ডিগ্রি অথবা ফাযিল (স্নাতক) পরিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা। যা হয়ত বদলে দিতে পারে আপনার জীবনের অনেক কিছু।

সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকাগণ আসসালামুয়ালাইকুম। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রিয় পরিক্ষার্থী দের বা ডিগ্রি পরিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা লিখবো ইনশাআল্লাহ ।

আমরা যারা ফাযিল কিংবা ডিগ্রীতে পড়াশোনা করছি তাদের বেশীরভাগরাই কোনো না কোনো কর্মে জড়িয়ে আছি কিংবা সংসারে অথবা অন্য কিছু। তবে যাই হোক শুধু পড়াশোনা করছি এমন বোধহয় কমই আছে। সবার উদ্দেশ্যেই কথাগুলো বলছি। ফাযিল কিংবা ডিগ্রীর শিক্ষার্থীদের অধিকাংশরাই অন্যান্য ব্যস্ততার কারনে আমরা আমাদের পড়াশোনা খুব কম সময় দেই। কিন্তু আমরা যদি একটু চেষ্টা করি তাহলে আমাদের জিবনে অনেক বর পরিবর্তন আসতে পারে। এমনকি আমাদের জিবনের মোড়টাই বদলে যেতে পারে।

অনেকেই হয়ত ভাবছেন আমি এসব কেন বলছি। বলছি এই কারনে জে অধিকাংশ মানুষ এই সময়টা চলে যাবার পরে, জিবন থেকে এই সুযোগটা হারিয়ে ফেলার পরেই উপলদ্ধি করতে এর পারে, শুধু একটু গুরুত্ব, একটু চেষ্টা, একটু সচেতনতার অভাবেই জিবন থেকে অনেক বড় কিছু হারিয়ে যায়। সে বিষয় নিয়েই আমার পরীক্ষার্থী ভাই বোনদের কিছু কথা বলতে চাই।আমার এই কথাগুলোর কারনে হয়ত কারো জিবনটা বদলাতেও পারে।

প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা, আমরা যারা ফাযিল কিংবা ডিগ্রীতে পরাশোনা করছি আমরা নিচের জেই ক্লাসগুলো পেরিয়ে এসেছি,  যে ধাপগুলো অতিক্রম করেছি সেখানে আমরা যতটুকু পরাশোনা করেছি একন কি আদৌ ততটুকু কিংবা তার অর্ধেক ও করছি??? আমার মনে হয় না।

ছেলেরা যারা আছি, আমরা বিভিন্ন ব্যস্ততায় জড়িয়ে আছি। কেউ কেউ  কর্মক্ষেত্রে ঢুকে পড়েছি, আবার কেউ হয়তো বন্ধুমহল নিয়ে আছি অথবা কেউ বিয়ে করে পেলেছি। আবার মেয়েরা যারা আছি আমরা বেশিরবাগি বিবাহিতা। আমাদের স্বামী, সংসার, বাচ্চা নিয়েই দিনশেষে নিজেকে একটু সময় দেওয়ার সুযোগ থাকেনা পরাশোনা তো অনেক দূরের কথা। তবে আমরা যাই করি না কেনো এটা সত্যি যে, আমরা এসএসসি বা এইস এসসি পর্যন্ত যেরকম পরাশোনা করতাম এখানে এসে সেটা একদমি হয়না। হ্যা কারো কারো ক্ষেত্রে হয়ত ব্যতিক্রম থাকতেই পারে তবে আমি আমার অভিঙ্গতার কথা বলছি।

আমরা অধিকাংশরাই মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। আমাদেরকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসতে আমাদের মা বাবারা কত যে শ্রম দিয়েছেন, কত ঘাম ঝরিয়েছেন, কত বেদনা সয়ে গেছেন নিঃশব্দে। হয়ত তাদের কত ত্যাগের কথা আমাদের অজানাই রয়ে গেছে, রয়ে গেছে অগোচরে।
তাই বলছি, আমাদের ক্যারিয়ারের অনেকাংশ নির্ভর করে ডিগ্রীর সার্টিফিকেট এর উপর। আর সবচেয়ে মূল্যবান যে কথাটা বলতে চেয়েছি, আমরা যদি একটু ভালোভাবে পড়াশোনা করি তাহলে হয়ত আমরা পেতে পারি ডিগ্রী মেধা বৃত্তি। জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে এটি সরকারিভাবে চালু করা হয়েছে।এটা JDC, SSC এর মতো সরকারি বৃত্তি। যেখানে রেজাল্টের উপর বিবেচনা করে বৃত্তিটা দেওয়া হয়। ট্যালেন্টফুলদের জন্য মাসিক ১০৫০ টাকা করে আর সাধারনদের জন্য মাসিক ৩৫০ টাকা করে।

আমরা নিচের ক্লাসগুলোতে সারা বছর ধরে একটু একটু করে হলেও পড়াশোনা করতাম কিন্তু এখানে সম্পূর্ণ উল্টো।অথচ এই ক্লাসে আমাদের সিলেবাসটা অনেক কম, তুলনামূলক সহজও বটে। তাই আমাদের ইচ্ছের পরিবর্তন, আমাদের একটু চেষ্টা আমাদের অনেক বড় সফলতা এনে দিতে পারে। যা হয়ত অনেকের অনেক বড় উপকারে আসতে পারে, হয়ত অনেক পরিবারের খুশির কারন হতে পারে আবার হতে পারে কারো জিবন বদলানোর প্রেরণা।

প্রিয় পাঠকক/পাঠিকাগণ, জানিনা আমার কথাগুলো কে কতটুকু বুজতে পেরেছেন। আমি চেষ্টা করেছি সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শটা দেওয়ার। যেন সময় থাকতে সময়ের গুরুত্ব দিতে পারেন।কারন সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে কিংবা একটু চেষ্টার অভাবে আমরা জিবন থেকে অনেক মূল্যবান কিছু হারিয়ে পেলি।একসময় যেই জিনিসটা আমরা চাইলেই পেতে পারি, সময় ফুরিয়ে গেলে সেটাই বড় দুর্লভ হয়ে উঠে অথবা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

আশাকরি আমার লেখাগুলো কারো না কারো তো উপকারে আসবে।যদি একজন কেউ ও উপকৃত হয় তাহলেই আমার লেখাটা স্বার্থক হবে।আমি আমার মত করে লিখলাম, কোনো ভুলত্রুটি হলে আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকুন,
সুস্থ থাকুন,
নিরাপদ থাকুন,
আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন