আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমরা সবাই বর্তমানে কমবেশি আমাদের স্মার্ট ফোন এবং কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ গেম খেলতে পছন্দ করি। কমবেশী সবাই আমরা মোবাইলে অথবা কম্পিউটারে গেম খেলেছি। মোবাইলে খেলা গেম এবং কম্পিউটারে খেলা গেম কখনই এক রকম হয়না। দুটোর মধ্যে তফাৎ যেনো আসমান এবং জমিন। কিন্তু সময়ের আবর্তনে বর্তমানে তা অনেকটা সম্ভব হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মোবাইলে অনেক গেমসই খেলা সম্ভব যা কম্পিউটারের অথবা ল্যাপটপ এর সাহায্যে খেলা যায়। আবার এখন তো মানুষ মোবাইলের গেমস কম্পিউটারে খেলতে আগ্রহী।
যাই হোক আমরা যারা মোবাইলের গেমস কম্পিউটারে খেলার জন্য আগ্রহী তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইমুলেটর ব্যবহার করে মোবাইলের গেমসগুলো কম্পিউটারে হেলে থাকে। কিন্তু এর খানিকটা পরিবর্তন ঘটে উইন্ডোজ টেন আসার পর। উইন্ডোজ টেন এরমধ্যে অনেকগুলো মোবাইল গেমসই কম্পিউটারে নামানো সম্ভব এবং খুব সহজেই খেলা সম্ভব যা আগের উইন্ডোজ গুলোর জন্য সম্ভব হয়নি। আপনি গেম সেন্টারে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল গেমস খুব সহজেই আপনার উইন্ডোজে সেটাপ করতে সক্ষম হবেন।
আবার আমরা যারা মোবাইলে গেমস খেলে থাকি তারা সবাই কমবেশি গুগল প্লে গেমস অ্যাপ্লিকেশনটি বেশ ভালো করেই চিনি। এই অ্যাপটি আমাদের গেইম ডাটা সংরক্ষণ করতে বেশ ভালো একটি ভূমিকা পালন করে। যেকোনো জিমেইল আইডির মাধ্যমে লগইন করে আপনি আপনার গেমস সংক্রান্ত ডাটা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
এরপর যদি আপনি কখনো গেমস ডিলেট করে ফেলেন এবং পরবর্তীতে আবার পুনরায় সেটি ইন্সটল করেন তাহলে আপনাকে আর নতুন করে শুরু থেকে খেলতে হবে না। এই অ্যাপটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার হারিয়ে ফেলা ডাটা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন এবং যেখানে আপনি খেলা বন্ধ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই পুনরায় খেলা শুরু করতে পারবেন। এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি।
মজার ব্যাপার হলো এই যে এখন গুগল প্লে আসতে চলেছে আপনার ব্যবহার করা কম্পিউটারে। হ্যাঁ, ঠিক তাই। এখন থেকে উইন্ডোজেও ব্যবহার করতে পারবেন গুগল প্লে অ্যাপ টি খুব শীঘ্রই। গুগল প্লে এর বেটা ভার্শন লঞ্চ করা হয়েছে তিনটি দেশে হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানে। খুব শীঘ্রই অন্যান্য দেশগুলোতেও এর বেটা ভার্শন চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার উইন্ডোজে মোবাইল গেমস পরিচালনা করতে পারবেন যার মধ্যে আছে মোবাইল লেজেন্ডস, সামোনারস ওয়ার, স্টেট অফ সারভাইভাল, থ্রি কিংডম ট্যাকটিকস ইত্যাদি। যদি বেটা ভার্সন টি সফলতার সাথে কাজ করতে সক্ষম হয় তবে এটি হয়তো উন্মুক্ত করে দেওয়া হতে পারে বিশ্বের আরও বিভিন্ন দেশে। আর যদি সম্পূর্ণরূপেই বেটা ভার্শন উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের মন জয় করতে সক্ষম হয় তবে হয়তো এটিকে গ্লোবালি লঞ্চ করা হবে বলে ধারণা করা যায়।