক্টর রাশি বলে।

★ অভিকর্ষজ ত্বরন কাকে বলে?

-অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।

★ সরন কাকে বলে?

-সময়ের সাথে নির্দিষ্ট দিকে কোন বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন কে সরন বলে।

★ অসম ত্বরন কাকে বলে?

-সময়ের সাথে গতিশীল কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার যদি সমান না থাকে তাহলে সে ত্বরনকে অসম ত্বরণ বলে।

★ চলন্ত বাস হতে বাইরের গাছগুলোকে গতিশীল মনে হয় কেন ব্যাখ্যা করো।

-চলন্ত বাস থেকে বাইরের গাছ  গুলোকে গতিশীল মনে হয় আপেক্ষিক বেগের কারণে। প্রত্যেক পর্যবেক্ষক  তার নিজ কাঠামোকে স্থির দেখে। চলন্ত বাসের যাত্রী বাসটিকে স্থির দেখবে কিন্তু তার কাছে মনে হবে গাছপালাগুলো বিপরীত দিকে গতিশীল।

★ সকল স্পন্দন গতি  পর্যায় গতি ব্যাখ্যা করো ?

-কোন বস্তুর গতি যদি এমন হয় যে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর বস্তুরটির গতির পুনরাবৃত্তি ঘটবে।তবে ওই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে। আবার কোন বস্তু যদি তার  পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোন নির্দিষ্ট দিকে আর বাকি অর্ধেক সময় তার বিপরীত দিকে চলে তবে তার গতিকে স্পন্দন গতি বলে স্পন্দন গতি সম্পন্ন একটি কণা এর গতিপথের যে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর একই দিক থেকে অতিক্রম করে তাই সকলের স্পন্দন গতি একপ্রকার পর্যায়বৃত্ত গতি।

★ জড়তা কাকে বলে?

-বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সে অবস্থায় বজায় রাখতে চাওয়ার যে প্রবনতা বা সে অবস্থা বজায় রাখতে চাও আর যে ধর্ম তাকে জড়তা বলে।

★ বলের সংজ্ঞা দাও।

-যার প্রয়োগের কারণে স্থির বস্তু চলতে শুরু করে আর সমবেগে চলতে থাকা বস্তুর বেগের পরিবর্তন হয় সেটাই হচ্ছে বল।

★ স্পন্দন গতি কাকে বলে?

-পর্যায়বৃত্ত গতি সম্পন্ন কোন বস্তু যদি পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোন নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় একই পথে তার বিপরীত দিকে চলে তবে এর গতিকে স্পন্দন গতি বলে।

★ সাম্যবল কাকে বলে?

-যেসব কারণে সাম্যবস্থা সৃষ্টি হয় তাদেরকে সাম্যবল বলে।

★ ঘর্ষন কাকে বলে?

-একটি বস্তু যখন অন্য একটি বস্তুর সংস্পর্শ থেকে একের উপর দিয়ে অপরটি চলতে থাকে চেষ্টা করে বা চলতে থাকে তখন বস্তুদ্বয়ের গতির বিরুদ্ধে একটি বাধার উৎপত্তি হয় এ বাধাকে ঘর্ষণ বলে।

★ স্থিতি ঘর্ষন কি?

-দুটি বস্তু একে অন্যের সাপেক্ষে স্থির থাকা অবস্থায় ঘর্ষণ বল থাকে, সেটাই হচ্ছে স্থিতি ঘর্ষণ বল।

★ প্রবাহী ঘর্ষন কি?

-যখন কোন বস্তু তরল বায়বীয় পদার্থ এর ভিতর দিয়ে যায় তখন এর গতির বিপরীত ঘর্ষণ বল অনুভূত হয় তাকে প্রবাহী ঘর্ষণ বলে।

★ বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ বন্ধ করার সাথে সাথে থেমে যায় না কেন?

-বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ বন্ধ করার সাথে সাথে বন্ধ হয় না কারণ গতির জড়তা ধর্মের কারণে। গতিশীল বস্তুর গতি বজায় রাখার প্রবণতা পাখাটি আরও কিছু সময় পর্যন্ত ঘরে এবং বায়ুর বাধা ও ফ্যান এর স্যাফটেরর ঘর্ষণের কারণে ধীরে ধীরে থেমে যায়।

★ কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটা কষ্টকর কেন ব্যাখ্যা করো।

-রাস্তায় হাটার সময় রাস্তা ও পায়ের তলার মধ্যে যে ঘর্ষণ বল তৈরি হয় তার জন্য আমরা স্বাচ্ছন্দ্য চলতে পারি। কিন্তু কর্দমাক্ত রাস্তায় রাস্তায় পায়ের তলার মধ্যকার ঘর্ষণ বল হ্রাস পায়।এর ফলে ওই রাস্তায় পিছলে যাই তাই কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটতে কষ্ট হয়।

★ একটি মাইক্রোবাস ও একটি ট্রাকের মধ্যে কোনটির জড়তা বেশি?

-একটি মাইক্রোবাস ও একটি ট্রাকের মধ্যে ট্রাকের জড়তা বেশি।প্রত্যেক জড় পদার্থ ই তার নিজের স্থির বা গতিশীল অবস্থা অক্ষুন্ন রাখার জন্য চেষ্টা করে এবং একটি বস্তুর ভর এর সাথে পরিবর্তিত হয়।যেহুতু একটি ট্রাকের ভর মাইক্রোবাসের চেয়ে বেশি,সুতরাং ট্রাকের জড়তা বেশি।

★ দেওয়ালে পেরেক ঢুকালে আটকে থাকে কেন?

-দেওয়ালে পেরেক ঢুকালে তা আটকে থাকে ঘর্ষণ বলের কারণে। যখন পেরেক কে দেওয়ালের ভিতরে ঢুকানো হয় তখন এর বাইরের পৃষ্ঠ এবং দেওয়ালের ভিতর বৃষ্টি কণা গুলোর মধ্যে একটি ঘর্ষণ বলের উদ্ভব হয়। এই কারণে পেরেক দেওয়ালে আটকে থাকে।

★ পযার্য় বৃত্ত গতি কাকে বলে?

-কোন গতিশীল বস্তুর প্রতি যদি এমন হয় যে তা গতিপথের কোন বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর এদিক থেকে অতিক্রম করে তবে সেই বস্তুর গতি পর্যাবৃত্ত গতি।

★ প্যাচ যুক্ত পানির কল যা গুরিয়ে গুরিয়ে খুলতে হয়,সাবান যুক্ত ভেজা হাতে প্যাচ যুক্ত পানির কল খোলা কষ্টকর কেন?

-সাবান এক ধরনের পিচ্ছিল কারী পদার্থ। তাই সাবান যুক্ত ভেজা হাতে পানির কল খুলতে গেলে পানির কল ও হাতের মধ্যকার ঘর্ষণ বল অনেকাংশে কমে যায়। এ প্যাচ যুক্ত পানির কল যা, ঘুড়িয়ে খুলতে হয়, সাবান যুক্ত ভেজা হাতে তা খোলা কষ্টকর।

★ মন্দন কাকে বলে সংজ্ঞা দাও।

-সময়ের সাথে বস্তুর অসম বেগ হ্রাসের হার অসম ত্বরণ হলো সময়ের সাথে গতিশীল কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার যদি সময় না থাকে তাহলে সে ত্বরকে অসম ত্বরণ বলে।

★ অভিকর্ষজ ত্বরণ, g=9.8 ms -2 বলতে কি বুঝায়?

-অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারই অভিকর্ষজ ত্বরণ।

ভূপৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান 9.8 -2 বলতে বুঝায় ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত যেকোনো বস্তুর ত্বরণ হয় 9.8 ms -2 অর্থাৎ বস্তুটি যখন ভূ-পৃষ্ঠের দিকে আসতে থাকে তখনই বেগ প্রতি সেকেন্ডে 9.81 ms-2করে বাড়তে থাকে।

★ কোনো বস্তুর গড়বেগ শূন্য হলেও গড় দ্রুতি অশূন্য হতে পারে, ব্যাখা কর।

-গড় বেগের ক্ষেত্রে সময় কে সরণ দ্বারা ভাগ করে বের করা হয়। এখন যদি কোনো বস্তু বিভিন্ন পথ ঘুরে ফিরে ঠিক তার আদি অবস্থানে ফিরে আসে তখন সরণ শূন্য হয় এবং এর ফলে গড় বেগ শূন্য হয়ে যায়। কিন্তু আঁকাবাঁকা বা সরল পথে বস্তুটি মোট যতটুকু পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ অতিক্রান্ত দূরত্ব কে মোট সময় দ্বারা ভাগ দিলে গড় দ্রুতি পাওয়া যায়, যা অশূন্য।

আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসছে।পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে  ধন্যবাদ।

Related Posts